ফ্ল্যাশব্যাক মোড
শ্বেতালোকে মর্মর মিশে যাচ্ছে ঝরা পাতার দেশ,
দীপালোকের নরম পরশ জড়িয়ে রাত সরে গেছে
গাঢ় বাদামী দৃষ্টিতে রঙ্গন মাতোয়ারা হলে
সলাজ বসনে ঝরনা ভিজি...
দুর্বা ঘাসের আচ্ছাদনে মুড়ে ফেলা বহুমাত্রিক আরাধনায় অনাত্মীয়ের টান রক্ষা করি। ছোটো এই
কোল জুড়ে সূর্যস্নানে ডুবিয়ে রাখা পান্থপাদপের শেকড়ে ভরে দিই জাদু জল। তৃষ্ণার্তের কথা ভাবা
এখন বালিঘড়ির দায়। থেকে থেকে বদলে যায় তার গ্যালপিং আওয়ার্স; ভারসাম্যের চিন্তায় বুঝি
ভুলে যাওয়া বিচিত্র দোলকের পল অণুপল।
রামকিঙ্কর গুলে খেয়েছিলে, অনন্ত শিল্পকালে
খোয়াইয়ে আত্মহত্যার মধুর মদিরতায় বিভোর
বহু উঁচু চাতালে বসে অভিমানের পরে
তোমার বুকে মুখ গুঁজে দেখেছি পেরিয়ে যাচ্ছে
ফাস্ট প্যাসেঞ্জার...
কালো মেয়ে দেখে মুখ ঘুরিয়ে নেয় পোয়াতি সুন্দরী। রোগা প্রেমিকা ছুঁয়ে দিয়ে আসে সরকারি বেড...
পুত্রবতী হও।
ফটো ফ্রেমের ব্ল্যাক অ্যান্ড হোয়াইটের পাশে ঘুমের হোস্টেল।
প্রেমিকা গো প্রেমিকা, কেও কার্পিনের বিজ্ঞাপনে চলো, ছেয়ে যাক মেঘবরণ গন্ধ।
ইভানা বলে পার্ফিউম খুঁজে চলেছি বছর কুড়ি পরেও।“আওগে জব তুম ও সাজনা...”;
যাপন
অষ্টপ্রহর প্রত্যুষ, খোলা তুলসি ফুল
রোদের মুখ দেখেছে শেকড়বাকড়
ডুবজলে কাঁপে বাড়িঘর
জানালা দিয়ে ভেসে থাকে
ডুবুরি পোশাকের সংসার
প্রেম কলহ যাপন।
উচ্ছ্বাস বিষহরি,
বারে বারে প্রশ্নপত্রে একই প্রশ্ন
লিখে রাখা হাতে,
কলমের মুখে বন্দী যে আলো
তা কি হীরে?
পরখ করে দেখতে হয়, আলোর ধার
বারংবার।
উন্নয়ন
স্তব্ধ অনুষ্ঠানে হিড়িক পড়েছে
পুরনো ফেলে দেবার জিনিস
কিনে নিচ্ছে প্রতিবেশী
দাম লাগবে না, চলছে অদলবদল
এ বাড়ির কালুর চাল সেদ্ধ হচ্ছে
তার মনিবের বাড়ি
তার থালা গেছে পাঞ্জাবী বাড়িতে
তার বিছানায় এখন শুয়ে থাকে
মারাঠি বাড়ির মিনি।
কালু দেখে তারও এসেছে পুরনো
নতুন থালা, নতুন বিছানা।
0 Comments