রাত
ঘুম
রাত হলেই অসমাপিকা
ক্রিয়ারা হাতড়ে বাড়ায়
সৌন্দর্যের ঘাটে শরীর
চুপচাপ সাঁতার কেটে ওঠতে চায়
কিন্তু বেহিসেবি পুরুষ
নোঙর করে ফেরারি ঘুমে
আবার কেউ কেউ অন্ধ
ধৃতরাষ্ট্রের মতো
দুর্যোধনের শতায়ু কামনায় বসে
দিনদুপুর গলা উচিয়ে বলে-
রাত ঘুমের কোনো লিঙ্গ নেই
দরাজদরজা
সবুজ-হলুদ কিংবা
রক্তাক্ত কাম কেবল উড়ছে
নিয়তির বিছানায়
রতিস্নান সেরে নিচ্ছে মন
মুখোমুখি বসে খুসগল্প
করছে
ঘরের আসবাবপত্র
একটা সময় দরজার ফোকর
দিয়ে
বেরিয়ে গেল অযাচিত সুখ
দুর্যোধনের শতায়ু কামনায় বসে
রাত ঘুমের কোনো লিঙ্গ নেই
রতিস্নান সেরে নিচ্ছে মন
ঘরের আসবাবপত্র
বেরিয়ে গেল অযাচিত সুখ
কখনো রমণীয় বৃষ্টিতে
কখনো রোমান্টিক রোদে
আষ্টেপৃষ্ঠে তোমাকে বন্দি করে রেখেছে
বহু রঙের ছায়াছাতা
কেবল কামের হাট বসাই
মনে মনে খরিদ করি রসময় শরীর
আমার অগ্রজ পুরুষরা
তাঁরা আজ অশরীরে আমার ভেতর ঘুরে
তা কিন্তু নয়
জীবনের পদাবলি পাঠ শেখায়
এই খাটের উৎপাদিত ফসলে স্বপ্ন ফলাই
তিনি ক্লান্ত
ছড়িয়ে পড়েছে ক্ষতবিক্ষত দহন সিন্ধু
এলোকেশি অন্ধকারকে আদর করে
জুতানিবাসে তুলে রাখলেন সোনালি ডানার গাঙচিল
অর্ধেন্দু শর্মা
সহ-সভাপতি
সাহিত্য একাডেমি, ব্রাহ্মণবাড়িয়া।
0 Comments