অনিক রায় এর চৈত্রের আবির বা শ্রাবণ ও অন্যান্য ০৯ কবিতা

Abir or Shravan and other 09 poems of Chaitra by Anik Roy
 


চৈত্রের আবির বা শ্রাবণ 


শীতলাতলা জোৎস্নার বুলবুলি সৌদামিনী আর্থেও অন্তরা বান্ধবী নীলের মধ্যে ফাকা বহনসুত্র জানি সে সৌরভে চলমান ঋনগুলো। রঙ তুমি আলাপের আগে দেখছিলে আদি কুঞ্জভঙ্গ কৃষ্ণপঞ্জিকে শীতলা তাই নীল তন্ত্রস্বচ্ছতা রাখে মনের ভেতর।গালের শ্বেত আবির মাখা হরফের ডাকনাম বাষ্পের ইঙ্গিতে হয় রঙিন বৃষ্টি; সুবলেও মেঘ হতে পারে কথা এবার মুখের শীতলা সাক্ষী ইষ্টতায় জেগে অন্তরা গতাগত সপ্তমী নীল স্পর্শের মতো প্রয়াত শ্বাসের দোল সাদা বাষ্পে যেমন প্রেমিকা ছিল শীলে আদিম মেয়েটি সুরের নরসুন্দর। আর শিলাবৃষ্টি নগর ভুলায় না এখন রঙের মধ্যে-স্বরূপ বৃষ্টির-ঠোঁট ভুলে যায় ধবল হাত আগত শ্রাবণকে জানাও লাবণ্য নখের চৈত্রে শেষ বামহাতের মধ্যে কতটুকু আটাই গালে সর্প-পূর্ণিমা দোলাবেগে প্রেম।





অদিতি


স্কেচের মগজে লাবণ্য কল্পক মেধার সঞ্চয়ী তন্ত্র মূলে মুক্তির নববর্ষ দুধে ভাসা ইষ্ট আসন লাল পাখার মধ্যে শেফালিকার শ্বাসে পঞ্চায়েত কালো মৃগেল হতে মোদক যত বাতাসার গামছা শব্দমুখো প্রসঙ্গের প্রণয়; শুক্রমেহ এই জলকণার ইষ্টতা ইথার সম্পাতে বেতমের কালি আড়াল। সংযোগের টানটা গড়াইতে তলাতল জন্মে ইষ্ট সুনাম বদলে তমাল সুতো প্রীতি সমতোষে জাগে মুক্তির রোদ কল্পক; সূত্র বৈশাখী তেরোর মত শিউলি জন্মের কালো-কাল শয্যার মতো বড়ো লালে মিষ্টি কম্পনে মথুরাগত চিত্রযন্ত্রে নদী নীল টুকু স্বচ্ছ? নামের উপাস্য ফুলজোর অন্তমুখে উৎসর্গ উৎপাদন। গুটি আদর্শ আম্রপালি অলস স্বস্তিকে সর্ষের মধ্যে চাতকের পতনের;ধান্যপুরী চিনে মিষ্টিসুত্র ঘরে প্রণাম কালো মিষ্টির মতো বাষ্প-না মানে স্বরবদ্ধ সম্ভবত অ-দ্বিতীয়।






এই ঐশীর মোহরেখা চিত্রকর সুযোগ জানত


নৌকাতে লাবণ্যের চিত্রপাঠ করে আবার প্রকাশ শৈলীর হরিসভা ঐশীর তিলক সে আপনার রঙের শুক্রমেহ আবেদন নেয়? অনেক অন্তিম নীল তিল স্ব-মতসহ সংগত শৈশব কল্পক পিতৃ দৈত। জানি সৌরভে সূতিসুত্র ফেলি প্রেমিগন্ধ ঋতুমূলে চিত্রের ঋতুতন্ত্র বরাবর মধু-গন্ধের শাখা-ধর্মে দুর্গম গ্রীষ্মের বালি মায়া বালি বিশ্বকর্মার ইষ্টনামের গৃহ বিপরীতে সংসারসূত্র স্কেচের মগজ টের পায় ওপর শিউলির-আরপিত মূক অজনার মধ্যে ধিম সুর; বান্ধব ঐশীর ভেতর কালি কাল কথা এঁকে ঘাসের মধ্যে দেবে রুলের প্রীত চরিত্র;ঋত বৈভবে শেষ প্রকাশ করে  শৈলীর সমস্ত করপিঠ মঙ্গলে।যাওয়ার আগে উপজীব্য প্রায় সে চরিত্রের বৈশাখী প্রথা, টানের উপলব্ধি মুখমন্ডল যা আঁকা ভোলবার শিবের নদী রোধ করে বাঁকা ফলা ঝকমক বিগত সোম বাদাম এঁকে দিতে স্ব-বন্ধুত্বে স্বরসঙ্গতি একই মূলে রয়েছে  অতিকাল সংযোগ চাওয়া ক্ষমা থামো আপন চিত্রকর।




