Human nature existence operates in environment. And it is not that environment as coins are in box,but as a plant is in the sunlight and soil.—John Dewey: Human Nature And conduct;1922,New York,page—296
`The term`folk’can refer to any groupof peoplewhatsoever who share at lest one common factor.It does not matter what the linking factor is-it could be a commonoccupation,language or religion-but what is important is that a group form for whatever reason will have some tradition which it calls its own’—Alan dundes,Essays in Folkloristics,Meerut(India),1978,p-7
Collective Society বা সংহত সমাজের কথা বলেন-নৃতাত্ত্বিক, ভৌগলিক,ভাষাতাত্ত্বিক দিক থেকে এই লোকসমাজ সংহ তবা ঐক্যবদ্ধ। এর সাথে integrated মানে সমন্বিত homogeneous অর্থ্যাৎ সমভাবাপন্ন শব্দদুটো যোগ করা যায়। এটা হলো- Oral Literature বা Verbal Art বলে বিচেনা করা যেতে পারে।
বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী সংস্কৃতির বিচিত্র শিল্পধারা তথা লোকায়িত সংগীত,নৃত্য,নাট্য,বাদ্য এবং অপরাপর অবস্তুগত বা ভাবগত ও বস্তুগত শিল্পর্চচায় নিবিষ্ট যে শিল্পীরা গুরু-শিষ্য পরস্পরায় বা বংশপরস্পরায় নিবেদিত,প্রধানত তাদের রচিত গান-ভাব ও সুরের মিশ্রণে যে রসায়ণ ঘটে মূলত তাকেই আমরা লোকগান বা লোকগীতি অথবা লোকগান বলে থাকি। লোকসমাজের সাথে শ্রমের নিবিড় যোগসূত্র আছে। গ্রামীণ জীবনের সাথে কৃষির নিবিড় সর্ম্পক আছে। আমাদের দেশে গ্রামীণ লোকসমাজই লোককলার প্রধান জন্মদাতা। এরকম মৎসজীবী,হস্তশিল্পজীবী,পশুপালনজীবী লোকসমাজ হতে পারে। লেখাপড়া না থাকায় এ সমাজের মানুষ তাদের সৃষ্টির ফসল লিখে রাখতে পারে না, মৌখিকভাবে ধারণ ও বহন করতে পারে।
বর্তমানে লোকসমাজ সর্ম্পকে চেতনা পরিবর্তিত হয়েছে। বলা হচ্ছে- কেবল গ্রামের মানুষ‘ভড়ষশ’ নয়.শহরের মানুষও ‘ভড়ষশ’ হতে পারে। শহরবাসির নানা কুসংস্কারে বিশ্বাস করে এবং তদনুযায়ী আচারাদি পালন করে থাকে। ঢাকার বহু শিক্ষিত মানুষ জীবিত ও মৃত পীরের ভক্ত; তারা মৃত পীরের মাজার জিয়ারত করে এবং মনস্কামনা পূরণের উদ্দেশ্যে মানত ও প্রার্থনা করে। রাশিচক্র ও ভাগ্যফলে বিশ্বাসের ফলে অনেকে বিপদ-আপদ থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য তাবিজ-কবজ-অঙ্গুরাদি ধারণ করে। অর্থ্যাৎ গ্রাম হোক,শহর হোক যারা লৌকিক ধ্যান-ধারণা পোষণ,কুসংস্কার লালন এবং অন্ধ আচারাদি পালন করে,তারাই ভড়ষশ নামে অভিহিত হবে। রাশিয়ার লোককলাবিদ ভøাদিমির জে প্রপ বলেন-jbÑfolkore ceased to be the exclusive property লোককলার একান্তভাবে কৃষকসমাজের বিষয়,তা আর বলা যাবে না। লোককলার সৃজন-প্রক্রিয়ার ও পরির্চযার সাথে সমাজের সব শ্রেণির মানুষ জড়িত। আন্তর্জাতিক বিদ্যা-শৃঙ্খলা হিশেবে লোককলা এখন ভিন্ন মাত্রা লাভ করেছে।
যেহেতু লোককলা লোকমানসের সৃষ্টিকলা সেহেতু এর একটি নান্দনিক মূল্য আছে aesthetic value কে মূল্যায়ণ করতে পারাটাই সবচেয়ে বড় কথা। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুর,দীনেশচন্দ্র সেন,গুরুসদয় দত্ত প্রমুখের আলোচনায় রসতত্ত্ব প্রাধান্য পেয়েছে। বিশ শতকের গোড়ার দিকে দেশের শিক্ষিতসমাজ লোককলার প্রতি আকৃষ্ট হয় মূলত জাতীয়তাবোধ ও স্বদেশচেতনা থেকে। কিন্তু পরবর্তীকালেতা জ্ঞানর্চচা ও গবেষণার বিষয় হয়ে ওঠে।
Psychp-analysis,particularly of type,interprets myths or folklore as symbolic expression of man’sunconcious desires অর্থ্যাৎ ফ্রয়েডিয় ধারায় মনোসমীক্ষণ পদ্ধতিতে মিথকে মানুষের অবচেতন মনের আকাঙ্খার প্রতীকী প্রকাশ রুপে ব্যাখ্যা করা হয়। কল্পনাশক্তি ও প্রতীকীবাদকে আশ্রয় করে এ ধরণের পদ্ধতির উদ্ভব হয়েছে। ফ্রয়েডয়ের মতে-মানুষের অবচেতন মনে অনেক কামনা-বাসনা অবদমিত অবস্থায় থাকে, এর অনেককিছুই স্বপ্নের মধ্যে প্রকাশ পায়। তিনি Interpretation of Dream-১৯০০ গ্রন্থে এর বিশদ ব্যাখ্যা ও আলোচনা করেছেন। আসলে লোকচিন্তার উদ্ভবই হয়েছে মানুষের মনের ভেতর থেকে । আর মানুষের ‘মন’ সর্ম্পকে ফ্রয়েডের পুরো ধারণা একটি ছকের মধ্যে এভাবে দেখানো যায়-মন(সরহফ) তিন প্রকারের বা স্তরের হতে পারে:১. চেতন( Concious) ২. অবচেতন(sub-concious) বা প্রাক- চেতন (pre-concious) ও ৩. নিজ্ঞান(Unconcious)। নির্জ্ঞানের আবার দুটো স্তর ১. নির্জ্ঞানের প্রথম স্তর ( Primary Unconcious) ২.নির্জ্ঞানের দি¦তীয় স্তর ( Secondary Unconcious) নির্জ্ঞানের প্রথম স্তরের আবার দুটো ভাগ আছে- প্রেমের এষণা(Eros) এবং মৃত্যুর বা ধ্বংসের এষণা (Thamotos) । বলাবাহুল্য যে প্রেমের এষণা ও মৃত্যুর এষণা পরস্পর বিরোধী উপাদান। নির্জ্ঞানের দ্বিতীয় স্তর থেকে অবদমিত আবেগ (Repressed Emotion) এর উদ্ভব হয়। মানুষের হিংসা, ক্রোধ,বিরহ, নৈরাশ্য, শোক, তাপ, অপূর্ব কামনা-বাসনা ইত্যাদি নানাবিধ আবেগ অবদমিত আকারে অবচেতন মনে অবস্থান করে এবং প্রতীক আকার ধারণ করে পুনরায় চেতন মনে ফিরে আসে,যা স্বপ্নের ভেতর ধরা পড়ে। এই প্রক্রিয়াকে ফ্রয়েড নাটকায়ন( Dreamatization) স্তর বলেছেন।
আসলে লোককলা সংস্কৃতির দর্পন,কিন্তু তার গতিশীল উপাদান নেই। এতে ব্যক্তিত্বের ছাপ থাকলেও ব্যক্তিত্বের ক্রিয়াশীলতা নেই। ডান বেগ-আমোসের এরুপ ম›তব্য বিতর্কের সৃষ্টি করতে পারে। লোককলায় সৃজনশীলতা ও গতিশীলতার মাত্রা কম হতে পারে,তবে অভাব আছে তা বলা যাবে না। পাশ্চাত্য পণ্ডিতগণ লোককলাকে দুটো প্রধান ভাগে বিভক্ত করেছেন-১. বাগাশ্রিত লোককলা(Formalised Folklore) ২. বস্তুগত লোককলা ( Material Folklore অপরপক্ষে এই কলাকে অঙ্গক্রিয়াশ্রিত‘ পরিবেশনা লোককলা’ (Performing Folkiore) নামে অপর একটি ধারার কথা বলতে হয়-থাক সে কথা।
বাংলার মানুষের সভ্যতা-সংস্কৃতি-ইতিহাস এখন কেবল রাজা-বাদশার কাহিনিতেই সীমাবদ্ধ নয়-এই সংস্কৃতির নানা উপাদান সাধারণ মানুষের মধ্যে আছে,অন্তর্ভূক্ত হয়েছে জীবনের বৈচিত্রময় ঘটনা আর মানবিক চিন্তনের নানা প্রসঙ্গ। এই বিশাল জনগোষ্ঠির সংস্কৃতির ভেতর দিনাজপুর তথা বিরল উপজেলার সাধারণ মানুষ। এই গড়ে ওঠা সংস্কৃতিই হলো দিনাজপুরের লোকসংস্কৃতি হিশেবে পরিচিত। তাই এই জেলার লোকঐতিহ্যের দিকে আমরা সন্ধান করে জেনেছি এই জেলা অতি প্রাচীন ঐহিত্যনির্ভও জেলা-এই সভ্যতা আর সংস্কৃতির সাথে জরিয়ে আছে হিন্দু- বৌদ্ধ- জৈন ধর্মের আবির্ভাবে। আর এর ভিত্তিতেই বিকশিত দিনাজপুরের লোকসমাজের দর্শন ও নতুন চিন্তাচেতনা। যদিও মধ্যযুগে যখন এ জেলায় মুসলমানদেও আগমনের পরিপ্রেক্ষিত বদলে যায় এখানকার রাজনৈতিক-সামাজিক-এবং অর্থনৈতিক কাঠমো। এরই কারণে ঐ ইসলাম ধর্মকে কেন্দ্র করে আবার গড়ে ওঠে পালাবদলের সংস্কৃতি। অথচ এখনো দিনাজপুরের লোকসংস্কৃকি বা ঐতিহ্য বাঙালি আদিবাসী আর অধিবাসীর ঐতিহ্য। সম্প্রতি হয়তো এর নতুন গতিপথ রচিত হয়েছে-হচ্ছে। যার প্রমাণ মেলে মেয়েলিগীত,ভাওয়াইয়া,মুর্শিদী,পালাকীর্তন, মনসার ভাসান পালা, পুঁথিগান,পুতুল নাচ, শিকনিঢাল নৃত্য, কাইচা নৃত্য,যুগী নাচ, কবিগান,পালাটিয়া প্রভৃতি। দিনাজপুরের প্রবীন কবিয়াল নরেশ চন্দ্র সরকারের মতে কবিগানের অর্থ যা দাঁড়ায় তা হলো-‘ বাংলার কবিগান ধর্মীয় দর্শনমূলক প্রশ্নোত্তর আদান-প্রদান এবং রাগরাগিনী সম্বলিত গান,ছড়া,যুক্তি,রস-কৌতুক, ঝুমুরের গান, বোধন,ডাক-সুরা,আগমনী ইত্যাদিও এক বিশাল সমাবেশপূর্ণ একটি বিস্তার-ব্যাখার লোকসাহিত্য।’ এই প্রবোক্ত উদ্ধৃত্তি থেকে বোঝা যায়-দিনাজপুরের লোকগান বা কবিগান বৃহত্তর দিনাজপুরের জনগোষ্ঠির বিনোদিত তথাসাহিত্য কিংবা লোকসংস্কৃতি তথা লোকগানসমৃদ্ধ।
একজন সাধক কবিয়াল সংস্কৃতিপ্রেমী গবেষক এম এ কুদ্দুসের জীবনকথা:
এম এ কুদ্দুস একজন সফল চারণ কবি। তিনি দিনাজপুর জেলার বিরল উপজেলাধীন ৬ নম্বর ভান্ডারা ইউনিয়নের নিভৃত পল্লীর দক্ষিণ রঘুনাথপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। এই কবিয়াল চারণের জন্ম ৫ ফ্রেবুয়ারি ১৯৭৯ খ্রিস্টাব্দে। কবি রবির উদয়লগ্নে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা একজন সাধারণ কৃষক জনাম মো.আব্দুল হামিদ এবং জন্মধাত্রী রত্নগর্ভা মোছা.