বন্ধুর জিজ্ঞাসা
কেমন আছিস তুই!....?
এইতো, কেটে যাচ্ছে দিন
চলছে জীবন!
আছি তো বেশ! পৃথিবীর এককোনে পড়ে!
নিজ জায়গাটুকু জুড়ে!
তোদের হতে বহু ক্রোশ দূরে!
এখানে ও পাখিরা আকাশে উড়ে,
ভোর হয়, সন্ধ্যে নামে, তবে
শাঁখের উলুশোনা যায় না!
ময়ুাজ্জিনের আযানের সুর আসে নাকো ভেসে!
মখুরিত হয়না চারিদিক জনসমুদ্রে!
কখনো দেখা যায় কদাচিত,
ভিন্ন আয়োজনে, ভিন্ন সংস্কৃতির....!
কাজ শেষে ক্লান্তি অবসাদে, বসে নির্জনে!
নির্মলর্ম বাতাসের আলাপনে,
ভাবনার কোলাহল ভেঙে,
মানষেুষের আলপনা আঁকি আপন মনে!
কখনো রবীন্দ্র সংগীতের সুরের মূর্ছনায় বিমোহিত হই!
হারিয়ে যাই! দিগন্ত জুড়ে ছুটির আবেশে !
যে খানেই যাই জীবনের বিড়ম্বনা থাকবেই!
কিছু হয়তো আভিজাত্যপূর্ণ
কিছু হয়তো অনটনের ছায়ায়!
তবুও, আছি তো বেশ!
সবাই যেমন আছে নিজের মতো করে,
জীবনকে ভালোবাসার অবলম্বন ধরে !...
আমি ভালো নেই
আজ আকাশটা নীল!
আমি দূর হতে আকাশের নীল দেখি!
আর খুজিঁ, কষ্টের সাথে মিল!
সবাই ভালো আছে, নিজের মতো করে
ওরা পৃথিবীর কাছে ঋণি বলে!
ভেবেছিলাম ওদের মতো করে,
ভালো আছো তুমিও!
এখানে ঘন সবজু বন,
বনের মাঝখানে ছোট্ট সোনামণিদের বিদ্যাপীঠ।
এখানে কাজ নিয়েছি, সবে ক'দিন আগে ।
ছেলেমেয়েদের পড়ানোর কাজ।
প্রত্যুষে উঠে বিদ্যাপীঠে গিয়ে, কিছুসময়,
পাখিদের কিচিরমিচির কলরব শুনি।
ওরা জানিয়ে দেয়,
একটি নতুন দিনের আগমন হলো!
এরপর শ্রেণির কাজ শুরু হয়,
ব্যস্ততায় কেটে যায় সময়!
কখন দুপুর গড়িয়ে যায় বিকেল....
মন কিছুবলে যায়না!
এভাবেই কেটে যায়!
একটি একটি করে পুরোনো দিন!
রাত কেটে! আবার দিন!
ভাবছি,
জীবনটা জড়িয়ে যে,
বিষণ্নমাখা চ্যাপ্টারটা ছিলো!
ওটা ক্লোজ করে দেবো!
জীবনের বাকি যেকটা দিন আছে,
এই সবুজ নিরালায় কাটিয়ে দেবো!
তুমি হয়তো খুশি হবে জেনে,
আমি ভালো নেই....
নারী
কে তুমি দিগ্বিজয়ী নারী!
যে পৃথিবীর স্বস্তিরনিঃশ্বাস!
তুমি শুধু সুরের মাধুরীতে সজ্জিত নও,
আকাশ আঙিনায় রক্তিম সূর্যের লাল আভায় জয়োল্লাসের বিশ্বাস!
তুমি সুহাসিনী! মোহমায়া! বীরাঙ্গনা!
তুমি জায়া! জননী! মা!!!
চন্দ্র নক্ষত্র নও, তুমি নিজেই তোমার উপমা!
অতি মৃদুশৃঙ্খল, তোমার পদচারণা!
তুমি স্নেহ, মায়া, ভালোবাসার রস সঞ্চারী মূল!
কখনো কখনো আবেগের ধূসর ধুলোয়,
নিজেকে হারিয়ে , করে ফেলো ছোট ছোট ভুল!
তুমি নও তো অবলা!
তুমি অনাহারী লক্ষ শিশুর ক্ষুধা নিবারণের সারাটি বেলা!
তুমি জীবন সংগ্রামের রণক্ষেত্রের অগ্নিশিখা!
তুমি দূর্গম পথে অন্ধকার রাত্রির আলোর দিশা!
কেউ যদি দেয় তোমায় মিথ্যা উপমা
সে শুধু তোমায় নয়, এ ধরনী-ই চেনে না!
তুমি না তুচ্ছ, না নগন্য, পৃথিবী ধন্য!!!
তোমার সৃষ্টির জন্য!!!
তুমি আছো বলেই পৃথিবী জীবন্ত
তুমি মানব সৃষ্টির পরম পূজনীয়!
তুমি জীবন পথে র আলো অফুরান,
কালের স্রোতে , এ মহাবিশ্বে
তোমার সীমাহীন অবদান!!!
সকলেই জানে বিরুদ্ধ ইচ্ছায় একবার হলেও মানে।
পৃথিবীতে যা কিছুসৃষ্টি ,
অর্ধেক-ই তোমার রচনা!!
যারা মানে না, তারা নিজেরাই নিজেদের করে বঞ্চনা!
তুমি প্রতীক সুন্দরের
তোমার স্থান প্রতিটি সজীব অন্তরে !!!
তুমি নারী!!!
তুমি সঞ্জীবনী শক্তির উত্তরসূরী!!
0 Comments