....................................................................................................................
বামিহাল সাহিত্য
উৎসব ও পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠান
২৮ জুলাই ২০২৩ রোজ: শুক্রবার সময়: বেলা ৩ টা
স্থান: বিশালপুর ইউনিয়ন পরিষদ অডিটরিয়াম
শেরপুর, বগুড়া।
......................................................................................................
উদ্বোধক : মাহমুদ কামাল
(কবি ও সম্পাদক, অরণি)
প্রধান অতিথি : ফারুক মাহমুদ (কবি)
সম্মানিত অতিথি : শোয়েব শাহরিয়ার
(কবি ও প্রাবন্ধিক)
ড. বেলাল হোসেন (প্রবন্ধ
গবেষক)
কামরুল বাহার আরিফ
(কবি ও সম্পাদক, মৃদঙ্গ)
ফারহান ইশরাক (কবি
ও উপ-পরিচালক, বাংলা একাডেমি)
অরবিন্দ চক্রবর্তী
(কবি ও সম্পাদক, ভারত বিচিত্রা)
সভাপতি : রনি বর্মন (সম্পাদক:
বামিহাল)
উৎসব সমন্ময়ক: রিপন আহসান ঋতু
(কবি ও কথাসাহিত্যিক)
যোগাযোগ
বামিহাল, ডাক: বিশালপুর, শেরপুর, বগুড়া। ৫৮৪০
উড়োযোগ: ০১৭ ৪৩ ৯১৮ ৯১৬
আকাশ ডাক:
ফেসবুক: বামিহাল
অনুষ্ঠান সূচি
১ম পর্ব (৩.০০-৩.৩০মি.) উদ্বোধন পর্ব
উদ্বোধক: মাহমুদ কামাল
(কবি ও সম্পাদক: অরণী)
শুভেচ্ছা বক্তব্য: জনাব, মিজানুর
রহমান (সাধারণ সম্পাদক বিশালপুর ইউপি আওয়ামীলীগ)
কবি, এইচ আলিম (প্রতিনিধি
সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট, বগুড়া)
জনাব, রাজলক্ষন সরকার
(বামিহালবাসী)
সভাপতি: জনাব, জাকির হোসেন খাঁন
(চেয়ারম্যান, বিশালপুর ইউপি)
স্বাগত বক্তব্য: রিপন আহসান ঋতু
(উৎসব সমন্ময়ক)
২য় পর্ব (৩.৩০-৪.০০মি.) স্বরচিত কবিতা পাঠ
আব্দুর রাজ্জাক, রাহমান
ওয়াহিদ, খৈয়াম কাদের, জয়ন্ত দেব, ওয়াহিদুর
রহমান শিপু, আমির খসরু সেলিম, মাহফুজ মুজাহিদ, হাসনাইন
হীরা, নূরে জান্নাত, সৈয়দ আলী, সাহানা মোহাম্মদ হাসান,
কাজী শোয়েব শাবাব, নমিতা সরকার, সাকিল মাহমুদ, লতিফ
আদনান, সালিমুল শাহিন, নাহিদ আল মালেক, জীবন সাহা,
বিশ^াজৎ চৌধুরী রিবণ, সাহাব উদ্দিন হিজল, পঙ্কজ সাহা, হাদিউল হৃদয়, শৈবাল নূর, সাফওয়ান আমিন, শাহ আলম, সুলতান স্যান্নাল, লুবনা জাহান,
অনিক রায়, সাহেব মাহমুদ, প্রমূখ
সভাপতি: ফারহান ইশরাক (কবি ও
উপ-পরিচালক, বাংলা একাডেমি)
সঞ্চালক: শিবলী মোকতাদির
(কবি ও প্রাবন্ধিক)
৩য় পর্ব (৩.৫০-৪.৫০) মিডিয়াযুগের সাহিত্যচর্চায় ছোটোকাগজের গুরুত্ব ও ভূমিকা
