নিঃসঙ্গ জেলে
এক নিঃসঙ্গ জেলের কথা জানি
নদীর কিনারে থাকে
মাছ শিকার করে না
আর যখন ব্যথার জাল হাতে ছুটে এলো
নদী তখন শুকিয়ে গেছে
তাকে ছুঁয়ে ধূধূ বালিচর জেগে ওঠে
দূর নদীর উত্তাল ঢেউ
এসে হৃদয়ে আছড়ে পড়ে
যদিও জীবনস্রোতে ঢেউয়ে ঢেউয়ে
সেই নিঃসঙ্গ জেলের কথা লেখা নেই
ধোঁকা
এলে দেখতে সেদিন
কী ঘটেছিলো
দেখি পথে কারো ছিন্নভিন্ন পুষ্পতোড়া পড়ে আছে
শোক সন্তপ্ত বিকেল পাথরে ঘুমায়
নীড়ে ফেরা পাখিদের মনে উড়ে উড়ে
অপেক্ষার বিষ পান করে চলে আসি
কথার নূপুর হয়ে বেজে ওঠা বাদামের খোসা
ছেঁড়া ঠোঙার কাগজ পিছু ডেকে যায়
বোবাকান্নায় পার্কের ঘাসগুলো সাক্ষী হয়ে আছে
কীভাবে একটি বিকেলের অপমৃত্যু ঘটেছিলো
প্রিয় একটি শব্দ
ছোট্ট একটি শব্দের মধ্যে জেগে আছে
জগতের সারকথা জীবন জীবিকা
সেই শব্দে রৌদ্র ঝরে মেঘ করে
ঝড়বৃষ্টি বিদ্যুৎ চমকায়
মাটি ফুঁড়ে জেগে উঠে তরুলতা ঘাস
সেই শব্দের যাদুতে জেগে উঠি
অথবা ঘুমাই
সেই শব্দের মধুর উচ্চারণে স্বপ্নসুখে হাসি
অথবা বিদ্রোহ করি দুঃখকষ্ট পাই
প্রিয় শব্দের ভেতর সৃষ্টিতত্ত্ব রহস্যপুরাণ
শরাব
আলো সরানো সময়টুকু ঝুঁকে থাকে
আঁধার মাটির দিকে
যেন নিবিষ্ট পাঠক
মিলন তৃষ্ণায়
অন্ধকার প্রিয় হয়ে ওঠে
একান্তে প্রবল ঢেউ
দেহের সবুজ তীব্র তীরে
তুমুল আছড়ে পড়ে
হৃদ্যতায় পান করে
আনন্দ শরাব
অপ্সরী
দুজনকে একসঙ্গে পাই না
এ কাছে এলে ও চলে যায়
দুজনকে একসঙ্গে কে পায় আর
সাঁতার শিখেছি বলে বিপরীত ঢেউ
যদিও জীবন ভেসে ডুবে যেতে হয়
ভেতর বাইরে ভিন্ন অনুভব হাতছানি দেয়
ও কাছে এলে এ চলে যায়
দুই অপ্সরী আমাকে নিয়ে খেলা করে
.............................................
রজব বকশী
জন্ম: ১ অক্টোবর ১৯৬৫, বকশীগঞ্জ, জামালপুর।
পেশা:শিক্ষকতা
ছড়ার বই ১টি: ডুমুর ফুলের মউ।
কবিতার বই ৪ টি: ধূসর এলবাম,উদ্ধত আঁধার, যে হাতে পায়রা ওড়ে ও সেইসব দরজা জানালা জেগে ওঠে।
মুক্তিযুদ্ধ,ইতিহাস ঐতিহ্য ও লোকসংস্কৃতির উপর গবেষণাগ্রন্থ ২টি : জামালপুর জেলার মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস ও জামালপুর জেলার ইতিহাস।
সম্পাদক : আরশি
গীতিকার : বাংলাদেশ বেতার ও বাংলাদেশ টেলিভিশন।
0 Comments