[] ক
জীবনের গভীরতম বোধের চর্চা হলো শিল্প। যা সভ্যতা বিকাশে মানুষকে নিয়ে গেছে এক অনন্য মাত্রায়। শিল্পের বহুমাত্রিক সংযোগে আমরা যারা যোগী হতে এসেছি; শিল্পায়নের আস্ফালনে তা বিকোতে শিখিনি। শিল্পের বহুমাত্রিক সংযোগের একটি যোগ বা প্লাটফর্ম হচ্ছে লিটলম্যাগ। নামার্থে ছোট হলেও ধারণ ও ধরণ, স্পর্ধা ও স্পর্শেন্দ্রিয়ে স্বতন্ত্র বাহক। শিল্পায়নের কালো চোখের অবহেলায় যে চারাগাছ হারাতে শিখে তার সম্ভাবনার আগামী। লিটলম্যাগ সেই স্রোতের বিপরীত; উজানের সম্পূরক। সেই চারাগাছ সে বহন করে। একটু একটু স্নেহ কোমল মমতায়, একটু একটু স্পর্ধার বারুদে তাকে দাঁড়ানোর ভঙ্গি শেখায় সম্পূর্ণ স্বকীয়তায়। বাকিটা ধ্যানীর ধ্যানে জ্বলে ওঠার প্রয়াস ও পাঠশালা।
[] খ
আমার কাছে শিল্প হচ্ছে স্রষ্টা ও সৃষ্টির বিস্ময়ী সম্মিলন। লিটলম্যাগ সেই শিল্পের চাষভূমি। অথচ আজ অনেকেই লিটলম্যাগের ঘারে ঘানিকল টাঙিয়ে মেদ-ভুঁড়ি প্রদর্শনে লুফে নিচ্ছেন তেলের কল্যাণ। তাদের চাকায় আজ গতির ঝড় ছোটে। এতোসব দৃশ্যের কোলাহলে প্রশ্ন একটা থেকে যায়- তেলের কল্যাণে তেলেসমাতির তুরি বাজিয়ে বেড়ে ওঠা লিটলম্যাগ নামধারী সেইসব আলখিল্লায় শিল্পের আছে কতটা হাইড্রোলিক?
[] গ
শিল্পে নিজস্ব কোনো মালিকানা নেই। থাকেনা। শিল্পের অসীম আলপথ ধরে স্বর ও স্বপ্নকে শাব্দিক চাষাবাদ যিনি করেন তিনি কবি, গল্পকার, ঔপন্যাসিক ইত্যাদি। সামগ্রিক ব্যপ্তিতে তিনি শিল্পি। শিল্পির সেই অকুণ্ঠ আবেদন সংবেদনশীলতার সুউচ্চ মার্গে পৌঁছে দিতে পারে লিটলম্যাগ; আমি বিশ্বাস করি। যার পরিধি ও ব্যাপ্তি বৃত্তের সর্বোত্র ছড়িয়ে না পরতে পারলেও দারুন স্বচ্ছ ও সাচ্চার ধারণার প্রবাহে উবে দিয়ে বুর্জোয়ার শিকল সে ঠিক বুক চেতিয়ে নতুন স্রষ্টাকে সৃষ্টির সরল রেখায় আবিষ্কার করে তোলে।
[] ঘ
লিটলম্যাগের কোনো লিল্লাহ ফান্ড নেই। তাই নীতিগতভাবে লিটলম্যাগ আমার কাছে রক্তের ধার ও ধারণ। মোদ্দা কথা হলো- কতগুলো লাল বেলুনের প্রপোজাল সাদাকালোয় মিলিয়ে দেখা গণিতের নাম লিটলম্যাগ। একটা ধারণাকে উস্কে দিয়ে যে ধারের সঞ্চার হলো তাকে ধারণ করে সৃষ্টির উল্লাস গাইবে লিটলম্যাগ।
[] ঙ
বলবো তবু- দ্রোহের সলতে কোথাও পুড়ছে সাধ্যের সমাধানে। চিমনিজুড়ে পোড়া মাংসের ঘ্রাণ মেঘ হয়ে তবু উড়বেই মনন ও সাদাপৃষ্ঠার চিৎকারে। কাল-কুঠুরির অনিষ্টে পড়ে থাকবে বাণিজ্যের অসহায় রেয়াত।
0 Comments