পানসে
ঘ্রাণ..
তুমুল ঘ্রাণ ছড়িয়ে পড়তো গ্রামের বাঁশঝাড় থেকে শুরু করে চুলা ঘর, ডুব সাঁতারের নদী সব খানে।
ফেরিওয়ালার সুর করে লেস ফিতার ডাক আমাদের বুঝিয়ে দিতো
ঈদ এসে গেছে।
দল বেঁধে মাঠে যাওয়া,নতুন পোশাক,ঘরে ফিরে সেমাই,নাস্তা,খিচুরী গোস্ত খেয়ে যার যার মতো বাড়ির উঠানে বসে যেতাম মার্বেল,ডাংগুলি
৫ গুটি খেলায়।
তখনের ঈদ গুলো এভাবেই ছড়িয়ে যেত সংক্রামক রোগের মতো বিনা অনুমতিতে!
হাত ধরে ধরে এর ওর বাড়ি গেলেই খেতে দিতো লাল,হলুদ সাদা রঙের সেমাই!
সেই গন্ধ সেই স্বাদ সেই ঈদ এখন মাইক্রোস্কোপ দিয়ে খুঁজেও পাওয়া যাচ্ছে না কোত্থাও!
সেকালের ঈদ গুলোর হার্টবিট শুনতে এখনের ঈদ পালন করা প্রত্যেক মানুষের বুকে স্টেটিস্কোপ রেখে শুনতে পেয়েছি হাহাকার-
সেই ফেলে আসা সময় এবং শৈশব ও ৯০দশকের ঈদের জন্য!
বেশ্যা পাড়ার মাটি
তেমন কিছু না এই যে শহর টা
এক সময় এখানে ছোট্ট নদী ছিল।
নদীটির জানালা ছিল
দরজা ছিল!
চৌকাঠে চার চোখ আঁকা ছিল।
সময়ের জননতন্ত্রে
শুকিয়ে গেল জল
নদীটি মৃত হয়ে
সেখানে গড়ে উঠলো
বেশ্যা পাড়ার মাটির মতো প্রাক্তন
অথচ পবিত্র!
শুধুই তোমার
ভাতের থালে কুকুর চাটুক
চাটুক দুধের পাত্রে
কুকুর চাটুক চাটুক কুকুর
অসীম গহীন রাত্রে।
এই দেশেতে কুকুর হারাম
মাগির গোস্তে দারুণ আরাম
সত্য ভাতেই সকল ব্যাড়াম।
হাসলে দোষী কাঁদলে দোষী
খুন গুমেতে যোগ্য বেশি
কলম খাতার ঝুট ঝামেলা
কেউ নিতে আর চায় না
সাইন করুন সাইন করুন
দেখুন দারুণ গয়না।
সব হবে যে সব হবে যে
চিন্তা কেন করছো
হাহুতাশে এমনি কেন
ডিপ্রেশনে মরছ?
বাবা আছেন পীরের বেশে
আচল সড়াও একটু কেশে
পাহাড় থেকে নরম নদী
চেয়ার থেকে সফেদ গদী
একটু ছুঁতে দিও
তার পরেতে সব যে তোমার
শুধুই লুফে নিয়ো।
পড়ুন...
0 Comments