লাল বানু বেগম। পরিবারে তারা ২ ভাই ২ বোনের মধ্যে সবার বড় তিনি। ছোটোবেলা থেকেই তিনি ছিলেন চ ল,পরপোকারি,স্বাধীনচেতা ও সংস্কৃতিমনা। তিনি একাধারে সাংবাদিক, গীতিকার,নাট্যাভিনেতা,আদিবাসীসহ বিভিন্ন জাতিগোষ্টি মানুষের সাথে তার নিবিড় সর্ম্পক। কর্মক্ষেত্রে আদিবাসীদের উন্নয়নসহ সাংবাদিকতা ও সাংস্কৃতিক অঙ্গনে তার অবদান অসামান্য । তার শিক্ষাজীবন শুরু হয় বালান্দোর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে। এর পর বেতুড়া দ্বি-মুখী উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ১৯৯৪ খ্রিস্টাব্দে মাধ্যমিক পাশ করেন। পরে উচ্চ মাধ্যমিক প্রথমে বোর্ডহাট মহাবিদ্যালয়ে এবং পরে বদলি নিয়ে বগুড়া শাহ সুরতানপুর কলেজে ভর্তি হন। পারিবারিক সমস্যার কারণে আর হঠাৎ অসুস্থতায় আর কোনো পরীক্ষা দিতে পারেনি। ১৯৯৬ খ্রিস্টাব্দে তিনি ঢাকায় একটি কোম্পানিতে চাকুরি করেন। মো. আব্দুল কুদ্দুস ওরফে এম, এ কুদ্দুস সরকার বৈদেশি দিনাজপুর জেলার বিরল উপজেলার ভান্ডারা ইউনিয়নের নিভৃত পল্লী দক্ষিণ রঘুনাথপুর গ্রামের একটি মধ্যবিত্ত সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে ০৫ ফেব্রুয়ারি ১৯৭৯ খ্রি. রবি উদয় লগ্নে জন্ম গ্রহন করেন। তাঁর পিতার নাম মো. আব্দুল হামিদ ও মাতার নাম: মোছা. লাল বানু বেগম। তিনি একজন কবি, সাংবাদিক, সংগঠক, শিল্পী, গীতিকার, সুরকার, নাট্যাভিনেতা, এবং আদিবাসিসহ প্রতিটি জাতি গোষ্ঠীর মানুষের সাথে আছে তাঁর নিবিড় সম্পর্ক। তিনি একাধিক ম নাটক যেমন, অনুসন্ধান, জীবন নদীর তীরে বা কলঙ্কিত বধূ , পাপের প্রায়শ্চিত্ত, নবাব সিরাজ উদ দৌলা, ভিখারির ছেলে, গরীবের ছেলে, একটি পয়সা দাও, অচল পয়সা, জেল থেকে বলছি, হিংসার পরিনামসহ বিভিন্ন নাটক ম স্থ করেছেন। তিনি পুতুল নাচেরও কন্ঠ শিল্পি। তিনি নারী পুরুষ দ্বৈত কন্ঠে একাধিক কন্ঠ দিতে পারেন। পুতুল নাচের মাধ্যমে তিনি ঝুমুর যাত্রা পালা যেমন-পুষ্প মালা, মানুষ কেন অমানুষ, বেদের মেয়ে জ্যোস্না, রাজা হরিশ চন্দ্র, কমলার বনবাস, গাজী কালু চম্পাবতীসহ বিভিন্ন যাত্রা পালা প্রদর্শন করেছেন। তাঁর লেখা গান রয়েছে এক হাজারেরও উপরে। তার লেখা বেশির ভাগ গানে তিনি নিজেই সুর দিয়েছেন। তার লেখা কবিতাও রয়েছে অসংখ্য। ব্যাক্তি উদ্যোগে আদিবাসিদের জীবনমানের উন্নয়নসহ সাংবাদিকতা ও সাংকৃতিক অঙ্গনে তাঁর অবদান অসামান্য। তাঁর শিক্ষা জীবন শুরু হয় বালান্দোর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে। এরপর বিভিন্ন পত্র পত্রিকায় সংবাদ, গল্প-কবিতা লেখা লেখির পাশা-পাশি জীবিকার তাগিদে ১৯৯৬ খ্রিস্টাব্দের শুরুর দিকে তিনি ঢাকামূখি হয়ে একটি কম্পানির চাকুরিতে যোগ দেন। তবে ১৯৯৬ সনের মাঝামাঝি সরকার পতনের অসহযোগ আন্দোলনের কারণে সব কিছু বন্ধ হয়ে যাওয়ায় তিনি আবার বাড়িতে ফিরে আসেন এবং আদিবাসি কোরা সম্প্রদায়ের ভূমি উদ্ধারে সহযোগি জনসংগঠনের সাথে ঐক্যমত পোষণ করে প্রথম নেতৃত্ব দেন। ১৯৯৭ খিস্টাূেব্দ তিনি তাঁর মানসপটে লালন করা স্বাধীন পেশা সাংবাদিকতার উপর ৬ মাসের একটি প্রশিক্ষণ নিয়ে নিজ উপজেলায় পুরোদমে সাংবাদিকতা শুরু করেন। পর্যায়ক্রমে তিনি মানবাধিকারবিষয়ক, বন ও পরিবেশবিষয়ক, সাঁটলিপি মুদ্রাক্ষরিক, টাইপিং ও কম্পিউটার, টিভি সাংবাদিকতা, টেকসই উন্নয়ন ও মানব সম্পদ উন্নয়নসহ বিভিন্ন প্রশিক্ষণ গ্রহন করেন। আদিবাসিসহ সমাজের পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীকে এগিয়ে আনার জন্য তিনি নিরলসভাবে কাজ শুরু করেন। ১৯৯৭ খ্রি. হতে পর্যায়ক্রমে বিভিন্ন পত্র পত্রিকায় তাঁর অনুসন্ধানী রিপোর্টে উঠে আসে বাংলাদেশ থেকে বিলিুপ্ত প্রায় আদাবাসি সম্প্রদায় দিনাজপুর জেলার বিরল উপজেলার রাণীপুকুর ইউপি’র হালজায় ঝিনাইকুড়ি গ্রামের ১৭ টি ও দিনাজপুর দক্ষিণ কতোয়ালি ঘুঘুডাঙ্গা গ্রামে বসবাসরত ২টি মোট ১৯টি কোরা পরিবারের কথা। বিষয়টি পত্র পত্রিকায় যেমন, সংবাদ সংস্থা বাসস, আইএনবি, দৈনিক সংবাদ, করোতায়, দূর্জয় বাংলা, আজ ও আগামী কাল, উত্তরা ল, পরিবেশ, আমার দেশ ও মানব জমিনসহ বিভিন্ন পত্র পত্রিকায় প্রকাশ পাবার পর সরকারসহ দেশের বিভিন্ন সংগঠন, সংগঠক, গবেষক, লেখক ও সাংবাদিকেরা কোরা পল্লীতে বেশি বেশি আসতে শুরু করে এবং তাদের নিয়ে কাজ শুরু করে। দফায় দফায় ভূমি আন্দোলনে তিনি নিজের জীবন বাজী রেখে কোরাদের রাত জেগে পাহারা দিয়ে নিরাপত্তা দেয়াসহ আইনী সহায়তা প্রদান, সংবাদ প্রকাশের মাধ্যমে যথাযথ কতৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ ও তাঁদের বেহাত হওয়া সম্পত্তি উদ্ধারের জন্য সরকারি-বেসরকারিসহ বিভিন্ন সংগঠন বা সংস্থার সাথে বিভিন্ন সময় যোগাযোগ, সম্বন্বয় ও আন্দোলন সংগ্রামের মাধ্যমে প্রায় ১৫ একর সম্পত্তি উদ্ধার করে কোরাদের বুঝিয়ে দিতে সমর্থ হন এবং কোরাদের আরোও ভুমি উদ্ধারের প্রক্রিয়া ও মামলা মকদ্দর্মায় সহয়তা প্রদান করে চলছেন তিনি। তিনি ২০০১ খ্রি. উপজেলার ১২ নম্বর রাজারামপুর (তৎকালীন আজিমপুর) ইউনিয়নের রাজারামপুর চনকালী, ঝিনাইকুড়ি, লাল কাতরী, গড়বাড়ি ও পলাশবাড়ি আদিবাসি ও অধিবাসিদের ভ’মি উদ্ধার আন্দোলনে অগ্রণী ভুমিকা পালন করেন। তিনি ৩ নম্বর ধামইড় ইউনিয়নের পিপল্যা ও বাদরুনিয়া আদিবাসি পল্লী নির্মাণ, চৈতন্যদিঘিতে গুচ্ছগ্রাম নির্মাণ, ১১ নম্বর পলাশবাড়ি (তৎকালীণ ৭ নম্বর বিজোড়া) ইউনিয়নের সাঁকইড় গ্রামের আদিবাসীদের বেহাত হওয়া শ্মশ্মাণ ও বহবলদিঘিতে বেহাত হওয়া শ্মশাণের সম্পত্তি উদ্ধার করতে নেতৃত্ব দিয়ে সফল হন। তিনি ৬ নম্বর ভান্ডারা ইউনিয়নের মানিকপাড়া গ্রামে ভুমিহীনদের সরকারি খাস জমিতে গুচ্ছগ্রাম নির্মাণে নেতৃত্ব দিয়ে স্বর্ণপাড়া নাম করণ করেছেন। একইভাবে রামপুর ও ৫ নম্বর বিরল ইউনিয়নের মাধববাটিতে ভুমিহীনদের গুচ্ছগ্রাম নির্মাণে নেতৃত্ব দানসহ বিরল হাসপাতালের সামনে বেহাত হওয়া শ্মশ্মাণের সম্পত্তি ও বধ্যভূমি উদ্ধারে নেতৃত্ব দিয়ে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেন। এছাড়াও তিনি বিরল উপজেলার আছোটিয়া, গিরিডুবা, বহবলদিঘী, হালজায় মানিয়া ভিটা, বরাহনগর, ছোট চৌপুকুরিয়া, মহেশ শীবপুর, বাঘডাঙ্গা, দক্ষিন গোদাবাড়ি, রাণীপুর, কৈকুড়ি, কুকড়িবন, ভৌরিবন, বহলা, চোক কা ন, মাঘুরাবান্দ, আলুবাড়ি, নেহালগ্রাম, হুসনা, বিরল কলেজ পাড়া, রবিপুর শিয়াল ডাঙ্গা, কাজীপাড়া, বেতুড়া, ছোট বৈদ্যনাথপুর, বালান্দোর, মৌচুষা ঠাকুড়পাড়া, গোপালপুর রামকা পাড়াসহ উপজেলার বিভিন্ন এলাকার বসবাসরত, সাঁওতাল, মুন্ডা, ওড়াও, তোড়ী, ভুঞ্জার, মুষহর ও ঋষিসহ আদিবাসিদের নিজস্ব সংস্কৃতি রক্ষায় তিনি হামেরা দিনাজপুরিয়া নামক একটি সংগঠন তৈরি করে আদবাসিদের নিয়ে গ্রামে বা পাড়ায় পাড়ায় সংগঠন তৈরি কাজে সহায়তা, সচেতনতা সৃষ্টি ও সহায়তা প্রদান, আদিবাসিদের ইতিহাস ঐতিহ্য ও সংস্কৃতি রক্ষা এবং আদিবাসিদের জীবন মানের উন্নয়ন নিয়ে নিরলস ভাবে কাজ করতে থাকেন। তাঁর বন্ধুসুলভ আচরণ, যুক্তিযুক্ত পদক্ষেপ ও সহযোগিতার কারণে বিরলের কোড়া সম্প্রদায়সহ আদিবাসীদের জীবন মানের উন্নয়ন ঘটানো, বেহাত হওয়া সম্পত্তি উদ্ধার করে বুঝিয়ে দেয়া, জীবনমান ও সংস্কৃতি উন্নয়ন ঘটানোর বিষয়টি হয়ে উঠেছে একটি উল্লেখযোগ্য উদাহারণ। পাশা-পাশি তিনি আদিবাসিসহ আদি বাংলার লোকসংস্কৃতি রক্ষায় বাংলাদেশ জাতীয় চারণ কবি নামের একটি সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি হিশেবে নেতৃত্ব দিয়ে আসছেন এবং বিরল প্রেসক্লাবেরও সভাপতি। তিনি বর্তমানে দৈনিক ইনকিলাব, দৈনিক করতোয়া এবং দৈনিক প্রতিদিন পত্রিকায় বিরল উপজেলা প্রতিনিধি হিসেবে কর্মরত আছেন।
এম এ কুদ্দুস দিনাজপুর জেলার বিরলের তুলাইপাড়ের গান গেয়ে থাকেন। তার অধিকাংশই গান মরমী আর দেহতত্ত্বের গান তাছাড়া তিনি লোকগানের স্রষ্টা। মূলত তার গান মরমী ভাবাদর্শে রচিত। সুরের দিক থেতে প্রায় গানই কীর্তনাঙ্গের।
দিনাজপুরের লোকসংস্কৃতি: ঐতিহ্য ও উত্তরাধিকার
সামগ্রিকভাবে বিচার করলে দিনাজপুর জেলা লোকসংস্কৃতি সমৃদ্ধ একটা শহর। বাংলাদেশের অতীত ও বর্তমান ঐতিহ্য ও উত্তারাধিকারে মালিকানা সত্যিকার অর্থে রংপুর-দিনাজপুর-নীরফামারি-ঠাকুরগাঁসহ নানা এলাকা। কারণ ভারত সীমান্তবর্তী এই এলাকায় নানাশ্রেণির বণিক-ব্যবসায়িদেও যাতায়াত ছিলো-আছে। হযতো এর কিছুটা প্রায় অববিলুপ্তির পথে;কিন্তু লোকমানুষের সৃজনশীলতা যে সন্ধান পাওয়া যায় এই অ লে তা অবর্নণীয়। এ অ লেরর পালাটিয়া,কবিগান ও প্রত্ন-সম্পদের স্বারক যে কোনো জেলাকে উদ্ধুদ্ধ করবে। আসলে বৃটিশ শাসকগোষ্ঠির সময়ে যখন পশ্চিম দিনাজপুর ও দিনাজপুর নামক দুইটি বিভাগে ভাগ যায় তার আগ পর্যন্ত এবং দেশভাগের ৪৭শের পর এর পটভূমির পরিবর্তন চোখে পড়ে। বিশেষ করে মালদা,মুর্শিদাবাদ,আসাম, মেঘালয় ও পশ্চিম দিনাজপুরের ভাব সম্পদই ছিলো আমাদের দিনাজপুর কেন্দ্রিক সংস্কৃতি। বাংলার হাজারো জনপদে অসংখ্য প্রতিভাবান কবিয়াল লোকশিল্পী উত্তরবঙ্গে জন্ম গ্রহণ করেন। প্রচার বিমুখ এবং অবহেলিত সেই সব গুণিদের হৃদয় থেকে উৎসারিত পংক্তিমালাই যুগে যুগে লোকসংগীত নামে পরিচিত। লোকসংগীত মূলত জনগনের হৃদয়লোকের কাঙ্খিত আবেদন বলে বিবেচিত করা হয়। যতোদূর মনে হয় লোকগানের আর্বিভাব সম্ভবত উত্তরবঙ্গ তথা দিনাজপুরের শেষ প্রান্ত থেকেই। আমাদেও দিনাজপুরি লোকগানের বিভিন্ন ধারা আছ্ েএর মধ্যে রংপুর অ লের ভাওয়াইয়া, রাজশাহীর চাপাইনবাবগঞ্জের গম্ভীরা ও দিনাজপুরের মুর্শিদি বেশ জনপ্রিয়।
লোকগান আবহমানকালের সম্পদ। লোকসংগীতটা আসলে আমাদের রক্তের সাথে মেশা। লোকসংগীত একজন প্রকৃত বাঙালিকে তো আসলে শিখতে হয় না-এ ধারণা সব বাঙালির যে দেশের আকাশে বাতাসে লোকসংগীতের সুর। বিধৈত বিরলের মাটি জল মাঠ ঘাট লোকসংগেিত ভরপুর। সবার মুখে মুখে লোকসংগীত-বাড়িতে বাউলা গানের আসর পাড়া-মহল্লায় বাউলা গানের আসর। আমাদের লোকগানের সম্রাট সচীনদেব বর্মন, আব্বাসউদ্দীন লোকগানকে সমৃদ্ধ করেছেন। তাঁরা আজীবন জনপ্রিয়।
প্র্যাকটিক্যালি এম এ কুদ্দুস সরকার দিনাজপুরি আ লিক ভাষার নিজস্বরীতিতে ভাওয়াইয়া,ভাটিয়ালি, মুর্শিদি-ধর্মীয় ,বিচ্ছেদীসাধনার গান বলে আখ্যা দেয়া যেতে পারে।
