দাশবাবু?
হ্যাঁ।
আপনার বেশভূষা কিন্তু বলেনা, আপনি জমিদার বংশের কেউ!
কেন? গায়ের সাথেকি লিখে রাখতে হবে নাকি আমি জমিদার?
না,তেমন নয়;আমি বলছিলাম অনেকেই আছে না, যাদের দেখলেই বোঝা যায় তারা...!
আমাকে কি তোমার ভাল লাগেনা এরকম?
ছি ছি ওরকম কেন বলছেন? আমিতো বোঝাতে চাইছিলাম শুধু..!
থাক,তোমাকে আর বোঝাতে হবে না!
কুসুম কিছুটা থমকে যায় দাশবাবুর রাগান্বীত কন্ঠধ্বনিতে! দাশবাবু হাঁটতে থাকেন সামনের দিকে। পাতলা শাদা পাঞ্জাবীতে শুভ্র দেখাচ্ছে তাকে খুব।গোল চশমার ফাঁক দিয়ে সামনে দৃষ্টি রাখা,ভাঁজ পরা চোখ কেমন যেন উদাস! মাথার এলোমেলো চুলগুলো মুখের উপর সরলতার ছাপ বহন করে।দাশবাবুর ঠোঁটের কাছেই যতসব অযত্ন হয়েছিল তাকে তৈরীর সময়।মোটা ঠোঁটের উপর গোঁফের র্যাকটা কেমন যেন ভাসে। একজন মানুষের সবকিছুইযে পরিপাটি হবে এমন তো কোনো কথা নেই।
পুকুর পাড়ের বেঞ্চের কাছে গিয়ে পেছন ফিরে দেখলেন কুসুম নেই! তবে কি মেয়েটা রাগ করলো? না,না এ হতেই পারে না!ও মেয়ের মধ্যে রাগের ছিটেফোঁটাতো দেখেননি দাশবাবু। তবেকি কষ্ট পেল! হ্যাঁ হতে পারে। ও মেয়ের মন তুলসী পাতা, সোনা, রুপা আর দুধে ধোয়া শিউলী ফুলের মতো নরম।সেবার উৎসবে বেশিমাত্রায় মদ গিলে বেসম্ভব মাতলামো করার পরেও ও মেয়ে রাগেনি। পেছন ফিরে কিছুক্ষণ চেয়ে রইলেন। কুসুমকে দেখতে না পেয়ে ফিরে এলেন।কুসুম বুকে হাত চেপে ঠিঁ দাঁড়িয়ে আছে যেখানে ছিল! দাশবাবু একটু অবাক হলেন! কুসুমের চোখ বন্ধ।মুখের উপর কেমন যেন অস্থিরতা ভাসছে!
কুসুম?
কুসুম কোনো কথা বলে না।
এই কুসুম?
কসুম এবারও কোনো কথা বলে না।
তৃতীয়বার ডাকার পরেও কোনো উত্তর না দেওয়ায় দাশবাবু কুসুমকে স্পর্শ করেন।কুসুম জলের মতো গলে পড়ে দাশবাবুর বুকে! নিঃস্তব্ধ কুসুমের মুখের দিকে চেয়ে দাশবাবুর বুঝতে বাকি থাকেনা যে,কুসুমের বুকের ব্যথা বেড়েছে।
সেতো আবার জোরে কথা,রাগ সহ্য করতে পারে না। হঠাৎ কুসুম অদৃশ্য হয়ে যায় দাশবাবুর বুকের মধ্যে থেকে।মাঝরাতে চোখ খুলে দেখেন কুসুম তার পায়ের কাছে বসে আছে দিব্যি!তাহলেকি এতক্ষণ স্বপ্ন ছিলো?