বিষয়ক আলোচনাসভা
আলোচক: কামরুল বাহার আরিফ (সম্পাদক:
মৃদঙ্গ)
অনিকেত শামীম (সম্পাদক:
লোক)
লতিফ জোয়ার্দার (সম্পাদক:
চৌকাঠ)
ইসলাম রফিক (সম্পাদক:
দোআঁশ)
আহমেদ শিপলু (সম্পাদক:
মগ্নপাঠ)
অরবিন্দ চক্রবর্তী
(কবি ও সম্পাদক, মাদুলি)
যাহিদ সুবহান (সম্পাদক:
সপ্তর্সি)
কাজী শোয়েব শাবাব
(সম্পাদক: উত্তরাএক্সপেস)
হাদিউল হৃদয় (সম্পাদক:
হৃদয়ে চলন)
সভাপতি: কবীর রানা (সম্পাদক:
নিজকল্পা)
সঞ্চালক: হাবিব ওয়াহিদ
(সম্পাদক: অনিন্দ্য)
৪র্থ পর্ব (৪.৫০-৬.০০) বামিহাল সাহিত্য পুরস্কার প্রদান
প্রধান অতিথি: ফারুক মাহমুদ (কবি)
সম্মানিত অতিথি: কবি মাহমুদ কামাল
(কবি ও সম্পাদক: অরণী)
শোয়েব শাহরিয়ার (কবি
ও প্রাবন্ধিক)
ড. বেলাল হোসেন (প্রবন্ধ
গবেষক)
কামরুল বাহার আরিফ
(কবি ও সম্পাদক, মৃদঙ্গ)
ফারহান ইশরাক (কবি
ও উপ-পরিচালক, বাংলা একাডেমি)
অরবিন্দ চক্রবর্তী
(কবি ও সম্পাদক, ভারত বিচিত্রা)
সভাপতি: রনি বর্মন (কবি
ও সম্পাদক: বামিহাল)
সঞ্চালক: রিপন আহসান ঋতু
(কবি ও কথাসাহিত্যিক)
অতিথিদের আসন গ্রহণ, ফুল ও উত্তরীয় দিয়ে বরণ: মনালিসা মানসী
___________________________________________________________________
বামিহাল সাহিত্য পুরস্কার ২০২৩
কবিতা
মাসুদার রহমান
জন্মতারিখ ও জন্মস্থান: ১সেপ্টেম্বর ১৯৭০। সোনাপাড়া, পাঁচবিবি, জয়পুরহাট।
প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা: বাংলা সাহিত্যে স্নাতকোত্তর।
পেশাঃ শিক্ষকতা।
প্রকাশিত কবিতার বই:
১। হাটের কবিতা, ২০১০, পাঠস‚ত্র, ঢাকা।
২। উত্তরবঙ্গ সিরিজ, ২০১৩, চিহ্ন, রাজশাহী।
৩। সমুদ্র ২০১৪, কবিতাপাক্ষিক, কলকাতা।
৪। মাসুদার রহমানের কবিতা, ২০১৪, গুপিযন্ত্র, কলকাতা ।
৫। ডাকবাংলো, ২০১৫, আরক-বরিশাল।
৬। ডায়ালের জাদু, ২০১৬, আরক-বরিশাল।
৭। হরপ্পা, ২০১৮, তবুও প্রয়াস প্রকাশন, কলকাতা।
৮। ভ্যান গঘের চশমা, ২০১৮, বেহুলা বাংলা, ঢাকা।
৯। কামরাঙাগাছ রাজি হচ্ছে না, ২০১৯, পাখিরা প্রকাশন, কলকাতা।
___________________________________________________________________
বামিহাল সাহিত্য পুরস্কার ২০২৩
ছোটকাগজ সম্পাদনা
(সম্পাদক: লোক)
জন্ম ১২ ফেব্রæয়ারি ১৯৬৬, জামালপুর শহরের দেওয়ানপাড়ায়। দশম
শ্রেণিতে পড়ার সময় ‘উত্তরণ’ নামে একটি সাহিত্য পত্রিকা সম্পাদনার মাধ্যমে লেখালেখি
