হৃৎকাননের
খেলা
জ্বরে তিতো মুখ শিশুর
অন্ন
মুখে না খাওয়ার তুমুল কান্না
অরুচিতে
চুরি করে
জানালার
শিক ধরে মাটিতে।
মুখ
থেকে ফেলে দেওয়া অন্নের ঘ্রাণে
পরিত্যক্ত
কোয়ার্টার থেকে উড়ে আসা পায়রা
পরম
আনন্দে খুঁড়ে খুঁড়ে খায়
এমন
দৃশ্যরূপের জীবন্ত চিত্র
কবিতার
শিশু হয়ে
হৃৎকাননে
খেলা করে যায়।
অকৃতজ্ঞ
বক্তৃতার
মঞ্চে উঠে
ভক্তবৃন্দের
মনে জায়গা করে নিতে
রবীন্দ্রনাথ
থেকে কবিতার লাইন ধার নাও
হুমায়ুন
আহমদের উক্তি
যুক্তি
সহকারে বুঝিয়ে দিতে প্রয়াস করে যাও
ভাষণের
ভাষা আরও মনোমুগ্ধকর করতে
শেলিনা
শেলির ইংরেজী কবিতা পাঠ করে শুনাও
কিন্তু
মঞ্চ থেকে নেমে কবিকে গালি দাও!
নিরাশ
করো না
দাবা
বোর্ডের সামনে বসে আছো
রাণী
হয়ে জোড়া রাজাকে সাথে নিয়ে।
রাবণের
রাজ্য থেকে সীতাকে উদ্ধার
আর
দ্রৌপদির বস্ত্রহরণের চরম প্রতিশোধ।
নিশ্চয়
তুমি প্রতি চালের পূর্বে
লংঙ্কা
আর কুরুক্ষেত্রের কথা ভাবো।
তোমার
মস্তিষ্কের মাঠে শুধু খেলা করে
প্রজা
ও সৈন্যদের সুরক্ষার চিন্তা।
তোমার
কঠিন কৌশলে
মৌন
যুদ্ধে শাদা রাজাকে করলে বন্দী।
কালো
রাজার রাজ্য জয়ের মিছিলে
সেয়ানা
সৈন্যদের সাথে নিয়ে,
পুষ্প
বৃষ্টির উল্লাসে আছো।
তবে,
জীবন রাজাকে নিরাশ করো না।
বিটুল দেব
আগ্রাবাদ, চট্টগ্রাম ৪১০০।
0 Comments