খোলা মেঘ বরন চুল নগ্ন কুসুমের ঢ্লমল শরীরটাকে ঢেকে রেখেছে।আলতা রাঙা পা জোড়াকে সদ্য ফোঁটা পদ্মের মতো দেখতে। কাজল কালো চোখ নিয়ে যেন হরিণী শিকার সেজে বসে আছে শিকারীর হাতের মুঠোয়।হাতের আঙুলগুলো লাউয়ের ডগার মতো লক লক করছে।স্তনযুগল কালোকেশে ঢাকা থাকলেও স্পষ্ট চৌকশ পর্বত! গা থেকে কুমারী আর বকুলফুলের স্বর্গীয় ঘ্রাণ দাশবাবুর মস্তিষ্কের স্নায়ুকে নাড়া দেয়।মাতালের মতো দাশবাবু কুসুমের পায়ের কাছে গিয়ে পড়েন।বাম পায়ের বৃদ্ধাঙ্গুলীতে চুমু আঁকেন সহস্রবার।আলতা রাঙা গোড়ালীকে তার মনে হতে থাকে অমৃতের পেয়ালা।নরম মোলায়েম চিবুক স্পর্শে অমৃত ধারা পিয়ে তিনি নিবারণ করতে চান তৃষ্ণার্ত হৃদয় নামক চাতকের হাহহাকার।সর্ব শক্তি দিয়ে কুসুমকে যাপটে ধরেন নিজের বুকের মধ্যে। কানের নরম ছুঁয়ে উচ্চারন করেন "কুসুম.. যাপটে ধরো আমাই,কুসুম!কুসুম!
শিউলী ফুলের ঘ্রাণ ক্রমাগত গাঢ় হতে থাকে! চোখ খুলে দেখেন চোখের সামনে জ্বলজ্যান্ত কুসুম দাঁড়িয়ে ডাকছে..
দাশবাবু.. উঠুন.. আমি কুসুম।সকাল হলো যে!শিউলী ফুল এনেছি!
দাশবাবু কেমন যেন নির্বোধের মতো কুসুমের দিকে তাকিয়ে চেয়ে থাকেন।চশমা ছাড়া ঝাপসা দেখতে পান যদিও, আশ্চর্যভাবে তিনি এখন কুসুমের মুখটা স্পষ্ট দেখতে পারছেন!বিশ্বাস করতে ইচ্ছে করছে না তিনি এতক্ষন স্বপ্ন দেখছিলেন।কুসুম চলে যাবার পর দাশবাবুর মনে হয় দরজাতো বন্ধ ছিল,কুসুম এলো কি করে? এখনওতো দরজা বন্ধ,চলে গেল কিভাবে?
তবেকি সবই স্বপ্ন,কল্পনা, নাকি ঘোর!
স্বপ্নই যদি হবে বিছানায় সতেজ শিউলী ফুল কে রেখে গেল!দাশবাবু আর কিছুই ভাবতে পারেন না।বিছানাকে ছেড়ে জানালার কাছে যান।চশমাটা বিছানায় ফেলে আসার ফলে নীচের দৃশ্যপট ভালোভাবে বুঝতে পারেন না। অস্পষ্টভাবে চোখে পরে কোনো নারীমূর্তি হেঁটে তাদের বাড়িটাকে পেছনে ফেলে যাচ্ছে।তবেকি ঐ কুসুম!
খেতে বসে কালোজিরা ভর্তায় চোখ রেখে হারিয়ে যান কুসুমের দীঘল কালো ঘন চুলে!
কেমন অসহায়ত্বের পাশাপাশি ক্রোধ ঘিরে ধরে তাকে।খাবারে পানি ঢেলে চটিটা পায়ে গুঁজতে গুঁজতে ঘর থেকে বেড়িয়ে যান।পুকুরঘাটে গিয়ে কুসুম কুসুম বলে ডাকতে থাকেন।
কুসুম নেই!বাগানের মালীকে জিজ্ঞেস করে কুসুমকে দেখেছে কিনা?
মালী ডানেবামে মাথা নেড়ে অস্বীকৃতি জানানোর সময় দাশবাবু খেয়াল করলেন মালীর চোখের কোটোরে কোনো চোখ নেই! বিষয়টা পরখ করতে আবার জিজ্ঞেস করলেন।ঠিক যে মুহূর্তটাতে মালী বলছে সে কুসুমকে দেখেনি, সে মুহূর্তটাতে তার চোখের কোটোর থেকে চোখ শূন্য হয়ে যাচ্ছে!