ও সম্পাদনার জগতে প্রবেশ। ১৯৮৯ সালে বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াকালীন ‘উত্তরণ’ এর আয়োজনে ‘সংহতি
: দুই বাংলার কবি ও কবিতা’ শিরোনামে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে দুই দিনব্যাপী কবিতা সম্মেলনের
আয়োজন করেন। ১৯৯৯ সাল থেকে ‘লোক’ নামে একটি লিটল ম্যাগাজিন সম্পাদনা করছেন। শাহবাগের
আজিজ সুপার মার্কেটে লোক-এর সহযোগী পাল্টা প্রতিষ্ঠান ‘লিটলম্যাগ প্রাঙ্গণ’ এর মাধ্যমে
শুধু লিটল ম্যাগাজিন বিক্রয় এবং উন্মুক্ত আড্ডার ব্যবস্থা করেছেন। দেশের বিভিন্ন জেলায়
জাতীয় লিটল ম্যাগাজিন মেলা আয়োজনের অন্যতম উদ্যোক্তা। বিভিন্ন দেশে কবিতাপাঠ, আলোচনা
ও সেমিনারে অংশগ্রহণ করেছেন। বর্তমানে তিনি একটি সরকারি সংস্থায় জনসংযোগ প্রধানের দায়িত্বে
কর্মরত।
প্রকাশিত গ্রন্থ : তপোবনে তোপধ্বনি, দূরাগত পাহাড়ের গান, অনিকেত শামীমের
কবিতা, আবার একটা ঝড় উঠুক (সম্পাদনা, বিপ্লবের কবিতা সংকলন), মায়াবী টানে ডাকে মতিহার
(সম্পাদনা) ইত্যাদি।
পুরস্কার ও সম্মাননা : কলিকাতা লিটলম্যাগাজিন লাইব্রেরি ও গবেষণা কেন্দ্র
পুরস্কার, বগুড়া লেখক চক্র পুরস্কার, কারুভাষ পুরস্কার (কলকাতা), বঙ্গবন্ধু কবিতা পদক
(২০২৩) ইত্যাদি।
___________________________________________________________________
বামিহাল সাহিত্য পুরস্কার ২০২৩
ছোটগল্প
জন্ম: ১৯৮০ সালের ২৫ ডিসেম্বর চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার চামাগ্রামে।
প্রকাশিত গ্রন্থ ____
কাব্যগ্রন্থ:
পৃথিবীর মৃত্যুদÐপত্র ২০১১
এসো মহাকালের মাদুরে শুয়ে পড়ি ২০১৫
শরীরীয়ত শরীরীয়া ২০২৩
গল্পগ্রন্থ:
মন ও শরীরের গন্ধ ২০১৪
দৃশ্যবিদ্ধ নরনারীগান ২০১৭
জীবগণিত ২০২০
মানুষাষী মানুষ ২০২৩
উপন্যাস:
আগামীকাল থেকে সূর্য পূর্বে উঠবে ২০১৭
পুরস্কার: জেমকন তরুণ কথাসাহিত্য পুরস্কার
বামিহাল সাহিত্য পুরস্কার ২০২৩
গবেষণা
আবু সাঈদ তুলু
১৯৭৯ সালে জামালপুর জেলার বিষ্ণুপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। পিতার নাম-
আলহাজ আবদুর রহমান মাস্টার ও মাতার নাম সারা বেগম। ভাইবোনদের মধ্যে সর্বকনিষ্ঠ। গ্রামের
গড়-বনভ‚মির সঙ্গে শহরঘেঁষা
নদী উদারতার প্রাকৃতিক পরিবেশে তার বেড়ে উঠা। শৈশব থেকেই সাহিত্য-শিল্পের প্রতি অনুরাগী।
শৈশব কৈশোরে কবিতা-অভিনয়ের প্রতি বেশি ঝোঁক থাকলেও উচ্চমাধ্যমিক শ্রেণিতে পড়াকালীন
