দ্বিখন্ডিত
একটা জলের শরীর
যেখানে আছাড় পিছাড় খায় মন
দুভাগ হয়ে যাওয়া আনন্দ
কিছু অংশের পাতাল প্রবেশ
কল্লোলিত মাছের ছটফটানি
ভেসে ওঠে জলে কিছুটা ইতস্তত
দুঃসাহসে ডাঙা ভেজে
আর কিছু অংশ ব্যক্তিগত
পাথর ধারালো দৃষ্টি
মহা অন্ধকারের পথ
নাভিমূলে ছড়ানো সুগন্ধি
শেষহীন, তলহীন মৃত্যুর দৃশ্য পট
মুঠোতে আঁকড়ে রাখা মুখ
খোলা দরজার নামে মরে যাওয়া
ব্রহ্মান্ড জন্ম দেয় আঙুল
বন্দী ছবির আগুন হতে চাওয়া।।
এ জন্ম যেন জন্মের অপচয়
একটা ছায়ার পাশে শরীরটা পাহারা দেয় ঠায়
ফুলের জন্মবৃত্তান্ত ঢাকে অন্ধকার
আজন্ম অভ্যেসে নদীর চোখে মাছ আঁকা অভিপ্রায়
অনর্থক গ্লানি শরীরে মাখে আবিষ্কার
হলুদ পাথরে পাথর ঘষে ঘষে
জ্বালা হয় গোপন আনন্দ আগুন
বেদনারা অহংকার খুঁটে তুলে অন্তরাল চায়
সব রক্ষাকবচ আটকাতে পারে না সর্বশ্রেষ্ঠ খুন
এ জন্ম গুঁড়ো করে দেয়,
জন্ম অপচয়ের পাহাড় প্রমাণ দায়।।
পেরেকপোতা মানুষ
সহজ কথায় আলগোছে এতকিছু বেঁধে রাখা
চোখ থেকে তুলে আনা গভীর অসুখ
শিকড়ে শিকড়ে ভোরের পাতার মায়া
ছিঁড়ে ফ্যলা রক্তবিন্দু, উত্তাপ মাপুক
সর্বশ্রেষ্ঠ খেলায় নেমে আসে ঘুমন্ত ঝরনা
হলুদ ভেজা ঠোঁটে তুলে আনা হয় চোখের থেকে স্নান
কার বুকে মুখ গুঁজে কেঁদেছে সমিধ পালক
কার বুকে পোঁতা আছে পেরেকের শেষ অবদান।।
0 Comments