আমরা জানি-পৃথিবীর সব দেশেই লোকসংগীতে স্রষ্টা যাঁরা তাঁরা একটা বৃহত্তর লোকসমাজের জনগোষ্ঠী। সেই জনগোষ্ঠীর অন্তর্ভূক্ত যিনি একবারেই নন তিনি যদি র্চচা করেন তবে তাঁর চর্চাটা হবে একটা নাগরিক চর্চা। সত্যিকার অর্থে একজন শিল্পী হচ্ছেন একদিকে ংরহমবৎ ধহফ ঢ়ৎবংবৎাবৎ এই ঢ়ৎবংবৎাধঃরড়হ যিনি করেন, তাঁর স্মৃতির মধ্যে ,যাঁর শ্রুতির মধ্যে এগুলো সংরক্ষিত থাকে। তিনি পরবর্তীকালে যেখানেই বাস করুক না কেন,তাঁর সেই সংগৃহীত উপাদান তিনি স্বাচ্ছন্দ্যে ব্যবহার করতে পারেন আমাদের লোক-ঐতিহ্যের মধ্যে,সংগীতের মধ্যে। এম এ কুদ্দুস সরকারের ক্ষেত্রে প্রায় এমনটাই ঘটেছে ভয়ংকর সুন্দরভাবে। কারণ তিনি লোকগানকে ঢ়ৎবংবৎাব করেছেন। ভাটিয়ালি আর তুলাইপাড়ের গান সবাই গাইতে পারেন না। তার গানের ভাবদর্শন কিছুটা মারফতি টাইপের। কবিয়াল কুদ্দুস সরকার যব রং যরমযষু ফবাড়ঃবফ ধহফ ভধরঃযভঁষঃড় যরং পড়সসঁহরঃু ধহফ ঃযব পড়ঁহঃৎু তার বাঙালি সংস্কৃতি অর্থ্যাৎ বিরলীয়া আ রিকতার প্রতি গভীর টান সেই সংস্কৃতির প্রতি তিনি বেশ ভধরঃযভঁষ আর সেটা যথেষ্ট পরিমাণে এত কোনো সন্দেহ নেই। সেটাকে রেখেই তিনি গান করেন। ফরংঃড়ৎঃ করেননি , এটাই হচ্ছে বৈশিষ্ট। অন্যরা ,যাদের একদম জীবনের সাথে সংযোগ নেই। ভাটিয়ালি গান কেমন করে গাইবে ? সারিগার কী করে গাইবে ? আজকাল আমাদের ওখানে টুসিগান করেন অনেকে। তবে কুদ্দুসের আ লিক গান পুরোদমে ধঁঃযবহঃরপ তাদের কোনো ব্যালাড গান নেই। কতোকগুলোর টিউন আছে কতোকগুলোর অরিজিনাল আর কতোকগুলো লোকসুর আছে যেগুলো এক সময়ে খুব ফ্লারিশ করে -আমাদের কবিগান –যাত্রা ফ্লারিশ করেছিলো। গীতিকারের ক্ষেত্রেও তা-ই ঘটেছিলো । খুউব ফ্লারিশ করেছিলো এতে সমৃদ্ধ হয়েছিলো বিভিন্ন গায়নরীতি এবং বাংলার বিভিন্ন অ লের সংহত একটা রুপলাভ করেছিলো । কিন্তু কোনো কারণে বিচ্ছিন্ন হয়ে সেটা যখন টুকরো টুকরো হয়ে যায় তখন তার সুরগুলো সমাজের মর্মকোষের মধ্যে কোথাও বিছিন্নভাবে লুকিয়ে থাকে। ফড়ৎসধহঃ হয়ে যায়। এই ফড়ৎসধহঃ সুরকে খুঁজে বার করতে হলে তার শতোর্পাবণ নানারকমের রিচুয়্যালগুলো তন্নতন্ন করে খুঁজতে হয়। এমনকি আদিবাসী সংগীতের মধ্যেও এগুলো পাওয়া যায়। সেগুলোকে যদি বের করে কেউ গেঁথে দিতে পারে একটা মালা, দেখবেন যে ড়ৎমরহধষ ভড়ৎস টা খুঁজে পাচ্ছেন।
তার মানে লোকসংগীতের মধ্যে যে সুরটা থাকে তার সড়ঃযবৎ ঃঁহব বের করতে হলে জিওগ্রাফিটা বিবেচনায় রাখতে হবে এবং নৃতাত্ত্বিক বৈশিষ্ট্যগুলো আলোচনা করতে হবে। কোন অ ল থেকে প্রবাহিত হয়ে আসছে সেই পঁষঃঁৎব মবহব টাকে একদম তন্নতন্ন করে খুঁতে হবে।
বিরল তথা তুলাইপাড়ের আবহাওয়া জলের সাথে জলবায়ুর সাথে মানুষের লোকসংগীতের একটা মস্তবড় অন্তরের মিল রয়েছে।
লোকনাট্যকলা এবং লোকশিল্প উদ্ভব ও বিকাশলাভ হয়েছে মুলত বেশ কয়েকটি ধারাকে কেন্দ্র করেই গড়ে উঠেছে লোকবিশ্বাস-ধ্যান-ধারণা,আচার-অনুষ্ঠান ও মৌলিক দেব- দেবীর আর্বিভাবে মাহাত্ন কীর্তনই লোকনাট্যের ও উদ্ভব বিকাশ ঘটেছে। দিনাজপুরের লোকনাট্যের ধারা ও বিষয় বেশ বৈচিত্রময়। দিনাজপুরের সংস্কৃতির প্রেক্ষাপট নিয়ে আলোচনা করতে গেলে প্রথমেই আসে পালাটিয়ার প্রসঙ্গ । এখন পর্যন্ত এর বিকাশ পরিচয় বহন করে চলেছে দিনাজপুর। দিনাজপুর অ লে এই পালাটিয়া সাধারণ বাংলা শ্রাবণ মাস থেকে অগ্রহায়ণ মাস পর্যন্ত খোলা মে পরিবেশিত হয়। এছাড়া বিশেষ বিশেষ কারণে এ অ লে ভাদ্র মাসের মেলা বসে। এই মেলায় চরকপূজা ছাড়া পালাটিয়াগান-কীর্তন এবং পুতুলনাচ চলে। সম্প্রতি বিখ্যাত সংস্কৃতি শিল্পী পরেশ এর নামকরণে একটি মেলা অনুষ্ঠিত হয়। দিনাজপুরে বিখ্যাত যেসব পালাটিয়া ও পালাগান পরিবেশিত হয় তাদের সংক্ষিপ্ত চিত্র নিচে দেখানো হলো।
১। বিশ^ হাদাংকারী ২। নয়নজলী ৩। দ্বিজনকুমার সারথীবালা ৪। হাউসের বেহাই; হাউসের বেহানী ৫। কাউসা কাউসি ৬। সংসার লীলা ৭। বুলেট দারগা ৮। লক্ষ্মী বিদায়, ডাকিনি বধু ৯। বীর বাঙালি ১০। বাংলার বীর ১১। কলির ছলনা ১২। কমলার বনবাস ১৩। যব্দয়ারী ১৪। মহিমার সংসার ১৮। সন্তান কেন চাকর ১৯। নিঃসন্তান রাজা ২০। সত্য মিথ্যা ২১। নিখাংগিয়ার পালা ২২।সকাল সরি-বিকাল বাউদিয়া ২৩।চাকাই সরি, ধুরেশ বাউদিয়া ২৪। বাওন হাইরানি ২৫।আচ্চক সরি, উনমৎ মাহাজন ২৬। নিমাই সন্ন্যাস ২৭। হরিদাস ২৮। নন্দরাণী, মর্ডান গুন্ডা, প্রভৃতি।
পালাটিয়ার কয়েকজন মাস্টার:
লোকনাট্য পালাটিয়ার গান ও সংলাপ আধুনিক নাটকে সাম্প্রতিক সময়ে ব্যবহৃত ইম্পোভাইজেশন রীতি অনুযায়ী দীর্ঘদিন থেকে প্রয়োগ হয়ে আসছে। সংলাপগুলো মৌখিক রীতিতে থাকলেও গানগুলোকে লিপিবদ্ধ করা হয়। এই গান ও সংলাপ যারা কম্পোজ করেন, তাদেরকে মাস্টার বলা হয়ে থাকে। দিনাজপুর ও বিরল অ লের কয়েকজন পালাটিয়া মাস্টার হচ্ছেন: ১। ধীরেন চন্দ্র দাশ ২। নরেশ চন্দ্র দাশ ৩। দেবেন রায় ৪। অতীন্দ্র নাথ রায় ৫। মিন্টু রায় ৬। শুকুর চন্দ্র রায় ৭। অনাদী সরকার ৮। লাল মোহন প্রভৃতি। বিরল এলাকার পালাটিয়া ও মাস্টারদের নাম: ১। শুখ চাঁন দেব ২। শচীন বাঙরু ৩। হীরা লাল রায় ইত্যাদি।
এই পালাটিয়া ও যাত্রাগানের মধ্যে দিয়েই দিনাজপুরের আদি সাংস্কৃতি এবং লোকগানের মর্ম লুকিয়ে আছে। বলা য়ায় এই বিবর্তনের ভেতরেই লোকগানের উদ্ভব ও ক্রমবিকাশ ঘটেছে।
দিনাজপুরের লোকশিল্পীর তালিকা
১.
দিনাজপুর জেলা
সত্য রায় [পালাটিয়ার মাস্টার ও অভিনয়শিল্পী], ঠিকানা: ঝিনাইকুরি, বিরল, দিনাজপুর, ফোন: ০১৭৩৭৪৭০১৬৩
বিকাশ রায় [পালাটিয়ার নারী চরিত্রের অভিনয়শিল্পী], ঠিকানা: ঘাসিলা, বিরল, দিনাজপুর। ফোন: ০১৭৫১১৭৪৪০৭
উত্তর রায় [পালাটিয়ার নারী চরিত্রের অভিনয়শিল্পী], ঠিকানা: ঝিনাইকুড়ি, বিরল, দিনাজপুর। ফোন: ০১৭৭৩০১০০৮২
শ্যামল রায় [পালাটিয়ার নারী চরিত্রের অভিনয়শিল্পী], ঠিকানা: দ্বিপনগর, কাহারোল, দিনাজপুর। ফোন: ০১৭৬২৭৫৫৫৭৪
ভবানু রায় [পালাটিয়ার নারী চরিত্রের অভিনয়শিল্পী], ঠিকানা: সাতোল, কাহারোল, দিনাজপুর। ফোন: ০১৭৪৫৫০২১৬৭
কৌশল রায় [পালাটিয়ার নারী চরিত্রের অভিনয়শিল্পী], ঠিকানা: বনরা, কাহারোল, দিনাজপুর। ফোন: ০১৭৯৬১৩৮৬০৮
পলাশ রায় [পালাটিয়ার অভিনয়শিল্পী], ঠিকানা: রায়পুর, কাহারোল, দিনাজপুর। ফোন: ০১৭০৫৯৫০৭১২
মহেশ চন্দ্র রায় [পালাটিয়ার অভিনয়শিল্পী], ঠিকানা: রামচন্দ্রপুর, কাহারোল, দিনাজপুর। ফোন: ০১৭৫৭৯৭০৩৩৯
সুবাশ রায় [পালাটিয়ার অভিনয়শিল্পী], ঠিকানা: মদনপুর, বীরগঞ্জ, দিনাজপুর। ফোন: ০১৭৯৬১৩৮৮১০
নিশি রায় [পালাটিয়ার অভিনয়শিল্পী ও বাদ্যযন্ত্রী (ক্যাসিও)], ঠিকানা: উকুনপুর, কাহারোল, দিনাজপুর। ফোন: ০১৭৩৮৫৫৩৫৬১
দিলিপ রায় [পালাটিয়া দলের বাঁশীবাদক], ঠিকানা: আমইন দরকোতয়ালী, ফোন: ০১৭৩০৮৩৩২৮৯
দিনেশ রায় [পালাটিয়ার অভিনয়শিল্পী], ঠিকানা: সাতোর, কাহারোল, দিনাজপুর। ফোন: ০১৭৮৫২৬৩৮২৭
মানিক রায় [পালাটিয়ার নারী চরিত্রের অভিনয়শিল্পী], ঠিকানা: হাটিয়ারি, কাহারোল, দিনাজপুর। ফোন: ০১৭৫০৭৩১৪১৮
অতুল রায় [পালাটিয়ার অভিনয়শিল্পী], ঠিকানা: গোবিন্দপুর, বিরল, দিনাজপুর। ফোন: ০১৭৩৬৭৯০৫৭৯
নমলু রায় [পালাটিয়া দলের বাদ্যযন্ত্রী], ঠিকানা: সুন্দইল, কাহারোল, দিনাজপুর। ফোন: ০১৭৮৪০৯৯২৭৫
ভাদু রায় [পালাটিয়ার অভিনয়শিল্পী], ঠিকানা: ইশানিয়া, বোচাগঞ্জ, দিনাজপুর। ফোন: ০১৭৭৬৯৪৯০৭
নমল রায় [পালাটিয়া দলের বাদ্যযন্ত্রী], ঠিকানা: তারগাঁও, কাহারোল, দিনাজপুর। ফোন: ০১৭৬০৫৬৬১১১
বদ্ধ রায় [পালাটিয়ার অভিনয়শিল্পী], ঠিকানা: তুরকদেওগা, কাহারোল, দিনাজপুর। ফোন: ০১৭৯১৮৬৮৩৯
মনা রায় [পালাটিয়ার অভিনয়শিল্পী], ঠিকানা: মানিকপুর, বোচাগঞ্জ, দিনাজপুর। ফোন: ০১৭০৯৫৩৪৭৫৫
সুবল দেব [পালাটিয়ার অভিনয়শিল্পী], ঠিকানা: সুন্দরপুকুর, কাহারোল, দিনাজপুর। ফোন: ০১৭৮৪৯৫২৩৮৫
মিলন রায় [পালাটিয়ার মাস্টার ও অভিনয়শিল্পী], ঠিকানা: তারাপুর, কাহারোল, দিনাজপুর। ফোন: ০১৭৭০৬৭৩১৮০
অতিন রায় [পালাটিয়ার নারী চরিত্রের অভিনয়শিল্পী], ঠিকানা: নির্মল, কাহারোল, দিনাজপুর। ফোন: ০১৭৮৩৫৫৩৩৩
কেশরী রায় [কান্দেনা বিষহরির গায়েন], ঠিকানা: দৌলতপুর, কাহারোল, দিনাজপুর। ফোন: ০১৭৩৪৮৬৯৫১৭
পরিমল রায় [কান্দেনা বিষহরির অভিনয়শিল্পী], ঠিকানা: হাটিয়ারী, কাহারোল, দিনাজপুর। ফোন: ০১৭৫৫৪৪০৩২৫
নারায়ন রায় [কান্দেনা বিষহরির অভিনয়শিল্পী], ঠিকানা: কাঠেনা, কাহারোল, দিনাজপুর। ফোন: ০১৭৫০৫৮৬৯২৭
সুকুমার রায় [কান্দেনা বিষহরির অভিনয়শিল্পী], ঠিকানা: দৌলতপুর, কাহারোল, দিনাজপুর। ফোন: ০১৭২৩৪৪৬০৭১
লক্ষী কান্ত রায় [কান্দেনা বিষহরির গায়েন], ঠিকানা: রনগাঁও, বীরগঞ্জ, দিনাজপুর ফোন: ০১৭৫৩৪০৮৮২৮
অলিন দেব [কান্দেনা বিষহরির অভিনয়শিল্পী], ঠিকানা: সুলতানপুর, কাহারোল, দিনাজপুর। ফোন: ০১৭৯২৫২৬৫৩
হরেন্দ্র নাথ রায় [পালাটিয়ার ম্যানেজার ও অভিনয়শিল্পাী], ঠিকানা: মানিকপুর, বোচাগঞ্জ, দিনাজপুর। ফোন: ০১৭১৯৫২০৬০৯
সুমন রায় [পালাটিয়া দলের বাদ্যযন্ত্রী (ক্যাসিও) এবং অভিনয়শিল্পী], ঠিকানা: বালাপুকুর, বিরল, দিনাজপুর। ফোন: ০১৭৭৪০৪১৫৩৮
মঙ্গলু রায় [পালাটিয়ার মাস্টার ও অভিনয়শিল্পাী], ঠিকানা: কৈনগর, কাহারোল, দিনাজপুর। ফোন: ০১৭৪২৬৯৯৫০৮
আষাঢ়ু দাশ [পালাটিয়া দলের বাদ্যযন্ত্রী (তবলা)], ঠিকানা: তাড়গাঁও, কাহারোল, দিনাজপুর। ফোন: ০১৭৬১০৭৬৫৭
রবি রায় [পালাটিয়ার নারী চরিত্রের অভিনয়শিল্পাী], ঠিকানা: ওলোন, কাহারোল, দিনাজপুর। ফোন: ০১৭৬২৯৪১৫১৪
কার্তিক রায় [পালাটিয়ার অভিনয়শিল্পাী], ঠিকানা: কুশোট, কাহারোল, দিনাজপুর। ফোন: ০১৭৭৩৫৩০২১৩
তাপস রায় [পালাটিয়ার নারী চরিত্রের অভিনয়শিল্পাী], ঠিকানা: চুরগাঁও, কাহারোল, দিনাজপুর। ফোন: ০১৭৮৫৩৭৯৩৬১
করুনা রায় [পালাটিয়ার নারী চরিত্রের অভিনয়শিল্পাী], ঠিকানা: দৌলতপুর, কাহারোল, দিনাজপুর। ফোন: ০১৭২৫১৭৩৭৪০
নিত্য রায় [পালাটিয়ার অভিনয়শিল্পাী], ঠিকানা: দেওখরা, বোচাগঞ্জ, দিনাজপুর। ফোন: ০১৭৯২৭৯১৭৭৫
জলেন দাস [পালাটিয়ার অভিনয়শিল্পাী], ঠিকানা: দৌলা, বোচাগঞ্জ, দিনাজপুর। ফোন: ০১৭৫৫৩৪৫৯৪
শান্ত রায় [পালাটিয়ার অভিনয়শিল্পী], ঠিকানা: তুরুকদেওড়া, কাহারোল, দিনাজপুর। ফোন: ০১৭৪৪৬৫৯৬৭৯
প্রভাশ বসাক [পালাটিয়ার অভিনয়শিল্পী], ঠিকানা: জামতলী, বিরল, দিনাজপুর। ফোন: ০১৭৬১১০৭২০৫
