উপাসনালয়
হেলে যেতে যেতে অস্থির বিকেল
পালাতে চাওয়া ডাহুকের একপথে প্রেম
বেসামাল হয়ে পড়ে যে প্রেমিক- স্মরণ মানুষের পানশালায়;
আতঙ্কিত তুমি বাহারি সময়ের পলায়নে আবিষ্কার করো তাকে-
তোমার মন্দিরে ধ্যান করে যে প্রেমিক
হে উপাসনালয়! ভান করো না
ভালোবাসায় কোনো বিরামচিহ্ন থাকতে নেই।
ফসলি মাঠ
স্নিগ্ধ শিশিরে গর্বিত ডগা হয়ে উঠতে পারে শরীর
আঙুলের উৎসবে শুরু হয় চুলেদের বসন্ত
মিহি সমীরণে ভাতের ক্ষুধা মিটে দৃষ্টির ফসলে
এমনও সিঁথি'র আলপথে আয়েশী চোখ দেখে-
তোমার নাকে ফুটে আছে প্রিয় ধানফুলের ছায়াছবি।
ওদের নেই দেইখ্যা নিজেরে সান্ত্বনা দিই
ওদের আছে দেইখ্যা নিজেরে সান্ত্বনা দিই
আমি তো হতে পারতাম- পথে বসা অসহায় ভাঙাচোরা লোক
এইভেবে শুকরিয়া করি রোজ।
ফিরতি পাখির চোখ- আগত চাঁদের ছবি আঁকে উৎসবের ক্যানভাসে।
কাছে আসার গল্প- দাপিয়ে বেড়ায় সন্ধ্যাকাশে।
আতঙ্কিত তুমি বাহারি সময়ের পলায়নে আবিষ্কার করো তাকে-
জীবনের পথ হারিয়ে গেছে বিপুল অন্ধকারে!
হৃদয় খুলে দেখছ কি তার মুখখানি- তর্জমায়?
ভালোবাসায় কোনো বিরামচিহ্ন থাকতে নেই।
স্নিগ্ধ শিশিরে গর্বিত ডগা হয়ে উঠতে পারে শরীর
ছুঁতে পারে প্রেমিক তার শিশির হৃদয়।
মিহি সমীরণে ভাতের ক্ষুধা মিটে দৃষ্টির ফসলে
এমনও সিঁথি'র আলপথে আয়েশী চোখ দেখে-
তোমার নাকে ফুটে আছে প্রিয় ধানফুলের ছায়াছবি।
শুকরিয়া
ওদের আছে দেইখ্যা নিজেরে সান্ত্বনা দিই
আমি তো হতে পারতাম- পথে বসা অসহায় ভাঙাচোরা লোক
এইভেবে শুকরিয়া করি রোজ।
@
বকুল আহমেদ
বকুল আহমেদ
চুয়াডাঙ্গা, বাংলাদেশ
0 Comments