ঈশ্বরী কাক কথন
সন্ধিহীন কশেরুকায় জমে প্রাণ।
কিশোরীর ঘ্রাণ লেগে থাকে
হিম জোছনায়, যেমনটা তুমি ছিলে।
পাশবালিশের চৈতন্যে, নিরস প্রবন্ধে
কিংবা উপন্যাসের মুখবন্ধে।
ক্ষত্রিয় স্রোত রূপকে, শরীরই আঁকে শুধু।
একটি নির্মোহ কবিতা
মরা নদীর জলে ডুব চান, বড় ভয়।
এখনই রেডিওয় পিকিং ভেসে আসে।
পৃথিবীটা এখন খসা চামড়ার দাদে ভুগছে।
গোলাপি মরুভুমি কবির কল্পনা
ছেড়ে, শরীরী ব্ল্যাকহোলে পাড়ি জমায়।
পেন্ডুলামি প্রজাতন্ত্রে চতুস্পদী পোকারা,
দেশভাগ ভুলে বনসৃজনে মাতবে।
স্বাস্থ্যবান পিরামিডের, মহাজাগতিক জ্যামিতিকাল,
এখন অভিযোজনের উলম্বপাতে,
ধরা দেয়। স্যাটায়ারে উলঙ্গ অপুষ্টি,
উদার ঊরু, গভীর যোনি, কিংবা নিরম্বু আপীন।
ধ্বংসের বুকে পা দিই আমি।
পরাগমোচনে মেয়েলি নক্ষত্রযাপন,
দীর্ঘ্য অনুচ্ছেদের রুমাল বেয়ে,
গান্ধর্বীর ধূসর মাইলফলক।
পৃথিবী আসলে, একটি মেয়ের নাম।
অন্তরীপের মসৃন অসুখ
স্পেক্ট্রামে ঝড়, শতাব্দী শোক, ডান পাশে
চৈতন্যে ঘুন পোকা, গোপনাঙ্গে বিষ
সর্পমস্তা চুলে গ্রাফিতির নিটোল শিস
লেগে আছে বিপ্লবের শূন্যস্রোতে
সাড়েসাতির কুলীন ছায়ায়
দলা পাকায় কবিতা। ঠোঁটে ঠোঁট,
তন্বীর গর্ভে নগ্ন কারা, জরাসন্ধের নাভিশ্বাস
বিন্দু বিন্দু ঘামে| বাজারের মাছের আঁশ
বেয়ে বেয়াদপ নাদ| কুলকুচি থলেটা বেয়ে
উপচে ওঠে আলু, স্যাডিস্ট কিংবা
লাস্ট সিনে সিনিক্যাল।
একটা নিট, সাথে আলপাচিনো সভ্যতা,
বিরিঞ্চি আকার নেয়, যুদ্ধবাজ
ক্যাপিট্যালিস্টের হাত ধরে| আমার হাতটা
ছেড়ে দাও, আমি শূন্যে ভাসি।
নির্লজ্জ নস্ট্যালজিয়ায় ভাসাই আমার
শহর কোলকাতাকে| উলঙ্গ আয়নায় ঠিক একদিন
জ্যোতিষটা, নিজের ভণ্ডামি দেখে লজ্জা পাবে।
ঝরা পাতার বিজল্প
অল্প আদুরে শীত টা কি এখনো তোমার চোয়াল বেয়ে
চুঁইয়ে পরে? আমি আলতো জিভে চেটে নিই তোমার ঘ্রাণ!
