দায়
ক্ষুদার কি আসলে সামাজিক মর্যাদা
থাকবার কথা ছিল!
উর্বরতা হারিয়েছে যে জমি সেখানে
ফসলে ব্যর্থতা কেন শুধু বীজের!
কেন বীজ অবহেলায় হারায় সকল মৌলিক?
তোমার মাঝেও দেখছি এখন
কর্পোরেটের ভাব,
লবণ পানি খেয়েও বলছো
খাচ্ছো কচি ডাব।
মিনারটারে লিফ্ট বানিয়ে
গুনছো সেশন ফিস,
চাষের নিয়ম একই সবার
একটু উনিশ বিশ।
অধিক সারে ভালো ফসল
আনছো তো ঘরে,
জমিটার ওই উর্বরতা
পূরবে কি করে?
আবর্তন
ঘুম ধুয়ে ফেললে জেগে উঠে জীবন প্রতিদিন।
চাষাবাদ ভুলে যাওয়া কৃষক ভালবাসার ভূমি খুঁজে দিনভর।
ফসলের কাছে বিয়োগ শিখতে শিখতে বড় হয়ে ওঠে প্রেমিক। প্রচন্ড দুপুরে জল চায় মাঝিকে। হৃদয়হীন মাঝি ঘর বাঁধে বৃক্ষের সাথে। বৃক্ষের সংসার জুড়ে বৈশাখী ভয়। ভয় খেয়ে খেয়ে মধ্যবিত্ত ভুলে যায় প্রতিবাদ। বাজারের ব্যাগ উপহাস শুনে শুনে ছোট হয়। ছোট হয় পরিবার গুলোও,এমনকি সমাজ,কেউ ডাক শুনুক বা না শুনুক,একলা চলা নীতিতে। তবে মাঝে মাঝেই ডাকে মেঘ,বৃষ্টি হয়,ধুয়ে যায় সব পুরাতন,সব চিন্তার ভাঁজ। পৃথিবী আবার বিপরীতে চলে যায় সূর্যের। সকালের জন্য আবার নেমে আসে রাত।
সেরা
যে প্রাণি গুলো মানুষ হয়ে জন্মাতে পারলোনা
তারাও কি চেয়েছিলো মনুষ্য জীবন!
অথচ পাখিদের জীবনে গীবতের কোনো শাস্তি নাই।
তেলাপোকার নাই তেলামির অপবাদ।
হেল্পার
হেল্পার সব তার
ভুলে যায় জীবনের
যাত্রীর সেবা যখন যেবা
হয়নাতো হেরফের।
সংসার প্রয়োজন
মেটেনা তার নিত্য
তবু বুক ভড়া ঘর আছে
ঘরের সে ভৃত্য।
স্বপ্নের রাত যায়
রুপ কথার মতন
প্রয়োজনে, প্রিয়জন মেলেনা
মনের মতন।
আশা আছে ভাষা আছে
আছে তার নামে দোষ,
কখনো সে নিরুপায়, চুপচাপ
কখনো করে ফোঁস।
ঘোর
একটি শিশু বেলুন নেয়ার জন্য কাঁদছে
বেলুন তার এ সময়ের তথাকথিত ক্রাশ,
একজন শিক্ষক তার শিক্ষার্থীদের বুঝিয়েই চলছে
বুঝলেই স্বার্থক শিক্ষক।
ব্যবসায়ীরা মুখস্থ করছে মুনাফা।
ডাক্তার গুলো টেনশন কমাতে বলছে রোগীকে।
ক্ষুধা গুলো অভাব ভুলতে ব্যস্ত সারাক্ষণ।
শ্রমিক হিসেব করছে প্রয়োজন।
সর্বোপরি সমস্ত চাওয়ারা কাছে টানছে পাওয়াদের।
অথচ কি একটা ঘোর বিরাজমান সব দিকে
অংকের সূত্রের মতো বুঝেনা মন কিংবা প্রয়োজন।
0 Comments