যৌবনের হাতে আকন্দ প্রীতি


সামনের বৈশাখে ভেঙ্গে নাগরিক ব্লাক চুড়ির স্মিত দ্বিজন্ম চিত্রকরে বোন অঙ্গজলে ছাপ যুগের বুকে কেন তুলসীর শীষে শীষে বার্ণাম বিঁধে; যারা বর্শির কাছে কেউ বাসন্তী নামের প্রকাশ শৈলীতে বিরক্ত, আন্তক্রিয়ার নীল বিপনী দেয়। সুজন প্রেম ককসিট যেখানে একটু আগে হিমে বালির নাট্যদৃশ্য আকন্দের রতিক্ষয় হয়। সেখানে লাবণ্য অন্তরার শত্রু সামাল করি ততক্ষণে তত্ত্বে রক্তে মধুমেহ চড়ক থেকে উবে যায়। গাবের গাজনে লালিত কোথায় হৃদগত ভাট হাওয়া শেষে সামলিকার ষষ্ঠী কালীন হোমের চৈত্র অষ্টমী শুভ বকুল ছক-মঞ্জুরী প্রীতির ভেতর মৎসসুখ নিখোঁজ মুক্তারগুটি আমে পিতৃতান্ত্রিক ঘর। সামাল উৎসর্গে প্রশ্নচিহ্ন উত্তরে নাগরিক সে জানি ঋণের সৌরভে হয় নরসুন্দর। মঙ্গল কাল-বৈশাখী কাটে স্মৃতির গর্ভ-নবম গন্ধ দিয়ে যুগল ঢুকবো নববর্ষের কাছে একতারা আঁকা তীর জানে আঠেরো?




নীলবন্ধনীর বাসন্তী বৈশাখ 


সে লাবণ্যে তোমার নীলবন্ধনী ষষ্ঠীর প্রতীকও চড়কে ঘুরে আপন এবার বৈশাখী গ্রীষ্মের স্বচ্ছতার,শ্বাসে অন্তরার সুর শত্রুর তীর্যকে আরো বসন্তের পাতায় কালের মন্ডলে বেড়াল আর শিউলির স্ফীতি গর্ভবন্ধুত্বের স্ব-আরোপিত চোখ সমাজ যুগবেল নবপত্রিকার ঋনের; জানে ভাট সৌরভে নববর্ষেও তুমি গত উৎসের অষ্টমী, জ্যোতি থাকে সে শীলের ক্ষমতার জন্মমাস চুলের পর্বতে ওঠা-নামা নরসুন্দরে বন। সৌরভে প্রেম ওখানে অসুর চিরোকুমারের ব্যাথা ঔরস বাকে নীল ছদ্মবেশে উপজীব্য কালবৈশাখী এইসব আমের মেয়েরা ঠিক বলির জন্য বারুণী বয়সে উৎসর্গিত সন্ধিতে মধুগন্ধের প্রীতি রাখে আপনে-তবুও বকুলতলার মেলা লাবণ্যের সংকেতে বৃষ্টি বোধনের গন্ধ-পায়।




চড়ক মেলার লাবণ্যপুরাণ


চড়কের মেলা ভুলে যাচ্ছে জোৎস্নার ডাকা বুলবুলি,স্বাক্ষরের রক্তে করেছে কে মুক্তার চৈত্রতত্ত্ব জলের মাতাল নামে নীল-কাপরের ঢাক তোমার বৃষ্টি জানেনা অন্তরা; শনি-কৃষ্ঠির কর্মমুখে কালি তিল। চৈতী সাগরে মুক্তাভূত শ্বেত সন্যাসীর জবাফুলে হাজরাপাটের স্বরসঙ্গতি একই মূল সংযোগ জলে বাহিরে নিম'কে ঠাকুর বলা ক্রীতমুখ। জানা শেষে কে গায়ত্রীর বাহনে তমা-সুরের ইষ্টতা ঘোরে মুক্তির পিঠে শীষ লাবণ্যের কালঘর পোড়ানোর আলাপ চয়নের মালায় মকুল ফাল্গুনে স্মৃতিপাতার পিতা;সে শেষের বয়সের খড়েমেলার মধ্যে মালতীর গর্ভঘাতী খোকনে নৈঋতা রুদ্রে। অতীত দোল আবিরের নিশিতার নদীতে গর্ববতী শেফালিকার রন্ধ্রে সান্ত্বনার অন্তরা রূপাতুরে নমশূদ্র আগুন। সেখানে নীল দেখা শীলবংশের জন্মপুরাণ স্তিমিত বিপদ।





