‘কালকাঠুরে’ সম্পর্কে লেখক-
মাধবীর দেখা বিশ্বরূপ দেখা নিয়েই ‘কালকাঠুরে’ উপন্যাস।
সাংঘাতিক অসুখ আর ভাংগাতিক শরীর নিয়ে শ্রীদাম ভাবছিল, জলহারা নদী নদী নয়, বলহারা মানুষ মানুষ নয়। ভাবছিল, মানুষের দেহজ্যামিতি নষ্ট হলে, মানুষ আর মানুষ থাকে না।
আরতি ভাবছিল, কীভাবে কীভাবে আমি ঘরিণী থেকে হরিণী হয়ে গেলাম! কীভাবে কীভাবে আমি ঘরগোশ থেকে খরগোশ হয়ে গেলাম!
শ্রীদামের দেহজ্যামিতি; আরতির ঘরগোশ থেকে খরগোশ হওয়া; মাধবীর নতুন বর্ণমালা আর তার দেখা বিশ্বরূপ দেখা নিয়েই ‘কালকাঠুরে’ উপন্যাস।
#আনিফ রুবেদ
‘কালকাঠুরে’ সম্পর্কে পাঠক-
‘কালকাঠুরে’ বোধিবৃক্ষের এক বিশাল ছায়াতল
পৃথিবীর মানুষেরা বিষাদগ্রস্ত। কোনো না কোনোভাবে মানুষ দুঃখী। মানুষের জন্মের কাল ব্যথাময়। মানুষের মৃত্যুকালও করুণ। তাহলে পৃথিবী কী বিষাদাধার! বিষাদবিন্দু থেকে পৃথিবীর জন্ম? সময় হলো মানুষের হৃৎপিণ্ড থেকে ঝরে যাওয়া রক্ত। সময় গলে যায়, মানুষের রক্ত ঝরে যায়। “মানুষ খুব অসহায় প্রাণী এবং নির্বুদ্ধও”, গাছেরা ফিসফিস করে আমাকে বলেছিলো। পৃথিবীতে চলছে মারণ পর্ব ও মরণ পর্ব। একদল মারছে, অন্যদল মরছে। কেউ চিৎকার দিচ্ছে ব্যথায়, কেউ বা সোল্লাসে। চিৎকার হচ্ছে খুব, শীৎকারও হচ্ছে খুব। যেহেতু মানুুষের জন্মকাল, যাপনকাল ও মৃত্যুকাল ব্যথাময় এবং বিষাদময়, তাই ধরে নিচ্ছি পৃথিবী যুগপৎ বেদনায় চিৎকার দিয়েছিল। বিন্দু বিন্দু বিষাদ থেকে জন্ম নিচ্ছে সিন্ধু সিন্ধু বিষোদগার। আমরা মানুষেরা এই বিষাদসিন্ধুতে সাঁতার কাটছি, কেউ দিচ্ছে "কালনিদ্রায় সাঁতার"। এবং সময় আমাদের নিয়ে যাচ্ছে মহা মহাবোধ ব্যথাতুর কালবেলায়।
0 Comments