চিঠি/৫৪
গল্প করতে-করতে মৃতরা
নদীর দিকে যাচ্ছে
কাক ডাকলে কেউ-কেউ বুকে
থুথু দেয়
নদীতে ডোবার ভয়ে
কেউ-কেউ জলদেবীকে ডাকে
মাটির গভীর থেকে উঠে
আসছে মানুষের পরিচয়
লবনাক্ত ঘামের স্রোতে
মিশে আছে ফসলের ক্ষেত
জীবিতরা ঘুমের ভেতরে
স্বপ্নে দেখে মৃতদের মুখ
স্বপ্নের ইতিহাস
প্রাচীন
ঘুমের ইতিহাসও তাই
ঘাম আর ঘর্মাক্ত শরীর
ফসলের প্রতি নিবেদিত
জীবিতরা লোকালয়ে থাকে
মৃতরা গাঢ় অন্ধকারে
গল্প করতে-করতে
মানুষেরা মানুষের দিকে আসছে
মানুষই মানুষের একান্ত
আপন
চিঠি /৫৫
আমার সঙ্গে জেগে আছে
একঝাঁক পাখি
কেউ পড়ছে
কেউ লিখেছে
কেউ গান গায়ছে
যে নদীটির সাথে আমাদের
সখ্যতা ছিলো
সে আজ ভেসে গেছে নিজের
সাম্পানে
মাছ ও নৌকার শেষ ইচ্ছা
ধীবরের জানা আছে
স্রোতহীন একটি নদী
স্বপ্ন দেখছে :
স্বপ্নের ভেতরে মানুষ
স্বপ্নের ভেতরে ফসলের
ইতিহাস
রাত শেষ হয়ে গেছে
রাত শেষে ঘুমিয়ে যায়
মানুষ ও পাখিদের চোখ
চিঠি /৫৬
বাজারে যাবো
এক পশলা বৃষ্টি হলো
ধুলো মরলেও পথে কাদা
জমে গেছে
সাবধানে হেঁটেও কোনো
লাভ হবে না
কাদা প্রিয় চটির মতো
লেগে যায় পায়ের তলায়
বাজারে যেতেই হবে
মা খুব অসুস্থ
ওষুধ কিনতে যাবো
যাই দেখি
মেঘ আর গলবে না হয়তো
কাদা এড়িয়ে পৃথক একটি
পথ
তৈরি হতেও পারে
যাই
যাচ্ছি
চিঠি /৫৭
তোমাকে লিখেছি আজ হলুদ
কালিতে
সবুজ পাতার উপর নমিত
আলো
তার জন্য কুড়িয়ে এনেছি
মেঘের মমতা
সময় বোঝে না তার কষ্টের
কারণ
বেগুনি কালিতে লিখি
সুখের নিবাস
নষ্ট কালের কাহিনি
পালকে ঘুমায়
হলুদ খামে গোলাপি
কালিতে লিখেছি আজ
প্রেমের কবিতা
প্রাপক, আমার প্রেমিকা
0 Comments