তিন তরুণের কবিতা

তিন তরুণের কবিতা




মা রু ফ  আ হ মে দ  ন য় ন

বিধ্বস্ত নগরীর জীবনি

তোমার নামে বুকের ভেতর সাইক্লোন ঝড় বয়ে যায়। আমি বিধ্বস্ত নগরীর মতো বেঁচে থাকি। বলি, শান্ত করো, এ উন্মাদের অস্থিরতা। তোমার পোষা কুকুরের পায়ে চুমু খেয়ে, ঘটিয়েছি কেলেঙ্কারী। তা ছড়িয়ে পড়েছে লোকালয়ে। যেন একটা রাত পান করেছে দিনের আলোর মদিরা। এরপর অন্ধকার যুগ

পরিভ্রমণ করছি বৃক্ষের সমুদ্রে। পদতলে কঠিন আগ্নেয়শিলা ও মাথার উপরে বৃক্ষের প্রশস্ত ছায়ার গীত ঢেকে রেখেছে সূর্যালোক। এসো, প্রবেশ করি, আত্নহত্যার বনে। হৃদয়ের আদিমতা নিয়ে। যেখানে পৌরাণিক প্রেতাত্মারা পাখা মেলে উড়ছে। ভেজা পাতার নিচে চাপা পড়ে আছে মানব দেহের কঙ্কাল।

মায়াময়ী আমার, আহত করো না। চোখের আয়তক্ষেত্রে মশহুর করেছো। যেন আমি সেই বোকা গাধা, যাকে টেনে এনেছো নির্জন নদী পাড়ে। রক্তপিপাসু চোখে হিংস্র আঙ্গুলগুলো ছুরিকার ন্যায় চালিয়ে দিয়েছো। তোমার হাতে শোভা পাচ্ছে আমার হৃদপিন্ড। যেন মৃত্যুর হাতে একটি স্কারলেট গোলাপ।



মা মু ন  অ পু

মৃত্যুফুল


কী সুন্দর মৃত্যুফুল তোমার খোঁপায় ফুটে সুবাস ছড়ায়! নাক বাড়িয়ে দেই। মৃত্যুর এত দারুণ দ্রাক্ষারস মহাকালের কোন প্রেমিক পুরুষ পান করেনি। দু'চোখে অবগাহন করি সে ফুলের অফুরন্ত যৌবন। আহা! এত মধুর! এত সুগন্ধ! এত মাতাল ঘোর!

তুমি কোন অজানার রঙে এতটা দ্যুতি ছড়াও! যন্ত্রণার আকাশগুলো কত ক্ষুদ্র নক্ষত্র হয়ে হারিয়ে যায় ঐ ফুলের রেণু মূলের কৃষ্ণগহ্বরে। রঙিন দুনিয়ায় তোমার ফুলকে স্বাগতম জানাই হে অন্ধকারে শোভিত মৃত্যু। জীবনের স্বপ্নরা জবাই করা গৃহপালিত প্রিয় রাজহাঁস।

ঐ ফুল না পেলে একদিন আমিও জড়াবো অমন শুভ্র আর শান্তি রঙের একগুচ্ছ মৃত্যুফুলে।




অ দি তি  রা য়

স্বপ্ন

সবাই যখন ব্রাউন সুগারের নেশায়
স্বপ্ন দেখে আমেরিকায়,
আমি তখন নিজেকে জানার আশায়
স্বপ্ন দেখি শান্তিনিকেতনের।
সবাই যখন এ্যালকোহলের মাদকতায়
লিভিং টুগেদারে ব্যস্ত,
আমি তখন পান্তা খেয়ে
শান্তি খুঁজি শীতল পাটির।
সবাই যখন ব্রেক ড্যান্সে মত্ত,
আমি তখন ভারতীয় দ্রোপদীতে ব্যস্ত।
সবাই যখন প্লেবয় এর পাতা ওল্টায়,
আমার তখন চোখ থাকে সঞ্চিতা র পাতায়। 

Post a Comment

0 Comments