কমল রায় [পালাটিয়ার নারী চরিত্রের অভিনয়শিল্পী], ঠিকানা: ইশানিয়া, বোচাগঞ্জ, দিনাজপুর। ফোন: ০১৭৪৩০১৮৫০৭
পরেশ রায় [পালাটিয়ার অভিনয়শিল্পী], ঠিকানা: জামতলী, বিরল, দিনাজপুর ফোন: ০১৭৪৯৯৭৪৬৪১
ভরত রায় [পালাটিয়ার নারী চরিত্রের অভিনয়শিল্পী], ঠিকানা: ইশানিয়া, বোচাগঞ্জ, দিনাজপুর। ফোন: ০১৭৮৫২২১৭৭৪
মহাদেব রায় [পালাটিয়ার নারী চরিত্রের অভিনয়শিল্পী], ঠিকানা: সাহাপুর, কাহারোল, দিনাজপুর। ফোন: ০১৭২২৮৫৬৭৪৯
বিপুল রায় [পালাটিয়ার নারী চরিত্রের অভিনয়শিল্পী], ঠিকানা: মহাশাইল, কাহারোল, দিনাজপুর। ফোন: ০১৭৫৫২৪৫১৩২
বিষ্টু রায় [পালাটিয়ার নারী চরিত্রের অভিনয়শিল্পী], ঠিকানা: ইশানিয়া, কাহারোল, দিনাজপুর। ফোন: ০১৭৫৫৯৮২৭৪৬
হৃদয় রায় [পালাটিয়ার নারী চরিত্রের অভিনয়শিল্পী], ঠিকানা: সাহাপুর, কাহারোল, দিনাজপুর। ফোন: ০১৭৪২৪৫৫৭০৩
হরকুমার রায় [পালাটিয়া দলের বাঁশীবাদক], ঠিকানা: খন্তা, কাহারোল, দিনাজপুর। ফোন: ০১৭৬১৭০৩৯২৮
নিশি কান্ত [পালাটিয়া দলের বাঁশীবাদক], ঠিকানা: উকুনপুর, কাহারোল, দিনাজপুর। ফোন: ০১৭৫১০৭৯৩৩১
সুনীল দেব [পালাটিয়ার নারী চরিত্রের অভিনয়শিল্পী], ঠিকানা: সুন্দরপুকুর, কাহারোল, দিনাজপুর। ফোন: ০১৭৩৭৪৮৬৪৯৭
সতীশ দেব [পালাটিয়া দলের বাদ্যযন্ত্রী (ক্যাসিও)], ঠিকানা: কৈনগর, কাহারোল, দিনাজপুর। ফোন: ০১৭৭৪৭২৩৪৪৯
কলেজ দেব [পালাটিয়ার নারী চরিত্রের অভিনয়শিল্পী], ঠিকানা: এ, কাহারোল, দিনাজপুর। ফোন: ০১৭০১৯১১১৫৫
জিতেন রায় [পালাটিয়া দলের বাদ্যযন্ত্রী (ক্যাসিও)], ঠিকানা: সুন্দরপুর, কাহারোল, দিনাজপুর। ফোন: ০১৭২৫৬৭৭৫২৪
সুসেন রায় [পালাটিয়ার অভিনয়শিল্পী], ঠিকানা: মুকুন্দপুর, কাহারোল, দিনাজপুর। ফোন: ০১৭৪৩৮১১৭৫৩
রনজিত রায় [পালাটিয়ার নারী চরিত্রের অভিনয়শিল্পী], ঠিকানা: পাহাড়পুর, কাহারোল, দিনাজপুর। ফোন: ০১৭৬৭৫১২৭৭৯১১১
ধিমান রায় [পালাটিয়া দলের বাঁশি বাদক], ঠিকানা: বেলবাড়ি সদর, ফোনা: ০১৭৭৪৭৭২৩১৪
সুমন্ত রায় [পালাটিয়ার অভিনয়শিল্পী], ঠিকানা: তাড়গাঁও, কাহারোল, দিনাজপুর। ফোন: ০১৭৫২২০৫৪০৮
যোগেশ চন্দ্র [পালাটিয়া গানের পালাকার ও শিল্পী], ঠিকানা: দিনাজপুর। ফোন: ০১৭২৭৮৭৭৬৫৬
নির্মলচন্দ্র দাস [বাঁশের তৈরি শিল্পকর্মের শিল্পী], ঠিকানা: ফুলবাড়ি, দিনাজপুর। ফোন: ০১৭৭৩২৮০১১৮
ধনীচরণ বর্মন [সত্যপীরের গানের ছোকড়া], ঠিকানা: শিকিরামপুর, বীরগঞ্জ, দিনাজপুর। ফোন: ০১৩০১১০৪৭৬৬
হরি বর্মন [সত্যপীরের গানের গীদাল], ঠিকানা: শিকিরামপুর, বীরগঞ্জ, দিনাজপুর। ফোন: ০১৭৫১৪৩০৮৭০
মনসুর আলী [সত্যপীরের গানের ছোকড়া] ঠিকানা: শিকিরামপুর, বীরগঞ্জ, দিনাজপুর। ফোন: ০১৭৮৬৯৮০৯৮১৬
গনেশ [সত্যপীরের গানের গীদালা], ঠিকানা: শিকিরামপুর, বীরগঞ্জ, দিনাজপুর। ফোন: ০১৭০০৬০৯৪৭৩
সত্যেন চন্দ্র [শিকদেহর/দোয়ারী]. ঠিকানা: উনোট, বোচাগঞ্জ, দিনাজপুর। ফোন: ০১৭৮৬৭৬৮৮২৩
তারাপদ বর্মন [সত্যপীরের গানের গীদাল], ঠিকানা: সিংহদানী, বোচাগঞ্জ, দিনাজপুর। ফোন: ০১৭৭৩৬০৮৪৯৭
ভবানী [সত্যপীরের গানের ছোকড়া], ঠিকানা: জয়নন্দবাজার. বোচাগঞ্জ, দিনাজপুর। ফোন: ০১৭৩৬১৩২৪৩১
শ্যামল [সত্যপীরের গানের ছোকড়া], ঠিকানা: মাহানপুর, বীরগঞ্জ, দিনাজপুর। ফোন” ০১৭৩৬১৩২৪৩১
কৃষ্ণ চন্দ্র [সত্যপীরের গানের ছোকড়া], ঠিকানা: সোনাপুর দিঘী, বীরগঞ্জ, দিনাজপুর। ফোন: ০১৭৮৪৯৩২১৫৬
মণিদত্ত অধিকারী [দলমালিক. সমন্বয় পুতুলনাচ], ঠিকানা: বাসুদেবপুর রনগাঁও, বোচাগঞ্জ, দিনাজপুর। ফোন: ০১৭৭৫৫৫৫৪২১
জগদীশ চন্দ্র রায় [ দলমালিক, জাগরণ চায়না পুতুল নাট্য দল] ঠিকানা: সুন্দল, কাহারোল, দিনাজপুর। ফোন: ০১৭২৮৩১৫৯৪৬
নিতাই চন্দ্র সরকার [কবি গানের কবিয়াল] ঠিকানা: মহুগাঁও, বীরগঞ্জ, দিনাজপুর। ফোন: ০১৭৪৫২৭৭৬৩১
ভূবন মোহন সরকার [কবিগানের মাষ্টার], ঠিকানা: মহুগাঁও, বীরগঞ্জ, দিনাজপুর। ফোন: ০১৭৬৭২২৯১৭২
অরুন চন্দ্র সরকার [কবিগানের ঢোলবাদক], ঠিকানা: মহুগাঁও আমতলী, বীরগঞ্জ, দিনাজপুর। ফোন: ০১৭৭৩০৭৭৬৫৬
রাম বাবু [কবিগানের কাশি বাদক], ঠিকানা: মহুগাঁও আমতলী, বীরগঞ্জ, দিনাজপুর। ফোন: ০১৭৫০৪৩৫৫৩৮
নারদ চন্দ্র সরকার [কবিগানের হারমোনিয়াম বাদক], ঠিকানা: মহুগাঁও আমতলী, বীরগঞ্জ, দিনাজপুর। ফোন: ০১৭০৪২২৬৪৪০
মঞ্জু সরকার [কবিগানের পাইল দোহার], ঠিকানা: জুড়াইল, পার্বতীপুর, দিনাজপুর। ফোন: ০১৭৬৪৮০২৫৭৪
মো. আব্দুর রহমান বয়াতি [আ লিক গান ও জারিগানের শিল্পী] ঠিকানা: দিনাজপুর। ফোন: ০১৭৯৩৯৯৭৬৭৯
দুলাল বসাক [পল্লীগীতি, ভাওয়াইয়া] ঠিকানা: দিনাজপুর। ফোন: ০১৭১৭৬৭৫৫৪৭
মো. খলিলুর রহমান [পল্লীগীতি ও ভাওয়াইয়া শিল্পী] ঠিকানা: দিনাজপুর। ফোন: ০১৮৩২৯৩৩০৯২
ধ্রুব রঞ্জন বসাক [আ লিক গান ও কীর্তন শিল্পী], ঠিকানা: দিনাজপুর। ফোন: ০১৭১৭৬৭৫৫৪৭
সেন্টু কুমার হালদার [পল্লীগীতি ও কীর্তন শিল্পী] ঠিকানা: দিনাজপুর। ফোন: ০১৭৫০৮৯৭৬৬৯
ইসরাইল বেপারী [পল্লীগীতি, কীর্তন ও বিচ্ছেদ গানের শিল্পী], ঠিকানা: দিনাজপুর। ফোন: ০১৮৪৫০২৪৪১২
জ্যোতিষ চন্দ্র অধিকারী [গীতিকার, পল্লীগীতি ও কীর্তনশিল্পী], ঠিকানা: দিনাজপুর। ফোন: ০১৭২৪১৩৯৩৯০
বিমল চন্দ্র রায় [পল্লীগীতি ও কীর্তনশিল্পী], ঠিকানা: কোতয়ালী, দিনাজপুর। ফোন: ০১৭৫৩৬২৯৯৩৫
সুবোধ গোস্বামী [কীর্তনশিল্পী], ঠিকানা: দিনাজপুর। ফোন: ০১৭৩৮৫৫৩২৮১
দূর্গাচরণ রায় [কীর্তনশিল্পী] ঠিকানা: দিনাজপুর। ফোন: ০১৭৭৩৭৪৬৫৪৭
গোপেশ চন্দ্র রায় [আ লিক গান ও কীর্তন শিল্পী] ঠিকানা: দিনাজপুর। ফোন: ০১৭১০৬৩১৩৫৭
ধীরেন্দ্রনাথ রায় [কীর্তনশিল্পী], ঠিকানা: কাহারোল, দিনাজপুর। ফোন: ০১৭৮৪৯০০৩৮১
যোগেন্দ্রনাথ রায় [হরিলুপ, কীর্তনশিল্পী], ঠিকানা: দিনাজপুর। ফোন: ০১৭৪৪৩৮০৮৬৮
মদন চন্দ্র রায় [পালাটিয়া ও দোলের গান শিল্পী], ঠিকানা: ডাবরা দিনেশ^রী, দিনাজপুর। ফোন: ০১৭৬৪৮০৭২০৩
ভোলানাথ রায় [আ লিক গান ও কীর্তনশিল্পী], ঠিকানা: দিনাজপুর। ফোন: ০১৭৫০৮৫৬৮৭৩
অমৃত কুমার রায় (সাধু) [কীর্তনশিল্পী], ঠিকানা: দিনাজপুর। ফোন: ০১৭৭৩৭০৭৬০৬
প্রমদ চন্দ্র রায় [আ লিক গান ও কীর্তনশিল্পী], ঠিকানা: দিনাজপুর। ফোন: ০১৭৮৮০৯০৬১৪
ঠাকুর দাস রায় [কীর্তনশিল্পাী], ঠিকানা: দিনাজপুর। ফোন: ০১৭৯৬১৩৮৩৪১
মো. আসাদুজ্জামান [কীর্তনশিল্পী], ঠিকানা: দিনাজপুর। ফোন: ০১৭১০৬০৬৭৬৯
যোগেন্দ্রনাথ রায় [হরিলুট ও কীর্তনশিল্পী], ঠিকানা: দিনাজপুর। ফোন: ০১৭৪৪৩৮০৮৬৮
মনদ চন্দ্র রায় [পালাটিয়া ও দোলের গানশিল্পী], ঠিকানা: ডাবরা দিবেশ^রী, দিনাজপুর। ফোন: ০১৭৬৪৮০৭২০৩
ভোলানাথ রায় [আ লিক গান ও কীর্তন শিল্পী], ঠিকানা: দিনাজপুর। ফোন: ০১৭৫০৮৫৬৮৭৩
অমৃত কুমার রায় (সাধু) [কীর্তনশিল্পী] ঠিকানা: দিনাজপুর। ফোন: ০১৭৭৩৭০৭৬০৬
প্রমদ চন্দ্র রায় [আ লিক গান ও কীর্তনশিল্পী], ঠিকানা: দিনাজপুর। ফোন: ০১৭৮৮০৯০৬১৪
ঠাকুর দাস রায় [কীর্তনশিল্পী], ঠিকানা: দিনাজপুর। ফোন: ০১৭৯৬১৩৮৩৪১
মো. আসাদুজ্জামান [কীর্তনশিল্পী], ঠিকানা: দিনাজপুর। ফোন: ০১৭১০৬০৬৭৬৯
যোগেন্দ্রনাথ রায় [হরিলুট ও কীর্তনশিল্পী], ঠিকানা: সদর, দিনাজপুর। ফোন: ০১৭৪৪৩৮০৮৬৮
হরেন্দ্রনাথ রায় [প্রচলিত লোকগীতি শিল্পী], ঠিকানা: দিনাজপুর। ফোন: ০১৭২৬০০৭৩৪৩
নির্মল চন্দ্র সরকার [কবিগানের শিল্পী], ঠিকানা: দিনাজপুর। ফোন: ০১৭৩২৮২৬০৪৪
মৃন্ময় রায় [কীর্তন প্রচলিত লোকগীতি], ঠিকানা: খোচনা, চিরিরবন্দর, দিনাজপুর। ফোন: ০১৭৮৪০৩০২১৩
গজেন্দ্রনাথ রায় [খোল ও কীবোর্ড বাদক], ঠিকানা: তেতুলিয়া, চিরিরবন্দর, দিনাজপুর। ফোন: ০১৭১৭১৫৮৩৩৯
অজিত সরকার [কবিগানের শিল্পী], ঠিকানা: দিনাজপুর। ফোন: ০১৭২৬০০৭৩৪৩
জয়ন্ত রায় [খোল বাদক], ঠিকানা: খোচনা, চিরিরবন্দর, দিনাজপুর। ফোন: ০১৭৪৪৯৩৬৫৪২
মাহফুজুর রহমান বাবু [কবিগানের শিল্পী], ঠিকানা: লক্ষীপুর, চিরিরবন্দর, দিনাজপুর। ফোন: ০১৭৩২৯৬৫৩৮০
শরীফা সরকার [জারিগানের শিল্পী], ঠিকানা: দিনাজপুর। ফোন: ০১৭১০৬০৪৫৩৩
আয়নাল সরকার [জারিগানের শিল্পী], ঠিকানা: দিনাজপুর। ফোন: ০১৯৫৪২৮৬১৯৫
ভবেশ রায় মাথা [লোকসঙ্গীত শিল্পী] ঠিকানা: দিনাজপুর। ফোন: ০১৭৩৮৪৪৮৩৫৯
ইসরাইল ব্যাপারী [চারুগান], ঠিকানা: দিনাজপুর। ফোন: ০১৮৪৫০২৪৪১২
চন্দ্রমোহন রায় [ভাওয়াইয়া ও কীর্তন শিল্পী], ঠিকানা: দিনাজপুর। ফোন: ০১৭৮৬৬৮৭৪৮৯৩
আঙ্গাই মাতাজি [কীর্তন ও প্রচলিত লোকশিল্পী শিল্পী], ঠিকানা: দিনাজপুর। ফোন: ০১৭৮৫৩৯০৯৯৭
মো. আবু সাঈদ [গীত ও প্রচলিত লোকগীতি শিল্পী], ঠিকানা: দিনাজপুর। ফোন: ০১৭৪৭২৭৯৭৭০৬
চিনিমোহন রায় [আ লিক গান ও প্রচলিত লোকগীতি শিল্পী], ঠিকানা: দিনাজপুর। ফোন: ০১৭৪৪৮৬৩৩৫৫
এম, এ কুদ্দুস [কবিগানের কবিয়াল], ঠিকানা: দক্ষিণ রঘুনাথপুর, বিরল, দিনাজপুর। ফোন: ০১৭১৬৪৫৬০৬৫
ক্ষিতীশ চন্দ্র রায় [কবিগানের কবিয়াল], ঠিকানা: পূর্ব সুলতানপুর, কাহারোল, দিনাজপুর। ফোন: ০১৭২৮১৫০৮১৭
মালতি রানী দেবনাথ [কবিগানের শিল্পী], ঠিকানা: রসুলপুর, বীরগঞ্জ, দিনাজপুর। ফোন: ০১৭৩৫১২৮১২২
পরেশ চন্দ্র রায় [বাউলগানের শিল্পী], ঠিকানা: রায় কুমোরপুর, বীরগঞ্জ, দিনাজপুর। ফোন: ০১৭২৮১৫০১১৭
কাজল রানী রায় [কবিগানের কবিয়াল], ঠিকানা: কুমোরপুর, বীরগঞ্জ, দিনাজপুর। ফোন: ০১৭২৮১৫০৮১৭
দীনেশ চন্দ্র রায় [কবিগানের কবিয়াল], ঠিকানা: অকরগ্রাম, বিরল, দিনাজপুর। ফোন: ০১৭৪৪৯০০৭৩৭
নন্দ রাণী রায় [কবিগানের কবিয়াল], ঠিকানা: অকরগ্রাম, বিরল, দিনাজপুর। ফোন: ০১৭৪৪৯০০৭৩৭
স্বপন কুমার রায় [কবিগানের কবিয়াল], ঠিকানা: ফতেহাট, অকরগ্রাম, বিরল, দিনাজপুর। ফোন: ০১৭৪৪৯০০৭৩৭
শ্রীমতি প্রিয় রাণী [লোকসঙ্গীত শিল্পী], ঠিকানা: বিন্যাকুড়ি, চিরিরবন্দর, দিনাজপুর। ফোন: ০১৭৯৮৯৩০৯৯২