সূর্য্যের তেজ কমে উত্তরায়ণ শুরু হয়েছে সেই কবে।
তবে কি তুমি শীতঘুমে ঢুকে গেছো? তোমার দস্যু চুলে
রাতের তুমুল হাহাকার! পাপের গুহাপথে, পরকীয়ার দামাল অ্যাডভেঞ্চার।
চতুর্দিকের বর্ষার সরসতার মাঝে মানুষীর আনাগোনা।
তোমার শরীরে নাকি ব্যাঙের রক্ত? নীলচে সবুজ ঢুলতে থাকা
স্বেদ! সূক্ষ্ম জাল মশারির গায়ে উঁকি দেয় অরণ্য।
ওর ভেজা চোখে সমুদ্র দেখেছি কতবার| ঠিক যেমন তোমার
সাথে সহবাসে মোহনা আরো চওড়া হয়| নশ্বর অনাবিল স্রোতে
মাছেদের হাহাকার! আমাকে ক্রমশঃ মেরে ফেলার হুমকি দেয়
মুহূর্তরা! বিপন্ন স্রোত, ধূ ধূ মাঠ, নাস্তিক কবি, নষ্ট প্রতিভা
এরা সবাই কালদোষে ফসিল হবে একদিন| ভালোবাসা আর
এবাদতে কেটে যায় কয়েকদিন, অনেকগুলো বছর! শহরে
চৌকো করে গন্ধ ছড়ায় পরিত্যক্ত ট্রামলাইন আর অ্যান্টেনা!
আমি আর আমার অযুত স্বপ্নের, এখনো ঘরমুখো হেঁটে যাওয়া বাকি।
কর্দম, কঞ্জম কিংবা অলস একটি বিকেল
কালশিটে পড়া উন্নিদ্র রাত, কিংবা নখের গোড়ায় পঁচে ওঠা, নষ্ট মাংসের ডেলা, আমায় চেনে না।
সুখের ডানায় ভর দিয়ে, উড়তে চাওয়া ইন্দ্রিয়গ্রাহ্য সকাল, কিংবা খনিজ গুহা চিরে বেরিয়ে আসা, অস্তমিত সন্ধ্যা, সেও আমায় চেনে কি?
কবিতার সুখনাল বেষ্টিত, নির্বিবাদী শিল্পে অকারণে ফসিল হয়ে ওঠা, ‘লেবার’ আমি।
ভালোবাসার আগুনে. ভিজতে চাওয়া, নর্তকীর ফেনিল স্রাবে, যার অন্তর্বাস পুড়তে চায়।
বিপদসীমা বরাবর, জলের দিশা, বরফসংকুল পৃথিবীটা কে, ‘সেলফি’ মোডে, সাংকেতিক চিহ্ন পাঠায়।
রক্তমুখী নীলা পড়তে চাওয়া, চায়ের দোকানীটা, বারবেলা ঘেঁষে, দুর্বল চিত্রনাট্য ভিক্ষা করে।
হাঁড় পাঁজরার ভাঁজে, বিপন্ন লেখার দল, আমার বসন্তের দরজায়, কড়া নাড়ে।
বিচ্ছিন্ন কোনো এক দ্বীপে, আমি পথিক হতে চাই।
ঠিক যেমন, তোমার রুক্ষ্ম চুলে, আমি আমার, হারিয়ে যাওয়া মেয়েবেলাটার গন্ধ পাই।
প্রাচীন ঘটনা গুলো, সমকামীতার দোষে, ভাস্কর্যের রূপক খোঁজে।
নারী জন্ম, ক্রমশঃ সুখের হয়ে ওঠে, জোনাকির গর্ভরোধে, পোয়াতী বিড়াল, গরম ভাত মাখে, বুভুক্ষু ঠোঁটে|
ফোন ক্যামেরার নন্দিনী লেন্সে, তখন কৰ্পূরহীন, ধূসর সংবাদের, অনর্গল মাইলফলক|
সারাঙ্গাবাদের চোখে, এক বক্ষহীন প্রাগৈতিহাসিক খুঁত।
সভ্যতার চিরকালীন ঈশ্বর বিন্দুতে, এক সীমাহীন বিবশতা।
পুবদিকের অজুহাতে, স্মৃতির কোলাহল বরাবর, পিগমেন্টেড কলঙ্ক আঁকতে চাইছে, প্রবাসী অর্ধনারীশ্বর|
নির্বাণী ধৃষ্টতায়, আমি, ব্যাকরণের বৈভবী পাতা হাতড়াই।
0 Comments