নিক্রোফিলিয়া
যাবো ব্যাকগ্রাউন্ড। কালোপর্দা। স্কুলপথ—দূর—দূর একমাইল। অস্থিরতম যবনিকায় মঞ্চ আলো, রেখে অন্যপ্রতিম— দৃশ্য-শ্রাব্য হাততালি—
হবো পার—নারীর স্ফিত মাহাত্ম্য—তারও অধিক সেতু। ঘুটঘুটে বাবলার বন—ফেরা ভিসিয়ার থেকে—রাতের অল্প-বিস্তর। রক্ত-নাড়ি—উষ্ণতা—এইতো, এইতো আরাম। হাত বুলাও মা, কান পাততে বলো বাবাকে এবার
ভাসছি কবুতর ঝাঁক—দুপুর-বিকেল—ফান্দের বহু ঊর্ধ্ব। সাঁতরে বেত্রবতী, গাহনে মুক্ত রেবা— অনন্ত একমাইল—তিরিশ বছর পথ। পশ্চিমে প্রমিত সন্ধ্যা—লুকানো সিগারেট ভয়। আসছে মধ্য গভীর—সেমিনারে প্রথম চুমু। উদ্যানে ছায়ার আড়াল।
সবকে অন্তরে
এইতো চোখবাড়ি, টেনে পর্দা নিভিয়ে সকল আলো—
আমিইতো গৌতম বুদ্ধ, আমিইতো হেরা গুহা!
অ্যাড্রোনাইটিস
আনাগোনা থেকে তোমাকে যদি করা যেতেই পারে—
যেমন—
>নূহর প্লাবন হয়নি যখনো
>হিমালয়ের জন্ম হয়েছে কী হয়নি
>আদম গন্ধম খেয়েছে কী খায়নি। ইত্যাদি
এমন কোনো এক পক্ষ্যে
অধিষ্ঠানে জলের স্বাভাবিক শান্ত গ্লাস—
ঠোঁটে তুলতে না তুলতে—একি বাষ্প একি অধিতৃষ্ণা!
সবকে উহ্য রেখে এবার তাকে চেনা যেতে পারে—
নাম: সান্ধ্য
বয়স: কেন্দ্র থেকে পরিধি
এরচেয়ে বেশি গেলে শিউলি ঝরে। পাখিরা ভুল করে সন্ধ্যা সরণি। শিশুর জননীরা ভুলে যায় আধো দাঁতের নরম দংশন!
বলুন মাহফিল, কোন মল্লার তাকে খুব করে ভেজাতে পারে!
স্তব্ধপূরাণ কিংবা এক্সোস্পিয়ার
আকাশে ক্ষীণ আলো। অধিক ম্লান।
নগর অন্তরে পরিচিত হুইসেল। পর্দার একটু ফাঁক
সঙ্গমের দুরন্ত ছায়া। সুউচ্চ জানালা থেকে চুয়ে “ওগো ঘুম ভাঙানিয়া...”
—রাত্রির সবটা নিয়ে তুমি কোন স্তব্ধপুরাণ!
তুমি কী দ্বীপ, বিচ্ছিন্ন ঢেউ, পতিত উল্কা!
ঘুম কেন পায় না তোমার চোখের পোতাশ্রয়—
কোন দৈত্যের যাদুর মুঠোয় তুমি অপহৃত রাজকন্যা!
এত যে ইশারা রাখি, এত যে আলোক বার্তা
তোমকে যে অতিথি শুধাই, বলি তুমি কন্যা আমার
তবু, বলয় থেকে বলইয়ে এত এত না ছুঁই না ছুঁই!
নিজ বিগ্রহের বিপরীতে কেন তুমি স্ব-বিনাশী দশমহাবিদ্যা!
খরস্রোতা নদীর ধারণা থেকে
রবিবার, সেপ্টেম্বর তেইশ
জলের নাব্যতায়—তর্জমা হচ্ছে প্রায় উরু।
লালন মরছে জল পিপাসায়। থাকতে তুমি অবধি তৃষ্ণা।
ওয়েট। সকালকে ডেকে পাঠাচ্ছি ফের—
মাছ কাটা পূর্বক জড়ো হতে হতে ছাই—
জলে নামতে জালের বহর—
উঠতে না উঠতে বটির ধার—
স্নান ঘর থেকে টাওয়াল জড়িয়ে বেরিয়ে আসছে বুক।
রবিবার, সেপ্টেম্বর তেইশ। এই যাহ! ব্লাক আউট।
আসছে দিনে সেপ্টেম্বর থাকবে না।
রবিবার থাকবে প্রতিদিন অথবা কোনোকালে থাকবে না আর।
থাকতে পারে মাছ বটি ছাই।
অধিষ্ঠিত হতে পারে আধভেজা বুক। যমুনায় জল লালক্ষেতে লালন
সম্ভবত তৃষ্ণা থাকবে না।
ডিজায়ার টু কেয়ার
যদি
অনিয়ম ঘূর্ণিতে—
কাঁপে পাতাদের প্রাণ—থরথর
যাকিছু আলো তাপ—দেয় এনে মাতৃ শরীর—
রক্ষিত রেখে পতনের নিরুদ্দেশ ডাক। মাটি,
চিরকালীন চুম্বন হয়ে আগলে রাখে না কি স্নেহের পরম শেকড়!
দেখো
যে পুকুর পেয়েছে চৈত্র চৌচির
সে কি ভুলে যায় জলের মায়া—পানকৌড়ির ডুবসাঁতার?
তৃতীয় এপিসোড ব্যাপি শূন্যতা জেনেও
দেখো পবন পুলকিত কাশবনের সফেদ শুভ্রতায়।
ধরি
তুমিও সান্ধ্য।
বোধ্যতা থেকে আলোকবর্ষে—বিলুপ্ত লিপির ক্রিপ্টোগ্রাফি।
আমি সংকেতে শিক্ষানবিশ
তাই বলে কী থাকবে না আমার মেরাজ কামনা!
0 Comments