ক্লোরোফিলে ডুব দেয় অনিয়মের ঈশ্বর
অনিয়মের স্বর্গধামের ক্লোরোফিলে
ফরমালিন আর কার্বাইট মেখে
বারবার ডুব দেয় অনিয়মের ঈশ্বর।
আমি বলি, ওহে ঠাকুর
দাঁড়াও বৎস! তোমার কী ভয়ডর নেই?
দেখি ভরা পূর্ণিমায় আধখানা
চাঁদ মুখে পানের রস
আর তামাকের গন্ধ লেপ্টে আছে।
অসুরের মতো অট্টহাসি
বিকট তার শব্দ,
প্রকম্পিত বিশ্ব, পৃথিবী এ ধরণী, !
অন্নপূর্ণাকে জিজ্ঞেস করলাম,
মা দুগ্গার সাথে দেখা হয়েছে তোমার?
তোমরা কার্তিক, গণেশ সব্বাই মাকে
নিয়ে কিসে চড়বে, গজে না নৌকায়?
অসুর ঠাকুরটা কী থাকবে দুগ্গা মায়ের সাথে?
কেন হে এ প্রশ্ন? তোমার!
আমি তো জানি, অনিয়মের ঈশ্বর
বাস করে বেশ্যাপল্লী কিংবা ভদ্রপাড়ায়
ভোগ আর বিলাসিতায়।;
দুগ্গা মায়ের পাশে বসে
পা লেপ্টে থাকে ভোগ আর আরতিতে।
আমার স্বর
যে আমার কন্ঠ
পড়ে থাক না ;
আমার স্বর হয়ে।
ছায়ায় উড়ে যেন শঙ্খচিল
কথায় কথা হোক তার সনে
সে আমার অতি পরিচিত স্বজন,
কুজনে ভ্রমরের ডাক।
বিষাদগ্রস্থ মৌমাছিরা
হোক না দিকভ্রান্ত, হোক
একদিন ঘোর অমাবস্যায়
মেলে দিবে ডানা...
তার নিচে জন্মান্ধ আমি
মিটাবো জ্বালা কেবলই
মেলে দু'চোখের ডালা।
আহা! সব হয়ে যায় পর
যে আপন আমার ঘর,
কোজাগরী সন্ধ্যায়
নেমে আসুক পেঁচা
রাতভর হোক দলাদলি
না হয় সংঘাত।
প্রতিটি প্রত্যুষ হোক
বিনম্র, নত হোক শ্রদ্ধায়
শুধিতে চাই না ঋণ
বিহগের বেহালার ।
ভালোবাসা পুড়ে
হৃদয়ের তালুতে গেঁথে আছে যে চোখ
মেনে নিতে পারি না কেন?
তাঁর প্রস্থান।
পোড়া হাড়ে গন্ধ পাই বারুদের
করোটি আর পাঁজরে শেটে আছে
দু'একটা বুলেট।
ঝাঁঝরা করে লিখে দিল
প্রিয় স্বদেশ বাংলাদেশ তার নাম।
অন্তর পুড়ে ছাই হয়...
বুঝি ভালোবাসা হারিয়েছে
দেশপ্রেম তার নাম।
মায়া মমতার হাড় মাংস খুলি
অস্থিমজ্জায় এখনো দেখি
লুকিয়ে রাখে সে
বুকভরা স্বদেশ প্রেম।
মন পুড়ে, ভালোবাসা পুড়ে
তুমি উড়ে যাও বারুদের পারফিউম ঘ্রাণে
পারমাণবিক বিকট শব্দে।
সেদিনের সার্কিট হাউজের
প্রতিটি কক্ষ এখনো প্রকম্পিত
আত্মচিৎকারে স্বদেশের।
আমি কান পেতে এখনো শুনি
ক্রন্ধনরত বরষার গান....
একটা অচেনা পাহাড়ি পাখির কন্ঠে,
শুভ্রবসনে শূন্যতা ভেদ করে
জেগে থাকে শান্তির ডাক।
ভালোবাসা পুড়ে, মন পুড়ে
এখনো হৃদয়গহীনে...
কর্নফুলী সেদিন ধুলোমাখা
দেহপাটে ধুয়েছিল রক্তের ছোপ ছোপ দাগ।
তুমি জেগে উঠলে কাঁপে সারা বাংলাদেশ
দশক আশিতে নুতন চেতনার গান।
আমি চেয়ে দেখি সেই নায়ক,
উঠে এসেছে....
ভালোবাসা পুড়ে, মন পুড়ে
গহীনে গহীনে
আমি মন্থন করে দেখি
হাজারো জনতার মনে
একটা নুতন জাগো চেতনা
বাংলাদেশ তার নাম।
জলখিচুরি
আমাদের দেখা হয়
যদি অনেক দিন পর,
জেনে রেখো,
এ ক্ষত থাকবে না তখন।
দুঃখ সেও চলে যাবে,
ট্রেনের হুইসেল বাজিয়ে
দূরে কোথায় মিলিয়ে,
কোন অভিযোগ থাকবে না
কথা হবে না আগের মতন
সে রকম!
আমাদের দেখা হলে,
মনে হবে যেন
পথচারি কেহ,
দীর্ঘ বিরতির পর
উনুনে জলখিচুড়ি বসিয়েছি।
অনেকদিন পর হোল দেখা
দু'জনে এক সাথে বসে
অতপর! খাবো জলখিচুরি।
শুভ্র ও রক্তকাঞ্চন সংলাপ
শুভ্রকাঞ্চনকে একবার জিজ্ঞেস
করেছিল রক্তকাঞ্চন
বলতো কে বেশি সুন্দর?
তুমি না আমি
শুভ্রকাঞ্চন সেদিন বলেছিল
আমার চোখ দু'টি নিবে
উত্তর পেয়ে যাবে।
চোখ আবার কী করে নিব?
রক্ত কাঞ্চন বলল।
আরে পাগল আমার চোখ দিয়ে
যা কিছু দেখি, সব থেকে সুন্দরতম তুমি।
আবার তোমার চোখ দিয়ে দ্যাখো
কী দেখতে পাও?
কেন?
তুমি বুঝলে না,
কেন তোমাকেই।
তুমি তো আমার সুন্দরীতমা।
ও হে সুন্দরতম মম
বেঁধেছি ঘর তোমারই লাগি
এই নীপবনে এই মধুময়,
শ্রাবণও বারিধারায় আমি
তোমাকে বাসি চিরতরে
ওগো ভালো প্রিয়তম।
0 Comments