কবি মজিদ মাহমুদ সমকালীন বাংলা কবিতার শক্তিশালী কণ্ঠস্বর বিশিষ্ট গবেষ, প্রাবন্ধিক এবার পাচ্ছেন ‘কাহ্নপা সাহিত্য পদক ২০২৫’। কবিতায় তার অসামান্য অবদান এবং সাহিত্যভাষার নিপুণ নির্মাণশৈলীর জন্য তাকে এই সম্মাননায় ভূষিত করা হচ্ছে। ১৮ ও ১৯ জুলাই নওগাঁ সাহিত্য পরিষদ আয়োজিত সাহিত্য সম্মেলন ২০২৫-এর এক বিশেষ অধিবেশনে আনুষ্ঠানিকভাবে এই পদক তার হাতে তুলে দেওয়া হবে।
কবি মজিদ মাহমুদ দীর্ঘদিন ধরে বাংলা সাহিত্যে কবিতা, গবেষণা ও প্রবন্ধের মাধ্যমে চিন্তার নতুন দিগন্ত উন্মোচন করে চলেছেন। তার উল্লেখযোগ্য কাব্যগ্রন্থগুলোর মধ্যে রয়েছে মাহফুজামঙ্গল, গোষ্ঠের দিকে, আপেল কাহিনী, সিংহ ও গর্দভের কবিতা প্রভৃতি। গবেষণায় ‘নজরুল তৃতীয় বিশ্বের মুখপাত্র’ এবং ‘রবীন্দ্রভ্রমণ’ তার স্বতন্ত্র স্বাক্ষর।
পুরস্কার প্রদান প্রসঙ্গে নওগাঁ সাহিত্য পরিষদের আহ্বায়ক কমিটি জানিয়েছে, “মজিদ মাহমুদের কাব্যধারা বাংলাদেশি জীবনচেতনা, ইতিহাস ও দর্শনের এক অনন্য রূপায়ণ। বাংলা কবিতায় তার অবদান অনস্বীকার্য।”
‘কাহ্নপা সাহিত্য পদক’ প্রতি বছর বাংলা ভাষার বিশিষ্ট লেখক ও কবিকে প্রদান করা হয়। যিনি সাহিত্যচর্চায় চিন্তন, সৃজনশীলতা ও দার্শনিক গভীরতায় নতুন দৃষ্টান্ত স্থাপন করেন।
মজিদ মাহমুদের সাহিত্যপথিক্রম শুরু হয় ১৯৮০–এর দশকে। ১৯৮৯ সালে প্রকাশিত তার প্রথম কাব্যগ্রন্থ ‘মাহফুজামঙ্গল’ পাঠকমহলে তুমুল আলোচনার জন্ম দেয়। পরবর্তীতে তিনি লিখেছেন—
কবিতা: গোষ্ঠের দিকে, বল উপাখ্যান, আপেল কাহিনী, ধাত্রী‑ক্লিনিকের জন্ম, সিংহ ও গর্দভের কবিতা
গবেষণা ও প্রবন্ধ: নজরুল তৃতীয় বিশ্বের মুখপাত্র, রবীন্দ্রনাথের ভ্রমণ সাহিত্য।
উপন্যাস: মেমোরিয়াল ক্লাব (২০২১), যা বাংলা উপন্যাসে একটি চিন্তাশীল সংযোজন হিসেবে বিবেচিত
তিনি কবিতায় জীবন, সময় ও মিথের গভীর ব্যঞ্জনা তুলে ধরেছেন। তার কবিতায় স্থান পেয়েছে দার্শনিকতা, দেশজ চেতনা এবং ভাবনার বুনন।
0 Comments