শ্রীমতি মালতি রাণী রসূলপুর [লোকসঙ্গীত শিল্পী] ঠিকানা: মাহানপুর, বীরগঞ্জ, দিনাজপুর। ফোন: ০১৭৩৫১২৮১২২
চিত্ত রঞ্জন রায় [লোকসঙ্গীত শিল্পী] ঠিকানা: বিন্যাকুড়ি, চিরিরবন্দর, দিনাজপুর। ফোন: ০১৭৯৮৯৩০৯৯২
শ্রীমতি ইতি রাণী [ লোকসঙ্গীত শিল্পী], ঠিকানা: বীরগঞ্জ, দিনাজপুর। ফোন: ০১৭৭৩৬৪৬৪৫৩
দীনেশ চন্দ্র রায় [ লোকসঙ্গীত শিল্পী], ঠিকানা: মদনপুর, বীরগঞ্জ, দিনাজপুর। ফোন: ০১৭৩৪৭৪২৪৭৬
শ্রীমতি মিনতি রাণী [ লোকসঙ্গীত শিল্পী], ঠিকানা: মদনপুর, বীরগঞ্জ, দিনাজপুর। ফোন: ০১৭৩৪৭৪২৪৭৬
জীতেন্দ্র নাথ সরকার [ ােলাকসঙ্গীত শিল্পী] ভান্ডারা, বিরল, দিনাজপুর। ফোন: ০১৭৪৩৫৮৪৪০১
শ্রীমতি মুক্তি রাণী সিংহ [ লোকসঙ্গীত শিল্পী]. ঠিকানা: মুনিপুর, সেতাবগঞ্জ, দিনাজপুর। ফোন: ০১৭৪৫৬২৫৮২৫
লিটন চন্দ্র [ লোকসঙ্গীত শিল্পী] ঠিকানা: মুনিপুর, সেতাবগঞ্জ, দিনাজপুর। ফোন: ০১৭৪৫৬২৫৮২৫
দিপক চন্দ্র সিংহ [ লোকসঙ্গীত শিল্পী], ঠিকানা: মুনিপুর, সেতাবগঞ্জ, দিনাজপুর। ফোন: ০১৭৬২৮২৮৩৭৩
মাহফুজুল আলম বাবু [ লোকসঙ্গীত শিল্পী], ঠিকানা: মুথুরাপুর, বাসুদেবপুর, চিরিরবন্দর, দিনাজপুর। ফোন: ০১৭৩২৯৬৫৩৮০
জিন্নাতুন নেছা [ লোক কবি], ঠিকানা, রানী বন্দও,নীলফামারি,দিনাজপুর। ফোন: ০১৭১৬৪৭৮৫১০
সনজিৎ চন্দ্র রায় [ লোকসঙ্গীত শিল্পী], ঠিকানা: মুথুরাপুর, বাসুদেবপুর, চিরিরবন্দর, দিনাজপুর। ফোন: ০১৭৩৭৭১৭৮২০
চিত্তরঞ্জন রায় [ লোকসঙ্গীত শিল্পী], ঠিকানা: বাসুদেবপুর, চিরিরবন্দর, দিনাজপুর। ফোন: ০১৭২৩৬৫৫৮৫৯
জাহেদুল ইসলাম [ লোকসঙ্গীত শিল্পী], ঠিকানা: কুড়াইল, আমবাড়ী, পার্বতীপুর, দিনাজপুর। ফোন: ০১৭৫০৭৮১৬২৯
শ্রীমতি মৌসুমী রাণী [ লোকসঙ্গীত শিল্পী], ঠিকানা: কুড়াইল, আমবাড়ী, পার্বতীপুর, দিনাজপুর। ফোন: ০১৭৫০৭৮১৬২৯
শ্রীমতি মৌসুমী রাণী [ লোকসঙ্গীত শিল্পী], ঠিকানা: কুড়াইল, আমবাড়ি, পার্বতীপুর, দিনাজপুর। ফোন: ০১৭১৮৯৪৯৭৬৮
ইকবাল হোসেন [ লোকসঙ্গীত শিল্পী] ঠিকানা: শালবাড়ি, মোস্তফাপুর, পার্বতীপুর, দিনাজপুর। ফোন: ০১৭৪৩৪৬৫৬৩২
আব্দুর রশিদ মন্ডল [ লোকসঙ্গীত শিল্পী] ঠিকানা: চক সদিলাম, মোস্তফাপুর, পার্বতীপুর, দিনাজপুর। ফোন: ০১৭৩৮৪৬৫৫০৬
পরিতোষ রায় [ লোকসঙ্গীত শিল্পী] ঠিকানা: খোচনা, দিনাজপুর। ফোন: ০১৭০৫৯৪২৮০৭
মিন্টু রায় [ লোকসঙ্গীত শিল্পী] ঠিকানা: খোচনা, দিনাজপুর। ফোন: ০১৭৫৯০২৭৩৭৬
স্বাধীন রায় [ লোকসঙ্গীত শিল্পী] ঠিকানা: খোচনা, দিনাজপুর। ফোন: ০১৭৫০৫১৮৭১১
বাবলু রায় [ লোকসঙ্গীত শিল্পী] ঠিকানা: চড়কডাঙ্গা বাজার, দিনাজপুর। ফোন: ০১৭৫৫৩৩১৯৭২
রাধা রাণী [ লোকসঙ্গীত শিল্পী] ঠিকানা: চড়কডাঙ্গা বাজার, দিনাজপুর। ফোন: ০১৭৮৪০৩০৩৪৮
মানবী রাণী [ লোকসঙ্গীত শিল্পী] ঠিকানা: চড়কডাঙ্গা বাজার, জেলা- দিনাজপুর। ফোন: ০১৭০৬৭৫৫২৭৮
সুজাতা রায় [ লোকসঙ্গীত শিল্পী] ঠিকানা: চড়কডাঙ্গা বাজার, দিনাজপুর। ফোন: ০১৭৯৬০৭৫৭৬১
শান্তি মহন্ত [ লোকসঙ্গীত শিল্পী] ঠিকানা: ঝানজিরা, দিনাজপুর। ফোন: ০১৭৩৬২৩৪২১৫
মনিন্দ্রনাথ রায় [ লোকসঙ্গীত শিল্পী] ঠিকানা: রামডুবিহাট, দিনাজপুর। ফোন: ০১৭৫৬৪৯০৬২৩
আইতু রায় [ লোকসঙ্গীত শিল্পী] ঠিকানা: চড়কডাঙ্গা বাজার, দিনাজপুর। ফোন: ০১৮১৬৪৯৪০২২
সাগর কুমার তাস [ লোকসঙ্গীত শিল্পী] ঠিকানা: চড়কডাঙ্গা বাজার, দিনাজপুর। ফোন: ০১৭৬২৮৯১১২২
শংকর দাস [ লোকসঙ্গীত শিল্পী] ঠিকানা: রাণীরবন্দর, দিনাজপুর। ফোন: ০১৭২৫৩৪৩৬৯৩
ধরণীকান্ত অধিকারী [ লোকসঙ্গীত শিল্পী] ঠিকানা: রাণীরবন্দর, দিনাজপুর। ফোন: ০১৭৮৪৯৭৩২৯২
মৃন্ময় রায় [ লোকসঙ্গীত শিল্পী] ঠিকানা: চাম্পাতলী, দিনাজপুর। ফোন: ১৩১৮২১২৬০৪
উদয় রায় [ লোকসঙ্গীত শিল্পী] ঠিকানা: খোচনা, দিনাজপুর। ফোন: ০১৭৮৪০৩০২১৩
ববিতা রায় [ লোকসঙ্গীত শিল্পী] ঠিকানা: ঘন্টাঘর, দিনাজপুর। ফোন: ০১৭৩৫০৩৪৭১৯
প্রদীপ রায় [ লোকসঙ্গীত শিল্পী] ঠিকানা: রামডুবিহাট, দিনাজপুর। ফোন: ০১৭১৩৭৩০০০৭
রসোদ আলম রনী [ লোকসঙ্গীত শিল্পী] ঠিকানা: খোচনা, দিনাজপুর। ফোন: ০১৭৫৭৯৭৬১১৯
গোলাপ চন্দ্র রায় [ লোকসঙ্গীত শিল্পী] ঠিকানা: চিরিরবন্দর, দিনাজপুর। ফোন: ০১৭৪২৬৩৬৩৮৫
সোনামণি [ লোকসঙ্গীত শিল্পী] ঠিকানা: চিরিরবন্দর, দিনাজপুর। ফোন: ০১৭০৫৮০১৩২৮
নাসরীন [ লোকসঙ্গীত শিল্পী] ঠিকানা: বীরগঞ্জ, দিনাজপুর। ফোন: ০১৮৪৯৬১২৫৩৫
ফজলুর রহমান [ লোকসঙ্গীত শিল্পী] ঠিকানা: চিরিরবন্দর, দিনাজপুর। ফোন: ০১৭৪৬২৩৬৪৪৬
হায়দার আলী [ লোকসঙ্গীত শিল্পী] ঠিকানা: চিরিরবন্দর, দিনাজপুর। ফোন: ০১৭৯৩৮৬৬৭২৬
ঝর্না রায় [ লোকসঙ্গীত শিল্পী] ঠিকানা: চিরিরবন্দর, দিনাজপুর। ফোন: ০১৭৬৫৯২৪৯৮৩
বাটুল সাধু [ লোকসঙ্গীত শিল্পী] ঠিকানা: ফুলবাড়ী, দিনাজপুর। ফোন: ০১৭৮৪৯৩৩৮৯৭
ভোলা সাধু [ লোকসঙ্গীত শিল্পী] ঠিকানা: কাহারোল, দিনাজপুর। ফোন: ০১৭৫০৮৫৬৮৭৩
চিন্তামনি [ লোকসঙ্গীত শিল্পী] ঠিকানা: কাহারোল, দিনাজপুর। ফোন: ০১৭৪৬০৯৪৩০৪
শর্মিলা রানী [ লোকসঙ্গীত শিল্পী] ঠিকানা: কাহারোল, দিনাজপুর। ফোন: ০১৭০১৯১২৫৯০
উমেশ রায় [ লোকসঙ্গীত শিল্পী] ঠিকানা: বোচাগঞ্জ, দিনাজপুর। ফোন: ০১৭৮৩২৫৩১৪৪
জ্যোতিষ রায় [ লোকসঙ্গীত শিল্পী] ঠিকানা: বোচাগঞ্জ, দিনাজপুর। ফোন: ০১৭৬১১৫১৩২৩
মহন্ত ঋষি [ লোকসঙ্গীত শিল্পী] ঠিকানা: পার্বতীপুর, দিনাজপুর। ফোন: ০১৭২২৯৯৭২৬৫
সুবল কাপালী [ লোকসঙ্গীত শিল্পী] ঠিকানা: পার্বতীপুর, দিনাজপুর। ফোন: ০১৭০৫৯২৯৪০২
অমৃত কুমার রায় [ লোকসঙ্গীত শিল্পী] ঠিকানা: খানসামা, দিনাজপুর। ফোন: ০১৭০৫৯২৯৪০২
বাবুলচন্দ্র সরকার কাজল [কবিগানের কবিয়াল] ঠিকানা: সনকা, বীরগঞ্জ, দিনাজপুর। ফোন: ০১৭৫৫২৮০০৯৯
রাজকুমার দে [কবিগানের কবিয়াল] ঠিকানা: তারগাঁও, বুলিয়াবাজার, কাহারোল, দিনাজপুর। ফোন: ০১৭৪০৫৮৮৪২৫
সুমন্ত রায় [কবিগানের কবিয়াল] ঠিকানা: তারগাঁও, বুলিয়াবাজার, কাহারোল, দিনাজপুর। ফোন: ০১৭৫২২০৫৪০৮
শ্রীমতি সাধনা রাণী [কবিগানের কবিয়াল] ঠিকানা: তারগাঁও, বুলিয়াবাজার, কাহারোল, দিনাজপুর। ফোন: ০১৭৫২২০৫৪০৮
প্রহল্লাদ চন্দ্র বসাক [কবিগানের কবিয়াল] ঠিকানা: রায়পুর, পূর্ব সুলতানপুর, কাহারোল, দিনাজপুর। ফোন: ০১৭৪১৫৩২৬৪৭
আনোয়ার হোসেন [কবিগানের কবিয়াল] ঠিকানা: পূর্ব সুলতানপুর, কাহারোল, দিনাহপুর। ফোন: ০১৭৮৫৪৭৯১৯৪
শ্রীমতি কল্পনা রানী [কবিগানের কবিয়াল] ঠিকানা: দক্ষিণ মাধবপুর, বিরল, দিনাজপুর। ফোন: ০১৭৭৭০৮৬৭০৬
সকিন চন্দ্র রায় [কবিগানের কবিয়াল] ঠিকানা: মোস্তফাবাদ, মঙ্গলপুর, বিরল, দিনাজপুর। ফোন: ০১৭৩৭৮৪৪৬৬০
জগদীশ চন্দ্র সরকার [কবিগানের কবিয়াল] ঠিকানা: লাটেরহাট, বীরগঞ্জ, দিনাজপুর। ফোন: ০১৭১৩৭৭১১৮১
শ্রীমতি চন্দনা রানী [কবিগানের কবিয়াল] ঠিকানা: খামার বিষ্ণুপুর, খানসামা, দিনাজপুর। ফোন: ০১৭৩০৭৮০২৩
কা ন চন্দ্র সিং [ ঢোল বাদক], ঠিকানা: বিষ্ণুপুর, বিরল, দিনাজপুর। ফোন: ০১৭৮৬৯৯৫৪৭৮
বকুল চন্দ্র সরকার [হারমোনিয়াম মাষ্টার], ঠিকানা: দক্ষিণ গোদাগাড়ী, বিরল, দিনাজপুর। ফোন: ০১৩১০১৯৬২০৪
বিনোদ চন্দ্র দাস [ ঢোল বাদক], ঠিকানা: হাটমাধবপুর, বোচাগঞ্জ, দিনাজপুর। ফোন: ০১৭৩২১৫৭৭৯৮
সুকুমার দেবশর্মা [ লোকগীতি ও পালাটিয়ার অভিনেতা], ঠিকানা: বাসুদেবপুর, বোচাগঞ্জ, দিনাজপুর। ফোন: ০১৭৫৩৩১১১৩৩
গণেশ চন্দ্র রায় [গীতিকার, লোকগীতি, কীর্তনীয়, বৈঠকী, বাউলগানের শিল্পী, বাংলাদেশ বেতার, ঠাকুরগাঁয়ের তালিকাভুক্ত শিল্পী], ঠিকানা: রনগাঁও, বোচাগঞ্জ, দিনাজপুর। ফোন: ০১৭১৩৭৮৬৩৮৪
নমিতা চক্রবর্তী [সরা ও পটচিত্র শিল্পী], ঠিকানা: ছোট গুড়গোলা, সদর, দিনাজপুর। ফোন: ০১৯৫২৭৫৪০৪৯
দিনাজপুর জেলা [ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী]
নরেন সরেন [সাঁওতাল আদি বাদ্যযন্ত্র বাদক ও কঙ্গো বাদক], ঠিকানা: টুঙ্গি শ্যামপুর, নবাবগঞ্জ, দিনাজপুর। ফোন: ০১৮৬১৪৮৭৫২৮
রুনু মিঞ্জি [ওঁরাও চিরায়ত গানের শিল্পী এবং উরাও নৃত্যনাট্যদলের সংগঠক ও উরাও গানের গীতিকার], ঠিকানা: মির্জাপুর, কোতয়ালী, দিনাজপুর। ফোন: ০১৩০১১৩৬৯৬৯
সুকলাল সরেন [হারমোনিয়াম বাদক ও সংগীতশিল্পী], ঠিকানা: আমরা, ফুলবাড়ি, দিনাজপুর। ফোন: ০১৭৫২৩২২৯৭২
আলফ্রেড হেম্ব্রম [হারমোনিয়াম বাদক ও সংগীতশিল্পী], ঠিকানা: ধানজুড়ি, বিরামপুর, দিনাজপুর। ফোন: ০১৭২৪৮৯৪৫৫১
বিশাল মার্ডী [ দোতরা বাদক ও সংগীতশিল্পী], ঠিকানা: দিগলচাঁদ, বিরামপুর, দিনাজপুর। ফোন: ০১৭৪৩৮৮৭২৬৩
কালু টুডু [সাঁওতালী গানের শিল্পী], ঠিকানা: দিনাজপুর। ফোন: ০১৭৯২৮৫০০৭৪
মারিয়া সরেন [সহরায় (দং) বিয়ের গান লাগরে শিল্পী], ঠিকানা: দিনাজপুর। ফোন: ০১৭১৯৮৫৭৩৫৬
সুমিত্রা বেশরা [ছাটিয়ার ও কারাম শিল্পী] ঠিকানা: দিনাজপুর। ফোন: ০১৭৬৩০৯২৯৫৪
মেরী দিপালী সরেন [দুরমাজা ও দোঙ শিল্পী], ঠিকানা: দিনাজপুর। ফোন: ০১৭৬৩০৯২৯৫৪
সোনিয়া কোড়া [আদিবাসীদের গান] ঠিকানা: দিনাজপুর। ফোন: ০১৭৪৩৫৮০৯১৬
কেলো কোড়া [আদিবাসীদের গান], ঠিকানা: দিনাজপুর। ফোন: ০১৭৪৩৫৮০৯১৬
রাজু দাস [ ভোজপুরী কীর্তন শিল্পী], ঠিকানা: দিনাজপুর। ফোন: ০১৯৪৬৪৫৪৩১৩
মাহু বারলা [আদিবাসীদের গান], ঠিকানা: দিনাজপুর। ফোন: ০১৭৫০৩৬০০০৪
লোকগানের সাধনা-ভাবসম্পদের সর্ম্পক: প্রসঙ্গ-দিনাজপুর
