বরষাসোহাগ
কদমফুলের ঘ্রাণে ভেসে আসে শ্রাবণের অশ্লিলমেঘালা
আচমকা ভিজে যায় মনের দেহঘড়ির আকাশ-
কোনো এক ফেরারি সন্ধ্যা আমার আয়‚পাতা কুরিয়ে নিয়ে যায়
আর এদিকে শ্রাবনের বৃষ্টি জমিতত্তে¡র ধ্বনিময় আল পেরিয়ে
ক্রমশ গভীর হচ্ছে এই বরষা
কহরের দিনে শহরের একতলারাত বৃষ্টির মিছিল শেষে
পার করে হরিণচোখ
প্রেমিকের আলো-আধাঁরি চুম্বনরত মেঘের কার্নিশে চাঁদ ওঠে
আমরা ফরিঙদিনের স্বপ্ন হারাই
আষাঢ়ে নিশ্চুপ থাকি পাখিজন্মের কৌশল জেনে
আজ লজ্জাশ্রাবণে রঙিণ ভয় এঁকে নিলাম মনে!
থ্রিপেজ-বর্ষাতি
ঘরে ঘরে ভরে যাচ্ছে বরষার স্বরবর্ণ
মেঘ ও সুর্যের ভুগোলে মানুষ হেরে যাচ্ছে
ফ্রিজে লুকিয়ে থাকা আলো দিয়ে বায়োটিকস্বপ্ন
বায়োলজির বিরুদ্ধে ডুকে পড়ছে অন্ধকার
এবার আলোর কৌশল পাল্টা আক্রমণের টেকনিক নিয়ে
মুখস্ত করছে বরফ,বরফি রুমোলে প্রিয়তমা বাংলাদেশ এঁকে দিয়েছে!
এদিকে শেয়াল কুকুরের কামড়ে দল বেঁধে ছুটছে ক্ষুধা-
হেরে যাচ্ছে শব্দের ব্যঞ্জনজন্ম
পৃথিবীর নীলিমার চেয়ে অন্যকোনো দ‚রত্ব নেই-নেই আর গন্তব্য
সজিনাফুলের সাধ বাতাসে নীল আলো জমছে আর কমছে ভিন্নচোখে
জানি-রঙ ভোলা কেবল রঙের সমষ্টি কালো-
চাঁদ ভাঙে অন্বেষণের সুনীল চিহ্নে আলোর কৌতুকে!
আমার হারিয়ে যাওয়া মহুয়া-মাতালমন
সহস্র খণ্ডিতবোধে তখন চেনাধানের গন্ধে সেই কৃষ্ণ অঞ্জনিকা তুমি
এক পরিকীর্ণ আকাশ- এই আকাশে একধরনের প্রেম আছে
তুমি শব্দের ভেতর আকাশ আর সময়-
মন মানেই এই ছন্দের মুখোশ সময়ের বাইরে
বহুত্বময়ী সত্তার অল্পবিস্তর মনের অধ্যাত্ম!
............................................
নব্বই দশকের কবি
জন্ম: ২২ নভেম্বর ১৯৬৯, দিনাজপুর
প্রকাশিত গ্রন্থ: ১৫
0 Comments