অপ্রকাশিত
একটু আর্জি জানানোর ছিল,
কিন্তু কাকে?
ঠোঁটটাও সেলাই করা!
দাগগুলো অদৃশ্য।
প্রহরী দাঁড়িয়ে ছিল,
অতন্দ্র পাহারায়,
মাথার ভেতর ফিসফিসানি,
ধরা পড়লেই হাতকড়া।
লাল আপেল কামনার বাসস্থান,
গভীরে পোকা লাগছে,
অনাকাঙ্ক্ষিত।।
আঙ্গুলের ফাঁকে
একটা কথা ছিল,
হাতে হাত ঠেকিয়ে,
পাসওয়ার্ড দিয়ে,
চুপিচুপি ইশারায়।
একটা গান ছিল,
খালি ভরাট গলায়,
সুরলহীর ছলাকলায়,
বিঠোভেনের সা রে গা মা য়।
একটা গল্প ছিল,
সাদা মেঘের ভেলায়,
নীল নদের দুঃখগাথায়,
ভালোবাসার নক্সীকাঁথায়।
একটা কবিতা ছিল,
কথায়,গানে,গল্পে,
মনোরঞ্জনের সংকল্পে,
দুই আঙ্গুলের শিল্পে।
লিখে যাই,শুধু লিখে যাই,
যদি নজরে পড়ে পাঠকদের।
বাসি ভাতের গল্প
একটা গোটা সূর্য,আধখানা চাঁদ,
একটা অর্দ্ধেক সকাল,পাঁচটা পূর্ণ রাত।
যখন বাসি ভাত খেতে বসি,
সকাল গড়িয়ে যায় রাতে।
আচ্ছা,এমন যদি হতো,
একদিন সূর্য উঠত,
তারপর থেকে যেত,
অস্ত হওয়ার সময় ফুরাত।
চাঁদ এসে যখন অভিযোগ জানাত,
পাত্তা দিতাম না,পাখিরা ফিরত না ঘরে।
আসমানি শাড়ি রোদে দিতাম আলস্যে,
তাতে লেগে থাকত বাসি ভাতের গল্প।
চৈতন্য তখনও হতো না,
যদি না চাঁদ টুপ করে খসে পড়ত।
রাত হয়নি,সারাদিন খেয়েছি বাসি ভাত,
তাইতো অভিমানী চাঁদ নেমে এসেছিল,রাতের পূর্ণতায়!
0 Comments