লোকগান আমাদের অমূল্য সম্পদ। দেশের অগণিত সাধারণ মানুষ যুগ যুগ ধরে এর রুপ-রস-সৌন্দর্য উপভোগ এবং নীতি-শিক্ষা-জ্ঞানলাভ করে আসছে। এটা একটা লোকশিল্পীর সাধনার ফসল। আমরা জানি- বাঙালি জাতির ও মাতৃভাষার জন্মের পর প্রায় হাজার বছরের সি ত এ সম্পদ র্দীঘকাল উপেক্ষিত ছিলো। বিশ শতকের গোড়া এবং অধুনা এর কদর বেড়েছে। জাতীয়তাবোধ ও দেশপ্রেম জাগ্রত হলে শিক্ষিত সমাজ লোকসমাজ লোককলার নানা শাখার উপকরণ সংগ্রহের কাজ চলছে। আজকাল কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো উচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে লোককলাকে উচ্চ শিক্ষার ও গবেষণার বিষয়বস্তু করা হয়েছে। তাই দেশের প্রত্যন্ত অ লের লোকগান সংর্ম্পকেজানা ও সংগ্রহ জরুরি। বাংলাদেশের অন্যান্য জেলার মতো সীমান্তবর্তী এলাকা দিনাজপুর ও উপজেলা বিরলের লোকগান ভাবসম্পদে ভরপুর ও সমৃদ্ধ অ ল বলে বিবেচিত। কারণ এ এলকায় ভারতের-নেপালের-ত্রিপুরার-মুর্শিদাবাদের-আসামের তথা খোদ রংপুর ও ময়মনসিং এর প্রভাব ও ভাষার সংমিশ্রণ রয়েছে। বাণিজ্য ও ব্যবসাসংক্রান্ত কাজে দিনাজপুর ও বিরলে অবস্থান নেন। এমন কি এখন পর্যন্ত অনেকে এ এলাকায় স্থায়ী বসবাস স্থাপন করে আসছে। যে কারণে দিনাজপুর ও বিরল এলাকায় স্থায়ীয় লোকগানের শিল্পীসংখ্যাও অনেক। এই এলাকার সবচেয়ে বড় আকষণ হলো বিভিন্ন এনজিও ও ক্ষুদ্র সমিতিগুলো এদেরকে ব্যবহার করে সমিতি তথা এনজিওরা তাদের ফায়দা লুটে নিচ্ছে। প্রকৃত মুল্যায়ণ লোকশিল্পীর হচ্ছে না-তাদের নানাভাবে উপেক্ষিত করে আধুনিক কমেডি ও ফ্যাসিগানের র্চচা আমাদের এই ভাবসম্পদ ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে। লোকশ্রুতিগান-কবিগান- লোকচারণৈর চুরি ও অপপ্রয়োগ আমাদের ঐতিহ্যের চরম সর্বনাশ করে যাচ্ছে। দিনাজপুরে অনেক গান এখন জাতীয়ভাবে প্যারোডি করে এবং নকলর্চচায় বিভিন্ন ক্লাসিক শিল্পী দিয়ে গাওয়ানো হচ্ছে।
গানের দার্শনিক অভিজ্ঞান: সমকালে এবং ভবিষ্যতের কবিয়ালের গানের দর্শন সৃষ্টি ও সাধনা আব্দুল কুদ্দুসের অভিজ্ঞান কবিয়াল-সত্তার প্রকাশ ঘটেছে। তার গানের কাব্যমূল্য অনন্য এক অভিজ্ঞতার ফসল। কুদ্দুস সরকারের গান সুরযোগে গান এবং পাঠযোগে কবিতা-উভয়ভাবেই শিল্পরস সম্পন্ন।
বিষয়- বৈচিত্র্য: একজন সাধক একজন প্রতিভাবান শিল্পসত্ত্বার অন্তর্গত অনুভব ও উপলব্ধিকেই শিল্পীখচিত সৌরভ ও সৌন্দর্য সৃজনশীলকর্মের ভেতর দিয়েই সেই শিল্পীর ভাব ও বৈভবকে চিনে ওঠা যায় কিংবা সনাক্ত করা সহজ হয়ে ওঠে। আমরা আলোকিত হই আমরা আলোড়িত হই। এম এ কুদ্দুস এমন একজন প্রতিভাধর ব্যক্তিত্ব। ব্যক্তি জীবনে সাংবাদিকতা,কৃষি অথবা সংসার যাপনের কোনো ক্ষেত্রেই তাকে থামাতে পারেনি। এবং কবি প্রতিভা তার সংগীতপ্রতিভা সুরসাধনা ম্লান করতে পারেনি বরং ব্যক্তিক অভিব্যক্তি,অন্তরের পীড়ন এবং পরিপার্শ্ব তার সৃজনবিশ্বের বুনিয়াদকে শক্ত করেছে। তার কাব্যশক্তি, শাস্ত্রজ্ঞান সংগীতের প্রতি বিশেষ দখল তাকে অনন্য ব্যক্তিত্বের পরিচয়দান করেছে। আমরা জানি-তাকে প্রথাগত শিল্পী হিশেবে গণ্য করা কঠিন বা সমীচিন হবে না। তার গানে লোকায়িত শিল্পধারার প্রতি ভক্তি-প্রীতিভাব সম্পন্ন নিবেদিতপ্রাণ একজন পেশাজীবি, সৌখিন একজন সফল মানুষ। কবি আব্দুল কুদ্দুস সরকার একজন গবেষক-সাধক হিশেবে নৈতিক দায়িত্ববোধ সম্পন্ন উদ্যোমী শিল্পী। দিনাজপুর তথা এই এলাকার নৃগোষ্ঠি,উপজাতি এবং সংখ্যালগিষ্ঠ শ্রেণির আপনজন। তিনি লোকায়িত সংগীতধারার মধ্যে বাউল-ফকিরি সংগীত থেকে শুরু করে প্রান্তজনের মনের কথা সুরের মাধ্যমে ভাওয়াইয়া, ভাটিয়ালি, বিচারগান,কবিগান, জারিগান,সারিগান, ধুয়াগান,কীর্তন,বিচ্ছেদীগান, প্রভৃতি পরিবেশন করে আসছেন। জানা যায় তিনি আদিবাসী বা ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর মধ্যে ওঁরাও, কোড়া, সাঁওতাল, ত্রিপুরি, বম প্রভৃতি গোষ্ঠী ও সম্প্রদায়ের অর্ন্তগত বিচিত্র ধরনের লোকায়িত শিল্প র্চচাকারী একজন লোকশিল্পী। একজন প্রতিভাবান শিল্পশ্রষ্টা তার অন্তর্গত অনুভব ও উপলব্ধিকেই ব্যক্তিত্বখচিত সৌরভ ও সৌন্দর্যদান করেন তার সৃষ্টকর্মে। এই সৃষ্টকর্মের ভেতর তিনি কেবল নিজেকেই নেড়েচেড়ে দেকেন না, অন্যকেও অভিভূত, আলোড়িত কিংবা আলোকিত করার চেষ্টা করেন। আব্দুল কুদ্দুস সরকার তেমনই একজন প্রতিভাবান ব্যক্তি। যাপনের কোনো বাধাই তার সংগীতসাধনা বা সৃষ্টিকে ম্লান করতে পারেনি। নিজস্ব ব্যক্তিক অভিব্যক্তি,অন্তরের পীড়ন এবং পরিপাশ্ব তার সৃজনবিশ্বেও বুনিয়াদকে মক্ত করেছে। তার কবিয়ালত্বশক্তি,শাস্ত্রজ্ঞান, কবিগানের প্রতি বিশেষ দখল তাকে অনেকদিন বাঁচিয়ে রাখবে। কবিগানের বেহায়াল্লাপনাকে তিনি পরিহার করে নতুনত্বদান করেছেন। সমকালিন বিষয় ও প্রাসঙ্গিকভাবনা তার কবিগানে সংযোজন করেছেন। সৃষ্টির অভিনবত্বে এবং বিষয়ভাবনার নতুনত্বে তিনি আধুনিক। প্রকৃতপক্ষে তার গানের মূলরস ভক্তি ও প্রেম। বিদগ্ধ সমালোচক নিশ্চয়ই তাকে আবিষ্কার করতে পারবেন তার গানকে। এবার আমরা তার রচিত গানের ভেতর প্রবেশ করবো-
এমন রশিক বন্ধু মোর তার জমিন লয়না খবর (২)
চাষ অভাবে জমিখানা পত্তি পড়েছে রে
রশিক বন্ধুয়া বিনে..
তিন কানি জমিন খানা আবাদ করিবে কে রে
রশিক বন্ধু দিলে চাষ ফসল হবে বারোমাস
চাষ বিনে জমির আবাদ হবে কেমনে রে (২)
কুদ্দুস সরকারো কাঁন্দে জ্ঞানের কোদাল নাইরে হাতে(২)
উলা ছাড়া লাঙ্গলে চাষ হবে কেমনে রে
রশিক বন্ধুয়া বিনে
তিন কানি জমিন খানা আবাদ করিবে কে রে
ভূমিকা
এ গানের মূল আরাধনা হলো ঈশ্বরবাদ। আধ্যাতিকতার ভেতর ঈশ্বরের নিকটবর্তী হতে মরিয়া হতে চায় কবি। এর ভেতর কবি নিজেকে খুঁজে পেতে চান-নিজেকে চিনতে চান,মানুষকে বুঝতে চান। ভাবগত ও বস্তুগত অপরাপর ব্যক্তিচিন্তাকে প্রাধান্য দিয়ে বাউলের সাধনা তথা মনপরিচয়কে অন্তর্ভুক্ত করতে চেয়েছেন এই গানে বাউলসাধক। কুদ্দুস সরকার তার অন্তরদর্শনে রশিক বন্ধুকে মানবচিন্তার আরাধনার ভেতর জীবনমন্তরে দীক্ষাসাধন করেন।
দুই.
আমি কি আর আমি আছি
সকলি বিলিয়ে দিছি
আমার সোনা বন্ধুর রাঙা পায়
বন্ধু বিহনে আমার জীবন বাঁচা দায় (২)
নিষ্ঠুর নির্দয় স্বার্থপর
প্রেম ছুরিতে বন্ধু আমার কাটিয়া অন্তর (২)
ব্যথা না বুঝিয়া বন্ধু (২) নুন ছিটাইছে কাটা ঘায়
বন্ধু বিহনে আমার জীবন বাঁচা দায় (২)
প্রেমাগুনে পুড়ে পুড়ে কয়লা হইল মন
না আসিলে বন্ধু াামার হবে রে মরণ
আলিঙ্গন করিলেই বন্ধু(২) স¦ার্থক একটা জনম পাই
বন্ধু বিহনে আমার জীবন বাঁচা দায় (২)
সরকার কুদ্দুসরি নাইরে গতি সোনা বন্ধু বিহনে (২)
বন্ধু ছাড়া একলা জীবন কাটাই আমি কেমনে
আসবে বন্ধু এই ভাবিয়া (২) দিন কাটে আশায় আশায়
ভূমিকা
কবি নিজেকে বিলিয়ে দেবার সার্থকতার সন্ধানলাভ করতে চান। বাউল কুদ্দুস সরকার প্রশ্নউত্তরে পালাগানে বাউল সাঁই জন্মের সার্থকতার সন্ধান করেন-জীবন অপরাহ্নে। তার গানের দর্শন হলো বন্ধুবিহিন জীবন হয় না। তিনি ভাবদর্শনে প্রেমের জযগান গেয়েছেন। তিনি নিজের ভেতর অন্যের বসবাস খোঁজেন।
তিন
আত্মগুদ্ধি যে করলোনা, তার তো মনের ঘর গেলো না
খুঁজলোনা সে আসল সোনা, হাতে নাই পারের সম্বল
সামনে তোমার পাতা আছে- ইঁদুর মারার কল-হায়রে ইঁদুর মার কল॥
বেলা গেলে সন্ধ্যা হলে, দেখবে চোখে অন্ধকার-
অনায়াসে ঢুকবে কলে- পাবেনা খুঁজে দুয়ার (২)
কল মালিকের ইচ্ছে হলে দিবে ছেড়ে(২) পায় যদি পুন্যের ফল ॥ঐ
সামনে তোমার পাতা আছে- ইঁদুর মারার কল-হায়রে ইঁদুর মার কল॥
ঝরাইতে পারো যদি দুই নয়নের জল
কল মালিকের দয়া হলে, সরাই নিবে কল (২)
সরকার কুদ্দুস বলে জ্ঞান মঞ্জিলে (২) দয়াল বাতি জ্বালার দাও সম্বল ॥
সামনে তোমার পাতা আছে- ইঁদুর মারার কল-হায়রে ইঁদুর মার কল॥
ভূমিকা
তত্ত্বের ধারায় গানকে তিনি আত্মস্থ করতে চান। ঈশ্বর ভক্তি তাকে মাতাল করে রাখে। আত্মশুদ্ধির মধ্যে জীবনের জয়গান করেন। সবকিঝুই যেন মালিকের ইচ্ছা। ইঁদুর মারা কলের সাথে জীবনের তুলনা করেছেন কুদ্দুস সরকার। এই গানে তত্ত্ব আছে আর যুক্তি আছে। অলীক জীবনের সন্ধান করেছেন পুণ্যের ভেতর।
চার
আমার দেহের ভিতর জং ধরেছে, ঐ জংয়ে অন্য রং আর ধরেনা (২)
সদন করার আগে আর রং লাগাইও না, তোমরা সদন করার আগে আর রং লাগাইওনা॥
সদর করার আছে কারিগর, দশতলার ঐ বাড়ি খানার ছয় ঘরের ভিতর (২)
স্বভাব তাহার ধ্যান মগ্ন (২) বরণ তাঁর কাঁচা সোনা॥ঐ
সদন করার আগে আর রং লাগাইও না, তোমরা সদন করার আগে আর রং লাগাইওনা॥
শুদ্ধ নামের আছে ভাতিঘর, আগুনে পুড়ায়ে জং ছুটাবে ঐ না কারিগর (২)
জং ছুটানো দেহের তখন (২) কাম ক্রোধ আর রবেনা॥ঐ
সদন করার আগে আর রং লাগাইও না, তোমরা সদন করার আগে আর রং লাগাইওনা॥
সরকার কুদ্দুসের আকুতি-
জং ছাড়িলে দেহে দিও সাদা রংয়ের আবৃতি (২)
ইল্লিয়্যীনে রাখিও আমায়, সিজ্জিনে রাখিওনা॥ঐ
সদন করার আগে আর রং লাগাইও না, তোমরা সদন করার আগে আর রং লাগাইওনা॥
ভূমিকা
মন ও শরীরের সর্ম্পককে কুদ্দুস সরকার বুঝতে চান-আসলে মন ভালো না থাকলে শরীরও ভালো থাকে না। শরীরে কোনো আঘাত লাগলে এবং রোগ হলে তা হযতো সারিয়ে তোলা সম্ভব কিন্তু মনের সাথে মনের সর্ম্পক-মন ভালো করতে আরেকটি ভালো মন থাকা চাই। আর সেটার নিয়ন্ত্রণ শরীরে নয়- বরং মনকে সদন করার কারিগর থাকে দশতলার ঐ বাড়ি খানার ছয় ঘরের ভিতর। তাই কবি বলেন-সদন করার আগে আর রঙ না লাগাতে কারণ- শুদ্ধ নামের আছে ভাতিঘর, আগুনে পুড়ায়ে জং ছুটাবে ঐ না কারিগর।
পাঁচ
ভাব তরঙ্গে নাও ভাসাইয়া, দোয়াল খুঁজি তোমায় জনম ভর (৪)
কথায় গেলে পাব তোমায়--- ও দয়াল কথায় তোমার বাড়ি ঘর।
আমার এক হাতে তারেরী যন্ত্র, এছাড়া নাই সাধন মন্ত্র (২)
তোমায় ভালবাসার কাঙ্গাল আমি (২), তবু কেন ভাব পর॥ঐ
কথায় গেলে পাব তোমায়--- ও দয়াল কথায় তোমার বাড়ি ঘর।
শুদ্ধ চিত্তে প্রার্থনা করি, তোমায় স্বরণে লই হে কান্ডারি (২)
দিবা-নিশি কেঁদে ফিরি (২), না পাওয়ার ব্যাথায় হই কাতর॥ঐ
কথায় গেলে পাব তোমায়--- ও দয়াল কথায় তোমার বাড়ি ঘর।
সরকার কুদ্দুসেরী মনের আশা, ও দয়াল করিওনা আজ নৈরাশা (২)