গল্প-উপন্যাস লেখার প্রতি ঝুঁকে পড়েন। এ সময় ‘ভালোবাসার পৃথিবী’ নামে উপন্যাস রচনা
করেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী অবস্থায় কবিতা, গল্প ও মঞ্চনাটকের প্রতি ঘোর ও মায়াচ্ছন্ন
আবেগে ভেসে বেড়াতে থাকেন। অসংখ্য মঞ্চনাটক-টেলিভিশন নাটকে অভিনয় করেন। পাশাপাশি বিভিন্ন
পত্রিকা, ম্যাগাজিনে তার গল্প-কবিতা প্রকাশিত হতে থাকে। বাংলা ভাষা ও সাহিত্যে স্নাতক
সম্মান ও স্নাতকোত্তর অ্যাকাডেমিক শিক্ষাগ্রহণ ছাড়াও থিয়েটার স্কুল থেকে ১বছর মেয়াদি
নাট্যবিষয়ক পাঠ-অনুশীলন, বাংলা একাডেমির তরুণ লেখক প্রকল্প থেকে লেখালেখি ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের
উচ্চতর মানববিদ্যা গবেষণা কেন্দ্র থেকে গবেষণা বিষয়ক প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেন। ২০০৭ সালের
একুশে বইমেলায় প্রথম ‘লিপির উদ্ভব, ক্রমবিবর্তন ও বাংলা লিপির পরিণত পর্যায়’ শীর্ষক
গবেষণা গ্রন্থাকারে প্রকাশিত হয়। ২০০৮ সাল থেকে বাংলা ভাষার শীর্ষস্থানীয় সাহিত্য পত্রিকা
‘কালি ও কলম’এ নিয়মিত লিখতে থাকেন। সাথে সাথে দেশি-বিদেশি বিভিন্ন পত্রিকা, ম্যাগাজিন
ও জার্নালে লেখা প্রকাশ হতে থাকে। এখন পর্যন্ত নাট্য বিষয়ক প্রবন্ধ, গবেষণা, সমালোচনা,
নিবন্ধের সংখ্যা দুই শতাধিক ছাড়িয়ে গেছে। ২০১৬ সালে ‘সেলিম আল দীনের সাহিত্য ভাবনা’
শীর্ষক গবেষণার জন্য জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এমফিল ডিগ্রি অর্জন করেন। ইতোমধ্যে
প্রকাশিত উপন্যাস ১টি, গল্পগ্রন্থ ২টি, নাটক ১টি, কবিতাগ্রন্থ ২টি এবং ৪টি গবেষণা-প্রবন্ধ
গ্রন্থ মননশীল মহলে ও পাঠক সমাজে ব্যাপকভাবে সমাদৃত হয়েছে। লেখক সাহিত্যের ইউরোপীয়
বিভাজনরীতি বা জেনরাকে গুরুত্ববহ মনে করেন না। তিনি মনে করেন সাহিত্য জীবন-জগৎ-সমাজ-সভ্যতাকে
চিন্তা, সৌন্দর্য ও নতুনত্বের ছোঁয়ায় বিনির্মাণ করবে। তার চেতনায় ইতিহাস-ঐতিহ্য প্রাধান্য
পায়। সমাজ ও সভ্যতার প্রতি নিজেকে দায়বদ্ধ মনে করেন। হাজার বছরের বহমান জীবন-সংস্কৃতির
পরম্পরায় সমকালীন বিশ্বজনীন বিকাশকে বড় করে দেখেন। তাই মানুষের সার্বজনীন মুক্তি তার
আরাধ্য। আবু সাঈদ তুলু পেশাগত ভাবে একটি স্বনামধন্য কলেজে দীর্ঘদিন ধরে বাংলা বিষয়ে
শিক্ষকতা করছেন। লেখকের সহধর্মিণী রৌশন আরা আক্তার ও একই বিষয়ের কলেজ শিক্ষক। আবু সাঈদ