সন্ধ্যেয় দাশবাবু ঘরে ফিরে সকলকে জিজ্ঞেস করেন উনারা কুসুমকে দেখেছেন কিনা?
সকলে উত্তর দেবার বদলে প্রশ্ন করলো
কোন কুসুম?
দশবাবু খুব বেশি রেগে গিয়ে চড়া কন্ঠে বলেন..
আশ্চর্য!এরকম প্রশ্ন কেনো করছো সবাই? কুসুমকে চেনো না? যে মেয়েটা প্রতিনিয়ত আমার সেবা করে, আমার পাশে থাকে।আরো সহজ করে বলছি,যে মেয়েটাকে আমার কাজ করানোর জন্য রেখেছো!
বিনোদীর কথা বলছো?
না,কোনো বিনোদী ফিনোদীর কথা বলছি না।কুসুমের কথা বলছি।
ঠাকুরপো এই সন্ধ্যেবেলাতেও গিলে এসেছো? নিয়ম,নীতি সবকিছু একেবারেই বিসর্জন দিলে?
এর মানে কি?
বোঝো না?
আমি এখন মাতাল নই!
মাতালের মতো কথা বলছো ,নয়ত তোমার কাব্যিকতায় নাম দিয়েছো বিনোদীর "কুসুম" আমরাতো আর জানিনা বাপু!তা বলেতো এতো রেগে যাবার মানে হয় না।
বিনোদী নিজে থেকে সামনে আসে! নত মাথায় নীচু কন্ঠে জানায়..
আমিই আপনার কাজ করি দাশবাবু।
ঘেন্নার চোখে দাশবাবু একবার বিনোদীর দিকে তাকান,তারপর বাড়ির লোকগুলোর দিকে। সবাইমিলে কোনো চক্রান্ত ষড়যন্ত্র করছে কিনা জানতে ইচ্ছে করে! বিনোদীকে সে কোনোদিন তার ঘরে,পাশে কিংবা কাজ করতে দেখেননি।
বিষন্ন সন্ধ্যে নিয়ে রাত নামে দাশবাবুর ঘরে!
মন মগজের প্রতিটা দেওয়ালে দেওয়ালে সেঁটে আছে ভাড়ি এবং গাঢ় অন্ধকার! আলো জ্বালেন অনিহায়।গা থেকে কালো রঙের পাঞ্জাবীটা খুলে বিছানার পাশে ছুড়ে দেন! কুসুম ব্যথা পেয়ে উঃ বলে ওঠে! বিছানায় চোখ ফিরিয়ে দেখেন,কুসুম উবু হয়ে পড়ে আছে।কুসুমকে নিজের দিকে ফিরিয়েই চমকে ওঠেন!কুসুম কোত্থাও নেই!তার কালো রঙের পাঞ্জাবীটাই হাতের মধ্যে! কুসুম জিজ্ঞেস করেছিল একদিন..
আপনার প্রিয় পোশাক কি?
পাঞ্জাবী।
প্রিয় রঙ?
কালো।
হাতের দিকে আবার চোখ ফিরিয়ে দেখেন কুসুম! দাশবাবু এবার কুসুমের মেঘবরন চুল নিজের শক্ত মুঠিতে ধরে নিয়ে চোখের দিকে চেয়ে আরেক হাতে নিজের সাথে যাপটে নিয়ে অবুঝের মতো বলেন..
কোথায় ছিলে তুমি?কোথায় ছিলে!
কুসুম কথা বলে ওঠে..
আপনার চোখের মধ্যে,বুকের মধ্যে।
দাশবাবুর মনে হয় প্রথমবারের মতো কুসুমের কন্ঠ শুনলেন! মানুষের কন্ঠে এতো মধু,মায়া,মিষ্টত্ব,সৌন্দর্য থাকে? থাকতে পারে!