দেখা দাও হে অন্তর্যামি, অধমের জুড়াও অন্তর॥ঐ
কথায় গেলে পাব তোমায়--- ও দয়াল কথায় তোমার বাড়ি ঘর।
ভূমিকা
ভাব ও ভর তথা শুদ্ধচিত্তের আরাধনা করতে দিবা-নিশি কান্নার সাথে প্রার্থনার দরকার নেই। এর জন্য চাই দয়ালের সিদ্ধিলাভ। সবার বাড়ি থাকলেও দয়ালের বাড়ির ঠিকানা কেই জানে না। সত্যি কি দয়ালের নিদির্ষ্ট বাড়িঘর আছে? এই পাওয়া না পাওয়ার দলাচলে নিজেকে সপি না দিয়ে সত্যিকারের প্রার্থনায় সব খবরই পাওয়া যাবে এমন আশা করেছেন কুদ্দুস সরকার।
ছয়
ওহে মানুষ জ্ঞান হারা, কারে করো স্বদেশ ছাড়া,
কত মানুষ যাচ্ছে মারা, ভ্রান্ত উপদেশে-
শ্রেষ্ঠ কন্ঠে তোমার কেন, উগ্রবাক্য আসে (২)।
জাতিদ্বন্ধে এপার-ওপার, যুগে যুগে করিচ্ছে হুংকার
অসহায় হয়েছে আচার বিচার, উগ্রবাদের কাছে॥ঐ
শ্রেষ্ঠ কন্ঠে তোমার কেন, উগ্রবাক্য আসে (২)।
কত অত্যাচারে মদিনাতে, নবী (সাঃ) গেলেন হিজরতে
ঈশা গেলেন অন্তপুরে, শ্রী রাম বনবাসে॥ ঐ
শ্রেষ্ঠ কন্ঠে তোমার কেন, উগ্রবাক্য আসে (২)।
ধর্মে যারা উগ্রবাদী, যুগে যুগে করেছে ক্ষতি
তাই বিপন্ন আজ মানব জাতি, কুদ্দুসের নয়ন জলে ভাসে ॥ ঐ
শ্রেষ্ঠ কন্ঠে তোমার কেন, উগ্রবাক্য আসে (২)।
ভূমিকা
কবি সৃষ্টির বিচিত্রতা দেখে দেখে ঈশ্বরের অপার মহিমা প্রকাশ করেছেন সাধারণ মানুষের কাছে। কবি বারবার বিপ্লবীচেতনায় গান রচনা করে সাধারণ মানুষের বিবেক জাগ্রত করে আসছেন। জাতির বিপন্নতা দেখে কবি চোখের জল ধরে রাখতে পারেন না। মানুষ জাগ্রত হোক-দিশা ফিরে পাক এই গানে তার বর্ণনা করেছেন কবি।
সাত
আমি শ্লোগান শুনলেই ছুটে যাই
ওরে আমি ভাষণ শুনলেই ছুটে যাই
সোনার বাংলার স্বপ্ন দ্রোষ্টা যদি দেখা পাই
আমি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবকে যদি একবার দেখতে পাই (২)॥
দেখিনাই শুনেছি কথা, তুমি বাঙালিদের মুক্তিদাতা(২)
তুমি স্বাধীন বাংলার স্থপতি, অগতিরো ছিলে গতি(২)
ইচ্ছা জাগে নয়ন জলে তোমার দুই চরণ ধুয়াই॥ঐ
আমি জাতির জনক শেখ মুজিবকে যদি একবার দেখতে পাই (২)
তুমি ছিলে নৌকার মাঝি, নিরন্ন মানুষের মুখের হাসি (২)
লাল সবুজের পতাকায়, তোমার ছবি দেখা যায়(২)
সেই ছবি বুকে নিয়ে তোমাকে খুঁজে বেড়াই॥ঐ
মহান নেতা শেখ মুজিবকে যদি একবার দেখতে পাই(২)
ভূমিকা
একজন মুক্তিদাতা কিংবা একজন পিতার কাছে ছুটে যাওয়ার নামই হলো শেখ মুজিব। আমরা জানি-জাতির জনকের অহ্বান কে রুখতে পেরেছে-তাই কবিয়াল তার গানে এর মূর্ত বানী প্রচার করেন। সবাইকে সচেতন করতে তার এই প্রয়াস।
আট
বাংলার বাঙালি কৃষক মুজুর জমিদার
সুদিন আসতে আর দেরি নাই
সোনার বাংলা বিনির্মাণ উন্নয়নে দৃশ্যমান
জয় বাংলার জয়ধ্বনি শুনতে পাই (২)।
বিপ্লব বিপ্লব বিপ্লব বঙ্গবন্ধুর স্বাধীন বাংলার বিপ্লব
বিপ্লব বিপ্লব বিপ্লব শেখ হাসিনার উন্নয়নে ঘটেছে সবুজ বিপ্লব॥
নেই অশান্তি হানাহানি সন্ত্রাস জঙ্গীবাদ
দেশে, শান্তির সুবাতাস বইছে
শেখ হাসিনার হাতে হাল নৌকার তুলে পাল
বাংলাদেশ তার ঠিকানায় চলছে (২)।
বিপ্লব বিপ্লব বিপ্লব বঙ্গবন্ধুর স্বাধীন বাংলার বিপ্লব
বিপ্লব বিপ্লব বিপ্লব শেখ হাসিনার উন্নয়নে ঘটেছে সবুজ বিপ্লব॥
নেই ক্ষুধা দারিদ্রতা মঙ্গা নিপিড়ন
গৃহহীন কোন মানুষ তেমন নেই আর
নিশ্চিত বিদুৎ মৌলিক অধিকার
কোন চাহিদার ঘাটতি নেই আর (২)।
বিপ্লব বিপ্লব বিপ্লব বঙ্গবন্ধুর স্বাধীন বাংলার বিপ্লব
বিপ্লব বিপ্লব বিপ্লব শেখ হাসিনার উন্নয়নে ঘটেছে সবুজ বিপ্লব॥
ভূমিকা
ভূমিকা
শেখ হাসিনা ও বঙ্গবন্ধুর জয়গান এই গানে প্রকাশ পেয়েছে। আমরা নয়া যুগের কবিয়াল ও লোকগানে দেশপ্রেমসহ বিশ্বনেতার কীর্তি প্রকাশিত হতে দেখা যায়। আসলে দেশের অগ্রগতি ও উন্নযনে কবর উঠে আসে।
নয়
আমি সাধু পাড়ায় বসত করি, শয়তানের করি চাকুরী-
মোল্লায় দিছে মদের দোকান (২) সেই দোকানে সদাই করি।
তাই মন আনান্দে এই গান করি (২) ॥
নাই আমার ভেস ভুষণ, নাই কোন নাই সাধন ভজন-
বেশ্যার ঘরে উদর ভরে (২) সতী গৃহে শর্য্যা করি॥ ঐ
তাই মন আনান্দে এই গান করি
একের সাথে শূন্য দিয়া, দধির সাথে চুন মিশাইয়া-
শীর্ষকে গুরু বানাইয়া (২) চোরের সাথে পিরিত করি॥ ঐ
তাই মন আনান্দে এই গান করি
সরকার কুদ্দুসেরী শীর্ণদশা, সকল আশা আজ সাগরে ভাসা-
ভাল মন্দের মিশাল নিয়া (২) যাইরে সোনা বন্ধুর বাড়ি॥ ঐ
তাই মন আনান্দে এই গান করি
ভূমিকা
লোকজশব্দ: সাধকবাউল কবি কুদ্দুস সরকার তার প্রচরিত রচিত গানে মানুষের মুখের আ লিক ভাষার ব্যবহারে সাধারণ মানুষকে আকর্ষণ করতে সমর্থ হয়েছেন। তাই তার পালাগানের ভাষা হয়েছে মধুর ও সুন্দর ও রুচি সম্মত। তার গানের ছন্দ যেমন লোকজ তেমনি তার গানে ব্যবহৃত ভাষাও হয়েছে গ্রামীণ লোকজ মুখের ভাষা-গ্রামান্তর ও কুড়িয়ে পাওয়া ভাষা অপ্রচলিত।
সুর: কবিয়াল কুদ্দুস সরকার মূলত প্রেমের কবি। তার গানে বিরহের-বিচ্ছেদেও ব্যঞ্জনা বাঁশির সুরের সাথে মিলে যায়। প্রচলিত সুর-গ্রামীণধারা সুর পরিবেনায় কুদ্দুস সরকার গার রচনা করেছেন। জীবনের অনেক ঘাত-প্রতিঘাত পেরিয়ে পরিণত জীবনের তিনি নিজেই গানের দীক্ষা নেন। দেখা যায়-তিনি নিজেই গান রচনা করেন নিজেই সুরারোপ করেন। নিজেই তার গানে সুর সংযোজন করে জনপ্রিয় করেন। জানা যায় কবিয়াল কুদ্দুস সরকার একাধারে গায়ক এবং কবি। তিনি ছন্দোবদ্ধ ভাষায় মুখের কথাতে গান রচনা কওে তাতে সুর সংযোজন করেন-তাৎক্ষণিক গান রচনা করে সবার দৃষ্টি কারেন।
ভাষা: মানুষের নিত্যদিনের স্বপ্ন-সংগ্রাম-আশা-হতাশা-প্রেম-প্রতারণা-আনন্দ-বেদনা আর সমস্যা নিয়ে গড়ে ওঠা কবিগান মূলত মৌখিকসাহিত্য। মৌখিক এই সাহিত্যের ধারায় সর্বকালের অসামান্য এক শিল্পীর ভাষা সাহিত্য স ার করেছে। কবিগানের ভাষা বরাবরই একইরকম-গ্রামীণ সংস্কৃতিনির্ভর। লোকভাষা জনপ্রিয় ভাষা। কেউ কেউ কুচবিহারের ভাষার সাথে দিনাজপুরের আ লিক গানের খোঁজে থাকেন।
চিত্রকল্প: ভাবপ্লাবণে সবাইকে নতুন জীবনের দিকে ভাবের সাগরে গান আমাদের নিযে যেতে পারে। লোকাযত সংস্কৃতির এই ভাবসম্পদ শব্দাদী পরস্পরায় লোকমানসের সাংস্কৃতিকচেতনা বিকাশে অদ্ভূত চিত্রপটের সূচনা করে। উত্তর-প্রত্যুত্তরমূলক আসরক্রেন্দ্রিক সাংগীতিক এই মরমী বাউলে রচনা-পরিবেশনা বাংলার সমাজ-সংস্কৃতির অনেক লিখিত-অলিখিত ইতিহাসকে ধারণ করে ঐতিহ্যের চিত্রকল্প তৈরি করে। কবির অভিজ্ঞতার মব্দচিত্র যখন অপূর্বত্ব ,প্রগাঢ়তা এবং ইন্দ্রিয়বেদ্য গুণ অর্জন কওে তখনই তা হয় চিত্রকল্প। জানি-চিত্রকল্পের মূল বিষয়ই হচ্ছে চিত্র এবং দৃশ্যময়তা। কবির জীবন-জগতের রূপমযতা চিত্রকল্পে ধরা পড়ে। তাই দেখা যায়- কুদ্দুস সরকারের একাধিক গানে তার অভিজ্ঞতার জারক রস সার্থক চিত্রকল্প সৃষ্টি করেছে।
বিষয় ও মোটিফ: কবি আব্দুল কুদ্দুস সরকার তার সব গানের ভেতর ঈশ্বও সন্ধান ,ভক্তিবাদ এবং আত্নতত্ত্বেও গানকে প্রাধান্য দিয়েছেন। আমরা জানি কবি গানের অন্যতম অংশ হলো মালশিগান । কবি
গানের দার্শনিক অভিজ্ঞান: সমকালে এবং ভবিষ্যতের কবিয়ালের গানের দর্শন সৃষ্টি ও সাধনা আব্দুল কুদ্দুসের অভিজ্ঞান কবিয়াল-সত্তার প্রকাশ ঘটেছে। তার গানের কাব্যমূল্য অনন্য এক অভিজ্ঞতার ফসল। কুদ্দুস সরকারের গান সুরযোগে গান এবং পাঠযোগে কবিতা-উভয়ভাবেই শিল্পরস সম্পন্ন।
কুদ্দুস সরকার তার প্রায় সব গানেই লালন সাঁইয়ের অনুসারী মনে হয়েছে। গানের মধ্যেও স্তবকে আর শেষে সরকার কুদ্দুসেরী বলে জ্ঞান শ্লোকটি ব্যবহার করেছেন। ঈশ্বরের কাছে অনুযোগের সুরে সমাজ-সমস্যার বিষয়গুলো উপস্থাপন করেছেন। মালশিগানের স্তবক বা তুক সংখ্যা বারেটি কবি তার প্রয়োগ জানেন। এগুলোর ক্রম: চিন্তন ( ধরন ও পাড়ন),ফুকার,মিল, বা মিশ,মুখ,প্যাঁচ বা ডাইনা,খোচ বা খাদ,দ্বিতীয় ফুকা,দ্বিতীয় মিশ বা মিল ,অন্তরা,পরচিতান,তৃতীয় ফুকার, শেষ মিশ বা ছুটি। কোথাও কোথাও পরেও মুখ গাওয়ার রীতি আছে। তার গানের সেই ধারা অনুসরণ হয়নি। তিনি নিজস্বরীিিততে গান বানিয়ে উপস্থাপন করেছেন। তাই তার গান হয়েছে কখনও বিবিধ এবং বিষয়াক্রান্ত। লোকগান, শোকগান,স্তুতিবিষযকগান,শ্রাবনীগান,বিস্ময়করবস্তুসম্পর্কিতগান,হাস্যরসাত্নকগান,সারিগান,মুর্শিদি,
ভজনগীতি,কীর্তন আঙ্গিকের গান,বাউল আঙ্গিকের গান,এই শ্রেণির প্রত্যেকটি গানই প্রখর জীবনবোধ এবং সৌন্দর্যচেতনার পরিচয় বাহক। তার কবিগানের ভূমিকা অনন্যসাধারণ এক মাইলফলক।
অলংকার: কবিয়ায় কুদ্দুস সরকার গানে অলংকার ব্যবহারের ক্ষেত্রে অত্যন্ত সচেনতার পরিচয় বহন করে। দেখা যায়-শব্দালঙ্কার ও অর্থালঙ্কার দুইয়ের ব্যবহার লক্ষ করা যায়। ঐতিহ্যঋদ্ধ অলংকারে প্রসিদ্ধগান কবির অভিজ্ঞতার উত্তাপ কৌতূহলী লোকগানের পাঠক-শুভানুধ্যায়ীদের ভাবাবে এটিই এই সাধকের সবচেয়ে বড় অলংকার। লোকজ ছন্দেও স্বচ্ছন্দ ব্যবহাওে আব্দুল কুদ্দুস সরকার অসাধারণ শিল্প-কৌশলের পরিচয় দিয়েছেন। তার প্রধান অনুসৃত ছন্দ প্রথাগত নয় তবে অক্ষরবৃত্ত ও মরাবৃত্ত অনুসরণে ও ব্যবহারের কৌশল যে কোন লোকগানের লোককবির ধারায় বহুমুখিতাকেই ইঙ্গিত করে। তাই তার গনের ছন্দ হয়ে উঠেছে লোকছন্দেও সুরমিশ্রণে।
দিনাজপুরের লোকগান-লোককলা তত্ত্ব ও মতবাদ