তুলুর প্রকাশিত উল্লেখযোগ্য গ্রন্থ হলো- ‘লিপির উদ্ভব, ক্রমবিবর্তন ও বাংলা লিপির পরিণত
পর্যায়’, [অন্তরীপ পাবলিকেশন, ২০০৭], অনন্তপথের যাত্রী [ভাষাচিত্র, ২০১৪] জলের আয়না
[ভাষাচিত্র, ২০১৫] পাতার বাঁশি [লিটলবিট, ২০১৭] সেলিম আল দীনের সাহিত্য ভাবনা [মাওলা
ব্রাদার্স, ২০১৮], নাট্য ঐতিহ্য ও বাংলাদেশের নাটক [অন্বেষা, ২০২০], অনুভ‚তির খসড়া [জাগতিক,
২০২২] বাংলাদেশের সমকালীন থিয়েটার [অন্বেষা, ২০২৩]
ই-মেইল: ঃঁষঁধৎঃ@ুধযড়ড়.পড়স
বামিহাল সাহিত্য পুরস্কার ২০২৩
শিশু-সাহিত্য
আড্ডা আর একা থাকা, দুটোই খুব ভাল লাগে জেমীর। লিখতে লিখতে শেখা আর ভাবতে
ভাবতেই খেই হারানো। ভালোবাসে পদ্য গদ্য আবৃত্তি আর পিছুটান। কবি ও লেখক হিসেবে পরিচিতি
ও জনপ্রিয়তা দুইই পেয়েছেন বাংলা ভাষাভাষী পাঠকদের কাছে। বৃষ্টি করে নেবে, চিত্রপট,
বিজয়ের হাসি, এসো মুক্তিযুদ্ধের গল্প শুনি, রায়নার বায়না, মিশে আছি অনুভবে, একটি ভুল
এবং সমীকরণ এই লেখকের কিছু পূর্বপ্রকাশিত বই। তিনি লেখালেখিতে জীবনের সব তিক্ততা, অপূর্ণতা
অতিক্রম করে ডুব দিয়েছেন স্মৃতির সমুদ্রে। মুক্তাবিন্দুর মতো তুলে এনেছেন অপার্থিব
সব মুহূর্ত। অমূল্য রতেœর মতো কিছু দৃশ্য আর কিছু কথা। পেশায়, বুদ্ধি
ও শারীরিক প্রতিবন্ধীদের সেবা প্রদান। বগুড়া সরকারি পলিটেকনিক ইন্সটিটিউট থেকে ডিপ্লোমা
সিভিল ইঞ্জিনিয়ার হোসনে আরা জেমী পরবর্তীতে রাষ্ট্রবিজ্ঞানে স্নাতকোত্তর করে দুই দশক
ধরে জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক স্তরের বিভিন্ন শিক্ষা উন্নয়ন প্রকল্পের সঙ্গে যুক্ত। কর্মজীবনের
শুরু কেয়ার ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশে বর্তমানে কানাডায় মেটা সেন্টারে কর্মরত। দেশে
বিদেশে তাঁর অভিজ্ঞতার ভাÐারও বিচিত্র ও চিত্তাকর্ষক। কানাডার উদিচি,
খেলাঘর, বাচনিক, বাংলাদেশ সেন্টার এর সক্রিয় সদস্য। কানাডার বিভিন্ন সামাজিক কার্মকান্ডে
অতি পরিচিত মুখ তিনি। ‘দুনিয়া ডিজাইন কলেক্টিভ’ নামের একটি ওমেন ইন্টারপ্রাইজের সাথে
সংযুক্ত। রাইর্টার ক্লাব কানাডার সহকারি সচিব হিসাবে দ্বায়িত্ব পালন করছেন। জেমীর কণ্ঠ
ছুঁয়ে বাংলাসাহিত্যের অসংখ্য কবিতা আজও অমলিন। বাচিক শিল্পের জটিল চলন, সুকঠিন স্বরবিন্যাস
কি অনায়াস নৈপুণ্যে রূপায়িত করেন জেমী। বাচিক শিল্পী হিসেবে তাই খুব দ্রæত মানুষের মনে জায়গা