আবার বলো কোথায় ছিলে?
কুসুম এবার দাশবাবুর কানের নরম ছুঁয়ে ফিসফিসিয়ে বলে..
আপনার বুকের মধ্যে,চোখের মধ্যে।
কুসুম!আমার বুক ধুকপুক বাড়ছে!শ্বাস নিতে কষ্ট হচ্ছে।
কেন?
জানিনা!তুমি কথা বলো ফিসফিস করে, আমি মরে যেতে চাই তোমার কন্ঠের অমৃত মাখা সুন্দর কষ্টে!
কষ্ট সুন্দর হয়?আমিতো জানি কুৎসিতেরও সৌন্দর্য থাকে।
কষ্টও সুন্দর হয় কুসুম।বিষও অমৃত হয়।
কিভাবে?
এভাবে।
বলেই দাশবাবু কুসুমকে নিজের বুকের উপর টেনে নিয়ে যাপটে রাখেন!
কুসুম..
হু...
আজ তোমার সরে যাবার তাড়া দেখছিনাযে?
চলে গেলে খুশি হন?
বোঝো না?
না বুঝি না। পুরুষের মন তো শরীরে থাকে,কামে থাকে।
বলো বলো আর কি কি বলবে আমাই,বলো?
কিছুই বলার নেই আপনাকে।
আর একবার আপনি করে বললে তোমার ঠোঁটের উপর ঝড় বইয়ে দেব।
হাহাহহা...
হাসছো কেন?
পারবেন না।
কেন?
যুগল অধরের একটা মসজিদ একটা মন্দির, ঝড়তো দুটোতেই হতে হবে!একতরফা ঝড় কেবল একদিকেই..!
আমি অতো কঠিন কিছু বুঝিনা! সহজ করে বলো?
বুঝতে হবে না।নারীর শরীর বুঝলেই হবে।
ধুত্তারি!বাদ দাও এসব,সেদিন চলে গেলে কেন বলো?
আপনার বহুগামীতা ব্যথা দিয়েছিল কুসুমকে।
বহুগামীতা মানে?
বয়স্ক মহিলা জার্নালিস্টের সাথে এক বিছানায় রাত্রী যাপনের কথাটা শুনবার পর কুসুম কতোটা কেঁদেছিল!
আমিতো বলেছি উনার সাথে আমার কিছু হয়নি।
এও বলেছেন,যৌবনের সিংহদ্বার কেউ অনায়াশে খুলে দিলে আপনি প্রবেশে দ্বিধাহীন! সম্মতিতে শরীর বিনিময়ে রাজি আপনি!
আমি আমার মায়ের হাত স্পর্শ ছাড়া কোনো নারীকে ছুঁইনি কুসুম!
হাহাহাহ.. এই কথাটা যদি সত্যি হতো তবে পৃথিবীতে সব থেকে বেশি খুশি হতো কুসুম!
তোমার দাশবাবু মিথ্যে বলে না কুসুম!
সে রাতে বিনোদীকে উরুর চেয়ারে কে বসিয়েছিল?
দাশবাবু কুসুমকে বুকের উপর থেকে ধাক্কামের সরিয়ে দেন।দূরে ছিটকে গিয়ে চুপচাপ বসে আছে কুসুম!
বিনোদী ফিনোদী কেউ ছিলনা!আমি চিনিনা ও নামের কাউকে। তুমি ছিলে ঐ রাতে!
ওটা কুসুম ছিলোনা দাশবাবু।
দাশবাবু খেয়াল করলেন ওটা কুসুম ছিলনা বলার সময় কুসুমের চোখের কোটোরে কোনো চোখ ছিল না।মালীরও ওরকম হয়েছিল যখন সে বলেছিল কুসুমকে দেখিনি!