শ্রমণায় জন্মানো প্রগতি-সপ্তমী 

 
পরিবারের বিরুদ্ধে প্রগতির প্রত্নসম্পদ কালিচর্চা করবার শেয়াল মিগি আকৃষ্ট মিথমঙ্গলের লাবণ্য,শীতলা-তলার বিলে চণ্ডী ইষ্টমুখ আদিতে সপ্তসতী ঝড় অন্তরার তন্ত্রখন্ডে ওঠে। আসে শ্রাবণের শ্বাস শত্রুসুরে অগ্নুৎপাতে আলাপের আশু সমপ্রাণ সোমবার শিবের মাথা সংহারের আদি। বেলপাতা আবন্ধন সপ্তমীর কুষ্ঠ জরাগ্রস্ত লৌকিক উৎসের বাহিরে ডাব-জলে আদ্যাশক্তির শ্রুতি মহাকালের দীক্ষিত শীষ;শীতলযোগের চয়নে শরীরের তেমন কুষ্ঠরোগে সুনীল সর্বত্রময় বিতৃষ্ণ!ঘাটে সুবল মানের বিবাধে শরীরে হবে রূপান্তর,সুকুমারের হাতে। সমস্ত লোকনাথ মনে করা গত বসন্ত-নীল উঠে সাপের আগে জানি অন্তরা সুরের তোমাকে ঠেকিয়েছিলো কাঁচা মাংসের বুকের মধ্যে গর্দভ শ্রম;ঠেকে যাও অর্চনায় ঋতুগত ছায়ার যেখানে শ্রাবণে আদিমন্ত্রে স্বভাব কৈলাসী সব দেখি আমি শুক্ল যমজ তিথিঙ্ক শেষে।




কাল কাঠামে নীল বাড়ি আঁকো 


নীল নদ রীতি লাবণ্য যোজিত বান্ধব জানি বৃষ্টি  শিশুযান ভাসায় নিষ্প্রয়োজন কথার মতো সঙ্গে বৃদ্ধ বৈভব তুমি চিত্রকরের হোমে পদ্যবালি হতে নজরবন্দী নৌকার প্রদীপ দেয় চৈতন্য ভবানী জ্ঞান, সে প্রকার শীল সুশান্ত সৌরভ ঋণের পূজিত লাল তন্ত্রাসনে প্রতিবিম্ব কেন নীল মেলা প্রতিটি  প্রকাশ শৈলীর আঁকা ভোলা সে সওদার আদি, কিছু শাড়ি অলকার শীষে স্বচ্ছ না বিষ? মঞ্জুরী অলস হয় পঙ্গুজন্ম শৈশবভূমের শম্ভুক ধাতুর কুমারী জানেনা জলতল রীতি  চিঠিগানের শেষ। মাপা বৈশাখী নল-বক কালবৃক্ষ ভাটের প্রযোজনা ইটে, তোমার শ্বাসে কালো জানি তামুক দৃপ্র হতে পারে বেতমের প্রথম  সংযোগ; পেতে থেকো তা কাল কৈলাসে চিত্রযন্ত্র এখানে কণা আছে ভারাটে কবির বোনে টানে বান্ধবী উমা ভক্তি ধান্যপুরীর মতে পড়ে মহাকাল সংকেত তুমি সহর্ষ টান থেকে মাত্র শৈশব বালি মেঘে তোমার আকাঁ স্তিমিত উচ্চপুরাণের অন্তরা তারমধ্যে অন্তত সুর বয়স আর মকুল তো নগরের মিষ্ট থেকে পড়ে জিহ্বা আঁকো জলে মহিষ কার্তিকে চিরোকুমার দুর্গের বুকে খড় বেরোলে কী কালির কাঠাম?




লাবণ্যের স্মৃতিযোগ শেষ গ্রীষ্ম সংকেত


লাবণ্যে আম্রপালি স্বস্তিকে শুকিয়েছে মকুল ঔরস মুক্তার বিগত আষাঢ়ে স্মৃতি পেটে বালা কল্পকের অধিগম দেখে ঝর্ণা ছিল নীল তিলের ননদ ষষ্ঠীব্রত'র সুতো পরে  আকর্ষিত কালমুখী নিম অখিল সৌঁরিক প্রণালী ডোবে জন্মগত সে বিবাহ ঢোলে নির্ণয়বাদী যোনি শীষের বুলবুলি লাবণ্যের ডাকনাম জোৎস্না বিলচন্ডীর শীতলা-তলা এলে তির্যক মন্তব্যের সুত্রে অকথক তুলি সুজনের নিয়োগ রেখার লাল রুদ্রযোগ আঁকে কেন? কোন কিছু ছাড়া নৌকা সর্বতভদ্রমন্ডলে গন্ধপূর্ণিমার বণিক স্বত্ব প্রভাবিত হয়েই মরে গেছে অন্তরার অনাবৃষ্টি সুরের কপোট,বান্ধবে স্বাক্ষরের সাইকেল গত চৈত্রে সপ্তম স্বাদগর্ভে লাল সীমানা দেওয়ার সময় তমার অনালোকিত ভয়ে লাবণ্য'দিও অংশ  সৌভিক মধুবর্ষী সুরের সুবল কৌতুক ছেড়ে নির্মল শুক্রমেহ ধর্মবর্তী কালের সুনীল মেদুর জলাভাসে রূপালি নগরে রসপূর্ণ মহিষ পাতন মন্ত্র দৃপ্রে পঙ্গুর শৈশব বিষ দুরূহ গ্রীষ্মে প্রসব তন্ত্রাল শ্বেতের।




অনিক রায় 
জন্ম ২৩ শে বৈশাখ ১৪১২ বঙ্গাব্দ 
৭ই মে ২০০৬ খৃষ্টাব্দ 
সহকারী সম্পাদক সাহিত্যের স্বাক্ষর 

Post a Comment

0 Comments