হতাশ হয়ে একজন বসেছিল
.
হতাশ হয়ে একজন বসেছিল
আমি তাকে চিনতাম না
হতাশাকে চিনতাম
এজন্য আমি তার কাছে গেলাম
হাত বাড়িয়ে দিলাম
আমার হাত ধরে সে দাঁড়ালো
সে আমাকে চিনত না
হাত বাড়িয়ে দেওয়াকে চিনত
আমরা দু’জন একসাথে চললাম
দু’জন দু’জনকে চিনতাম না
একসাথে চলাকে চিনতাম
হিস্যা
.
মানুষ নিজের হিস্যার আকাশ দ্যাখে
আর সম্পূর্ণ আকাশ দেখে নেয়
সবার হিস্যার আকাশ, সম্পূর্ণ আকাশ
নিজের হিস্যার চাঁদ দ্যাখে মানুষ
আর সম্পূর্ণ চাঁদ দেখে ন্যায়
সবার হিস্যার চাঁদ, সম্পূর্ণ চাঁদ
সবাই নিজের হিস্যার যেমন-তেমন শ্বাস পায়
যে বাগান বাড়িতে বসে সংবাদপত্র পড়ে
এবং সেও যে পঁচা, গলা, নোংরা পরিবেশে বেঁচে আছে
সবার হিস্যার বাতাস এক বাতাস নয়
নিজের হিস্যার ক্ষুধা নিয়েও
সবাই পায়না নিজের হিস্যার ভাত
হোটেলে দেখা যায় বড় চুল্লিতে
তন্দুরী রুটি পোড়ানো হচ্ছে
সেটা সবার হিস্যার রুটি নয়
সবার ঘড়িতে যেটা বাজছে সেটাও সবার হিস্যার সময় নয়
যারা কখনও আমার বাড়িতে আসবে না
.
যারা কখনও আমার বাড়িতে আসবে না
আমি তাদের সাথে দেখা করতে
তাদের কাছে চলে যাব।
একটি খরস্রোতা নদী কখনও
আমার বাড়িতে আসবে না
নদীর মতো মানুষের সাথে সাক্ষাৎ করতে
নদীর তীরে যাব।
সাঁতার কাটব এবং ডুবে যাব।
পাহাড়, ঢিবি, পাথর, পুকুর
অসংখ্য বৃক্ষ, ক্ষেত—
তারা কখনও আমার বাড়িতে আসবে না।
ক্ষেত-খামারের মতো মানুষের সাথে মিশতে
গ্রাম থেকে গ্রামে,
জঙ্গলে, রাস্তায় যাব।
যারা প্রতিনিয়ত নানান কাজে ব্যস্ত থাকে
তাদের সাথে অবসর যাপনে নয়
একটি জরুরী কাজ করতে যাব
এটাকে একাকী, সর্বশেষ ইচ্ছার মত
সর্বপ্রথম ইচ্ছা রাখবো।
অনুবাদকের সংক্ষিপ্ত পরিচিতি:
নাদিম সিনা
জন্ম, বেড়ে ওঠা ও বসবাস পদ্মা পাড়ের শহর রাজশাহীতে। সম্পাদনা করেন ছোটকাগজ ‘খাপড়া’। চালান একই নামে একটি স্বাধীন প্রকাশনা সংস্থা। যুক্ত আছেন প্রগতিশীল ছাত্র রাজনীতির সাথে।
0 Comments