দাশবাবু কুসুমের কাছে যান।কোটোরে কুসুমের জ্বলজ্যান্ত চোখ। চোখ রাখেন কুসুমের সমুদ্র চোখে।দাশবাবুর ভেতরের বস্ত্রহীন দাশবাবু টলতে থাকেন কামের টানে।উনার পুরো শরীরে মুখ এবং দাঁত জন্মে যায়। কুসুমের বামপায়ের বৃদ্ধাঙ্গুলী মুখে পুরে নেন।পায়ের আঙুল,হাতের আঙুল গুলো চিবিয়ে খেয়ে ফেলেন।কানের নরম,ঘাড়, মাথা,চোখ,ঠোঁট, পিঠ,বাহু, উড়ু খেয়ে শেষ করে ফেলেন।পুরো শরীর জুড়ে মুখ আর দাঁতগুলো শিরশির করতে থাকে।সব শেষে পড়ে থাকা হৃদপিন্ড টা কচমচ করে গিলে ফেলেন।দাশবাবুর পুরো শরীর লাল হয়ে ওঠে।বিনা রক্তপাতে এরকম নিবির খুন তাকে ভারি আনন্দ দেয়।স্বভাবিক মানুষ হয়ে আবিষ্কার করেন নিজেকে খাতার পাতায় লেখা অবস্থায়। তবুও রেশটা কেমন যেন কাটতে চায়ছে না।মৃদু হেসে বলে ওঠেন...
কুসুম.. তোমায় শেষ করে ফেলেছি।ছুঁয়ে ফেলেছি, নিশ্চিহ্ন করে ফেলেছি।আর পারবে না আমাকে জ্বালতে!
এতো সহজ!
দাশবাবু কুসুমের কন্ঠশুনে পাশ ফিরে দেখেন কুসুম স্বশরীরে দাঁড়িয়ে হাসছে মিষ্টি চোখমুখে।
দাশবাবুর পাঁজর ব্যথায় ছিড়ে যেতে নেয়।তিনি যন্ত্রনায় ছটফট ছটফট করতে থাকেন।এক পর্যায়ে তার শ্বসরুদ্ধকর অবস্তায় কুসুম বাম পাঁজরে হাত রাখলে অক্সিজেন পাবার মতো শান্তি অনুভব করেন।চোখ তুলে তাকাতে পারেন না কুসুমের দিকে।
কুসুম কি অতো সহজ!তাকে ছোঁয়া অতো সহজ?
আমিতো ছুঁয়েহি তোমাকে খুব সহজেই!
কখনোই না!
তবে?
শরীর দিয়েকি কুসুম কে ছোঁয়া যায়?
মনকে ছুঁতে গেলে শরীর ছাড়া মনে পৌঁছানো যায়না কুসুম!
কই, আমিতো আপনার শরীর ছুঁতে যাইনি।
এখন কার পাঁজরে হাত রেখেছ?
চরিত্রের।
কঠিন কিছু বুঝিনা।
মেয়েদের শরীর বুঝলেই হবে।এসব বুঝতে হবে না।
কুসুম, আমি আবার বলছি.. আমি আমার মায়ের হাত ছাড়া কাউকেই স্পর্শ করিনি।
মিথ্যে।
তোমার দাশবাবু মিথ্যে বলে না।
আমিও আবার বালছি, যদি এ সত্য হতো তবে পৃথিবীতে সব থেকে খুশি হতো কুসুম।
তুমি ছোঁওনি কাউকে?
না।
আমাকেও না?
না।
ভোগ করোনি কাউকে?
করিতো,প্রতিনিয়ত!আপনার মতো অসংখ্য চরিত্র প্রত্যহ আমার ভোগে থাকে।
কিভাবে?
লিখে।
তোমার দাশবাবুর মতো?
না,আমার গল্পে কুসুমের দাশবাবুর মতো।
আমি কেন দেখতে পেলাম তোমায়?তুমিওতো আমার লিখবার চরিত্র।
হয়ত আমাকে দেখবার চোখ আছে আপনার।
ডাকবে একবার,আমার নাম ধরে?
কেন?
মরে যেতে চাই তোমার কন্ঠে,তোমার মধ্যে!
দাশবাবু...!
0 Comments