শরতলিপি
আমি পৃথিবীর ওপর হেঁটে হেঁটে, ব্যাবিলন কিংবা সিন্ধু
কুমারী শরতের সৌন্দর্য পাই;
কিশোরী মৃত্তিকার বুক ভরে ওঠে শরতের কলরবে।
শরতবালিকার অঙ্গ প্রত্যঙ্গে লেগে আছে বসন্ত রজনির নাক্ষত্রিক
আলো
গাভিন চাঁদের শোভা ভর করেছে দুলায়িত কাশের ওপর;
শিউলি ফুলের সুবাস, মৌমাছির গুনগুন শব্দ আর চাঁদবালিকার
সৌন্দর্যে
তৃষ্ণায় জেগে ওঠে শরতবতী কবিতা।
আমার উষ্ণীষ মন ভূলোকে তার ওপর বসতি গড়ে
আমি সুন্দরের তৃষ্ণায় ধাবমান ঘোড়ার মতো আজন্ম এর পিছনে
ছুটতে থাকি।
সৌরজগৎ---পৃথিবী, চাঁদ তার ওপর গোধূলির দীপ জ্বালায়।
বিবর্ণতা পছন্দ নয় আমার।
তাই চোখ সেচে আবিরলাল খেরোখাতায় দুটি মাছি ও একটি পিঁপড়ের
ছবির পাশে
আমি নিঃশব্দে নিঃশব্দে প্রকৃতির পদরেখায়---
কিশোরী মৃত্তিকার সৌন্দর্য মেখে মেখে
গাভিন চাঁদের সৌন্দর্য মেখে মেখে
তিতলি কাশের সৌন্দর্য মেখে মেখে
শিউলির শ্বেতাভ ঠোঁটের সৌন্দর্য মেখে মেখে
একটি শরতলিপি লেখব আকাশের কাছে
যাতে শরতলিপির নাব্যতায় পিঁপড়ে ও মাছির মজাজীবন স্রোতঃস্বিনী
হয়ে ওঠে।
--------------
0 Comments