মরণবীমা
সবাই যখন নতুন কাহিনী লেখে
সুখের ঘাড়ে চেপে স্বাক্ষর করে জীবনবীমা,
নিরাপদ ভবিষ্যত ভেবে।
আমি তখন দুখবিলাসী দুঃখ মেপেমেপে
পুরনো কাসিদা বুকে স্বাক্ষর করছি মরণবীমা,
যার উত্তরসূরী হবে সাধারণ মানুষের মুখে-
অসাধারণ একটি কবিতা।
আকাশ ভাঙা অন্ধকার
দৃশ্য-অদৃশ্য, গলিপথ ধরে পাহাড় কাটে সামন্ত শাস্ত্রবিদ
জলোচ্ছ্বাসে ভাসে ব্যক্তি স্বাধীনতা
তারপর স্বর্গের দেবতারা ঘুরেফিরে চারিপাশে।
সামনে ল্যাংটা যুবকটি অট্টহাসি হাসে
আমরা আনমনে পিছনে তাকাই
ভাবনাগুলো নিস্তরঙ্গ নদী হয়ে আসে
অনিশ্চয়তার অনির্বাণ আকুতি বুকে,
ডুবে যাই আকাশভাঙা অন্ধকারে।
আমি কাঁক হয়ে যাবো
বাড়ির দরজা খোলা ছিলো
মানুষগুলোর শরীর সাদা ছিলো
আরও বেশি সাদা ছিলো সামনে থালাভর্তি ভাত।
বুকে আগুন পাহাড় নিয়ে
একটি কঙ্কাল এসে সামনে দাঁড়ায় আদুল গায়ে
নাকে গরম ভাপ টেনেটেনে
ক্ষুধার ঢেউ গুনে-গুনে,
চীৎকার দিয়ে বলে উঠে-
“আমি কাক হয়ে যাবো”
যদি একমুঠো উচ্ছিষ্ট ছিটিয়ে দাও।
0 Comments