লোকসঙ্গীত বা লোকগান মূলত লোকমানস থেকে উদ্ভূত সঙ্গীত বা গান কিংবা ছন্দ-গীত। যা সাধারণত শ্রুতি ও স্মৃতি নির্ভর করে বহমান থাকে। দিনাজপুর তথা বিরল অ লের সেই জনশ্রুত গানেরই ইতিহাস মাত্র। প্রাচীন নাথগীতিকা থেকে শুরু বর্তমানকালের বাউল,মরমিয়া ও দেহতত্ত্ব গানের রচয়িতাদের নাম-ভণিতায় এর প্রমাণ মেলে। ভাটিয়ালি ব্যক্তিচেতনাজাত একক কন্ঠে গান হলেও ক্রমে তা লোকমুখে প্রচারিত হয়ে সমাজমানসে উর্ত্তীণ হয়। গীত,বাদ্য ও নৃত্য এই তিন সমন্বিত রুপই হচ্ছে গান-গীত-সঙ্গীত। এদিক থেকে লোকনৃত্য এই তিনের সমন্বিত রুপকেই লোকসংগীত বলা যায়। বাউল সঙ্গীত লোকসঙ্গীতের প্রকৃষ্ট উদাহরণ,কারণ তা গীত,বাদ্য ও নৃত্য সহযোগে পরিবেশিত হয়। গ্রামবাংলার মানুষ এ গান বেঁধেছে তবে বাংলা লোকসঙ্গীতে লোকসংস্কারগত আচার-অনুষ্ঠানই প্রাধান্য পায়। আর সেই অনুষ্ঠান সর্ম্পকিত যে বিষয়ই হয় গান। যেমন-নদী ও নৌকো যোগে সৃষ্টি জগৎ ও জীবনের রুপকাশ্রয়ী অধ্যাত্মলোকের মরমি গান। বাংলাদেশ নদীমাতৃক দেশ বলে বাংলা লোকগান ভাটিয়ালি সুরের প্রাধান্য লক্ষ করা । প্রত্যেক দেশের জাতীয় চরিত্র যেমন প্রধাণত তার নিজস্ব প্রাকৃতিক পরিবেশকে আশ্রয় করে গড়ে ওঠে, তেমনি লোকগানও প্রধাণত দেশের প্রাকৃতিকে অবলম্বন করে বিকাশ লাভ করে। বাংলাদেশের প্রকৃতি সকল অ লে এক নয় কোথাও নদীবিধৌত, কোথাও অরণ্যার্কীণ; আবার কোথাও নিরস প্রস্তরভূমি, কোথাও বা তারাই অ ল। এসব কারণে লোকগানের সুর সর্বজনীন আবেদন সৃষ্টি করলেও তা মূখ্যত আ লিক; যেমন উত্তরবঙ্গের ভাওয়াইয়া, পূর্বা লের ভাটিয়ালি,দক্ষিণ-পশ্চিমা লের বাউল-মারফতি ইত্যাদি অ লের নদ-নদীর প্রকৃতিতে পার্থক্য আছে; পদ্মা, মেঘনা,সুরমা, ও ধলেশ্বরীর যে রুপ,মধুমতির,ইছামতি, ভৈরব প্রভৃতির রুপ তা ভিন্ন। সুতরাং নদ-নদীর সাথে নানাভাবে জনসমাজের যে যোগসূত্র স্থাপিত হয়, তা বাংলাদেশের সর্বত্র একরকম নয়। এ কারণে যে অ লের জীবনধারা যেভাবে গড়ে ওঠেছে, সে অ লের লোকগানও সেভাবেই সৃষ্টি ও বিকশিত হয়েছে। বাংলা লোকগানের আরো একটি বিষয় বৈচিত্র এনেছে, সেটি হলো ভিন্ন ভাষাভাষি আদিম জনগোষ্ঠির সংস্কৃতির প্রভাব। বাংলাদেশের যেসব আদিম জনগোষ্ঠি রয়েছে,তারা বিভিন্ন মানবগোষ্ঠি থেকে উদ্ভূত। তাদেও জীবনধারা ও সংস্কৃতি দিয়ে বাংলা লোকগান বিষয় ,সুর ইত্যাদি দিক থেকে অনেকাংশে প্রভাবিত।
বাংলা লোকগানে বিভিন্ন ধারার গানের পরিচয় পাওয়া যায়। সে সব গান বিশ্লেষণ করলে দেখা যায়-কতোক গান একক কন্ঠে গীত হয় কতোক সমবেত কন্ঠে। বাউল,ভাটিয়ালি, দেহতত্ত্ব ,মুরশিদি ে মারফতি প্রথম শ্রেণির গান; এগুলোর রচয়িতাও ব্যক্তিবিশেষ। কবিগান, লেটোগান, আলকাপ গান,গম্ভীরা গান ইত্যাদি সমবেত কন্ঠের গান। দুই বা ততোধিক ব্যক্তি মিলে এসব গান পরিবেশন করে। দ্বিতীয়ত কতোক গান আ লিক,কতোক সর্বা লীয়। অনেকগুলো লোকগান বাংলাদেশ ও পশ্চিমবঙ্গে প্রচলিত আবার কতোকগুলো শুধু বাংলাদেশ বা পশ্চিমবঙ্গে প্রচলিত। তৃতীয় ধারার কিছু গান আছে যেগুলো সম্প্রদায়গত,বিশেষত হিন্দু-মুসলিম সম্প্রদায়ৈ বিভক্ত। চতুর্থত কতোকগুলো গান শুধু মেয়েদের মধ্যে প্রচলিত এগুলো মেয়েরাই রচনা করে। ছাদপেটানোর গানে নারী-পুরুষ একত্রে অংশগ্রহণ করে।
বাংলাদেশ ও পশ্চিমবঙ্গে লোকগানের অ লগুলোতে এরুপ-বাউল, দেহতত্ত্ব কুষ্ঠিয়া,বীরভূম ও পূবা ল, জারিগান ঢাকা,ময়মনসিং,সিলেট,ফরিদপুর,মুরশিদাবাদ,ভাওয়াইয়া কুচবিহার, রাজশাহী,দিনাজপুর,রংপুর, পাবনা:মালদহ; গাজন,নীলপূজা বাংলাদেশে নীলপূজা ও পশ্চিমবঙ্গে গাজন; বিয়ের গতি কমবেশি সব অ লেই প্রচলিত। ছাদপেটানোর গান বাংলাদেশের উত্তর পশ্চিমবঙ্গেও বীরভূম ও বাঁকুড়া,সারি সিলেট ও ময়মনসিংসহ ভাটি অ ল;ভাটিয়ালি সিলেট,ময়মনসিং,ঢাকা,কুমিল্লা,ফরিদপুর,নোয়াখালী,চট্টগ্রাম,রাজশাহী ও রংপুর,রাখালিয়া ঢাকা,ময়মনসিং,ফরিদপুর,সিলেট,হবিগঞ্জ,ব্রতগান ও মেয়ৈলি গীত উভয় বঙ্গেও প্রায় সর্বত্র;ভাদুগান বাঁকুড়া,পুরুলিয়া,দক্সিণ বীরভূম ও পশ্চিম বর্ধমান। বাংলা লোকগানের সূরগত বৈশিষ্ট্য অন্যান্য দেশের লোকগানের তুলনায় স্বতন্ত্র। অন্যান্য দেশের লোকগান তুই,তিন,চার বা পাঁচ স্বরের সমন্বয়ে গঠিত। কিন্তু বাংলা লোকগান এসব স্বরে গঠিত হলেও তাতে সাতটি স্বরের প্রাধান্য থাকে। সুরবৈচিত্র্যেও বাংলা লোকগান অনেক সমৃদ্ধ এবং একে আরো ঐশ্বর্যমণ্ডিত করেছে রাগসঙ্গীত ও লোকসঙ্গীতের মিশ্রণ।
বিভিন্ন লোকসংস্কৃতি যখন বিলুপ্ত প্রায়-তখন দিনাজপুর তথা বিরল উপজেলা এর ব্যাপক র্চচা ও জনপ্রিয় করে তুলছে। আজ জনসমাজে এর বেশ উঁচুদর- যে কোনো সাংস্কৃকি আচার অনুষ্ঠানাদি বেশ স্থান করে নিয়েছে। সত্তর দশকের লুপ্ত ও অচর্চিত পায় রাজবংশী সমাজের খনগান বা খনপালার কথা খোদ দিনাজপুরে উঠে আসে। খনপালা সমস্ত দৈন্যদশা কাটিয়ে বৃহত্তর বুদ্ধিজীবী সমাজেও খনপালা সমাদৃত। উত্তর দিনাজপুর জেলার বিরল কালিয়াগঞ্জ ব্লকের দিলালপুরের খন পালাকার তথা বিশিষ্ট খন শিল্পী গণেশ রবিদাস বলেন-তাদেও খনের দল শুধু উত্তর দিনাজপুর জেলাতেই সমাদৃত নয় সারা রাজ্যেও সাথে খোদ কলকাতাতেও ব্যাপকভাবে সমাদৃত হয়েছে এবং হচ্ছে। জেলা তথ্য ও সংস্কৃতি দপ্তরের সহযোগিতায় বিভিন্ন স্থানে যাবার সুযোগ পাচ্ছি। কলকাতায় মাঝে মধ্যেই ডাক পেয়ে থাকি। বর্তমানে রাজ্য সরকারের বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজকর্ম নিয়ৈ আমার পালা তৈরি করে সেই খনপালা ম ায়ন বা ম স্থ করে থাকি-যা দিনাজপুরের গর্ব। আমরা লক্ষ করি সম্প্রতি দিনাজপুর ও বিরলে জাকজমকভাবে কবিগান,যাত্রাগান,জাগরণীগান, প্রচারণা লোকগানসহ অনেক প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়। ২০২১ খ্রিস্টাব্দে দিনাজপুরে লোকশিল্প প্রদর্শনী লোকগান পরিবেশন করা হয় এতে অংশগ্রহণ করেন যথাক্রমে-অরিন্দম সিংহ রানা,আর লোকসংস্কৃতি ও লোকগল্প পরিবেশন করেন-নিমাই সরকার।
পরিশেষে দিনাজপুরের একটি লোকগানের পরিচয় দিয়ে গদ্যটির সার্থকতা দিতে চাই-
ভূপতি, হাশেম ও আব্দুর রহমান বয়াতির দল
ছোয়াল হামরা দিনাজপুরিয়া কোমল চঙে দুলালীর রে
নাচিবা পারি গাহিবা পারি হামরা (দুইবার)
কুন কাম হামার অজানা নাইরে
কমল চঙে দুলালীর ছোয়াল হামরা দিনাজপুরিয়া রে
হামার দ্যাশত আইসেন তোরা দাওয়াত থাকিল রে(দুইবার)
হামার দ্যাশত আছে নামকরা চিরার চাউল
কাঠারিভোগ নাম তার রে(দুইবার)
নাচিবা পারি গাহিবা পারি হামরা (দুইবার)
ছোয়াল হামরা দিনাজপুরিয়া কোমল চঙে দুলালীর রে
হামার দ্যাশত আছে রামরাজার দিঘি রামসাগর নাম তার রে
বছর বছর আইসে কতো জেলার মানুষ বনভোজ খাবার তানে রে
হামার দ্যাশত আছে কান্তনগর কান্তজি দেখিবার কতো ভালো রে
তার ওপর বইসে রঙবেঙের মেলা রাসঘোড়া দেখিবার কতো ভালো রে
নাচিবা পারি গাহিবা পারি হামরা (দুইবার)
কুন কাম হামার অজানা নাইরে
কমল চঙে দুলালীর ছোয়াল হামরা দিনাজপুরিয়া রে
চাল-লিচুতে ভরপুর জেলার নাম দিনাজপুর-এই প্রবাদবাক্যটি দিনাজপুর জেলার পরিচয় বহন করে।
দিনাজপুরের বরেণ্য কবি মোহাম্মদ আমজাদ আলীর দিনাজপুরের পরিচয়ের একটি গান দিয়ে আলোচনা শেষ করছি:
ওরে বাংলাদেশের মানুষগিলা থাকিল তোমার নিমন্ত্রণ
দিনাজপুর ভাই বেড়াইয়া যান-ওরে কান্তনগর-সুখসাগর
রাজবাড়ি আর রামসাগর দেখিলে রে ভাই জুরায় যাবে প্রাণ
বাহে জেলার মানুষ হামরা কহে কতোজনা দিনাজপুর যে
ধানের রাজা আম লিচুর দারুণ মজা এইলা কাথা শরমত
কহিবার চাহে না-মামুর বাড়ি মধুর হাঁড়ি
ওরে মামুর মধুর হাাঁড়ি গোলায় ভরা ধান আছে সুখের বাস
দিনাজপুর ভাই বেড়াইয়া যান
ওরে বাংলাদেশের মানুষগিলা থাকিল তোমার নিমন্ত্রণ
ওরে কান্তনগর-সুখসাগর
রাজবাড়ি আর রামসাগর দেখিলে রে ভাই জুরায় যাবে প্রাণ
কাঁঠারিভোগ চাউলচিরা সারা দেশের মাঠ আতবচালের ঘ্রাণ
পাইলে হিংসা করে কাঁউয়াচিলে উড়ায় আসি কুড়ায়
খায় ঢেলায় পালায় না-গাঁয়ের ঘামত ভিজাই মাটি
এই মাটি ভাই সোনার মাটি সোনার মতোন দাম
দিনাজপুর ভাই বেড়াইয়া যান
ওরে বাংলাদেশের মানুষগিলা থাকিল তোমার নিমন্ত্রণ
যান-ওরে কান্তনগর-সুখসাগর
রাজবাড়ি আর রামসাগর দেখিলে রে ভাই জুরায় যাবে প্রাণ
দিনাজপুরের স্বনামধন্য কবি মোহাম্মদ আমজাদ আলী প্রথম দিনাজপুরের আ লিক বা লোকগান রচনা করে দেশব্যাপি খ্যাতি অর্জন করেন। এবং ইতিমধ্যে দিনাজপুরের পালাটিয়া নিয়ে একজন বিশিষ্ট লেখক টিটো রেদওয়ান পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেছেন ও বিশিষ্ট কথাসাহিত্যিক পাপড়ি রহমান দিনাজপুরের পালাটিয়ার ওপর একটি আ লিক ভাষায় উপন্যাস রচনা করেছেন।
একজন বিদগ্ধ সমালোচক দেবেশবাবু তার মন্তব্যে বলেন-‘দিনাজপুরের নিজস্ব ভাষা রয়েছে। সেটা নিয়ে স্থানীয় শিল্পীরা কাজ করে নজির স্থাপন করতে পারবেন।’ আজকাল দিনাজপুরের নিজস্ব লোকগান ব্যবহার করে নাটকের যাত্রা শুরু হয়েছে,এটা ভবিষ্যতে একটা দিকনির্দেশনা হিশেবে কাজ করবে। ভারতের যক্ষগানের সাথে দিনাজপুরের খনগানের সাথে লোকগানের মিল রয়েছে বলে অনেকে মনে করেন। আমরা ‘দিনাজপুর অ লের লোকসঙ্গীত’ নামক গ্রন্থে দিনাজপুরের অনেক লোকগান- লোকপ্রেম- লোকগল্পের পরিচয় পাওয়া যায়। এছাড়া ক্ষুদ্র-নৃগোষ্ঠীর নারী পুরুষের মাদল আর মন্দিরার শব্দে নতুনমাত্রার গানের সন্ধান পাওয়া যায়-এটা তাদের নিজস্ব ভাষা ও সংস্কৃতি। দিনাজপুর তথা এই লোকগান অধ্যুষিত বলে খ্যাত। যদি সরকারি পৃষ্ঠপোষকতা পায় তাহলে এই বাঙালির ঐতিহ্যবাহী ভাষা-সংস্কৃতি বহুকাল বেঁচে থাকবে।
তথ্যসুত্র ও কৃতজ্ঞা
১.লার লোক-সংস্কৃতি: ওয়াকিল আহমেদ
২. লোক কাহিনী সংগ্রহের ইতিহাস: ডক্টও মযহারুল ইসলাম
৪. কবিয়াল বিজয় সরকার দর্শন ও সাধনা: ইয়াসমিন আরা সাথী
৫.বাংলাদেশের লোকশিল্পী তালিকা, সংকলন ও গ্রন্থনা: সাইমন জাকারিয়া
৬. লোককলা তত্ত্ব ও মতবাদ: ওয়াকিল আহমদ
৭.উত্তর বঙ্গের লোক সংগীত: ড. আবুল হায়াত ইসমাইল
৮.আবহমান, ১ম বর্ষ ২য় সংখ্যা এপ্রিল-জুন-২০০৫
৯.দিনাজপুরের লোকনাট্য পালাটিয়া; সমাজ ও জীবন- সৈয়দ রেদওয়ান টিটো
১০.কবিয়ালের জীবনকথা-ব্যক্তিগত
১১. দিনাজপুরের লোকসংস্কৃতি:ঐতিহ্য ও উত্তরাধিকার-সম্পাদনা, এ.বি.এম. আব্দুস সাত্তার
0 Comments