করে নেন, হয়ে উঠে নিজ অঙ্গনে ভীষণ জনপ্রিয়। আশির দশক থেকে আবৃত্তির সাথে যুক্ত থেকে
বগুড়ায় গড়ে তোলেন 'বাঙ্গময় আবৃত্তি চক্র' পরে ঢাকায় আবৃত্তি সংগঠন ‘স্বরিত’র সাথে যুক্ত
হন। প্রয়াত আবৃত্তি শিল্পী শফিক করিমের সাথে জেমীর তিনটি দ্বৈত আবৃত্তি এলবাম বিশ্বাসী
করতল, কথোপকথন-৪ এবং ভালোবাসার মিথলজি, গিতালি থেকে প্রকাশিত হয় এবং বিপুল সাড়া জাগিয়েছিল
সে সময়। অবসরের পরে পুরো সময়টাই লেখালেখি আর কবিতা পড়ায় মগ্ন থাকেন। গল্প কবিতার পাশাপাশি
ছোটদের জন্য লিখছেন নিয়মিত। এখন দেশ বিদেশের বিভিন্ন আন্তর্জাতিক পত্রিকাতেও তার লেখা
প্রকাশিত হচ্ছে।
বামিহাল তরুণ সাহিত্য পুরস্কার ২০২৩
কবিতা
বিপ্লব রায়
জন্ম: ১৯৮৭, খুলনা জেলার বটিয়াঘাটা উপজেলার দেবীতলা গ্রামে। পিতা: বিকাশ
চন্দ্র রায়, মাতা: বুলু রায় (গাঙ্গুলী)।
শিক্ষাজীবন: খুলনা লায়ন্স স্কুলে শিক্ষাজীবন শুরু। বয়ারভাঙ্গা বিশ্বম্ভর
মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে এসএসসি এবং নটরডেম কলেজ, ঢাকা থেকে বিজ্ঞান বিভাগে এইচএসসি
পাস। বাংলা সাহিত্য নিয়ে স্নাতক (সম্মান) ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভ করেন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়,
কুষ্টিয়া থেকে।
স্কুলজীবন থেকেই লেখালেখি করেন। স্কুল ও কলেজ ম্যাগাজিন সম্পাদনা করেছেন।
বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় ও লিটল ম্যাগাজিনে লেখা ছাপা হয়েছে। মূলত কবিতা লিখলেও, কিছু
গল্প ও প্রবন্ধ ছাপা হয়েছে। দ্বিতীয় দশকের কবিতার দুটি সংকলনে কবিতা অন্তভর্‚ক্ত হয়েছে। পশ্চিমবঙ্গে
কয়েকটি অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত কবি হিসেবে কবিতাপাঠ করেছেন।
কর্মজীবন: শিক্ষক, বাংলা বিভাগ, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়।
প্রকাশিত কাব্য:
শামুকখোলে শিস (২০১৯)
স্বরচিত ধানক্ষেত (২০২০)
ধর্মান্তরিত আগরবাতি (২০২২)
বামিহাল তরুণ সাহিত্য পুরস্কার ২০২৩
কথাসাহিত্য
জন্ম ১৭ আগস্ট ১৯৯০ সালে, কুষ্টিয়ায়। গ্রামের স্কুলে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের
পাঠ চুকিয়ে মায়ের ইচ্ছায় মাদরাসায় ভর্তি হওয়া। কুষ্টিয়া ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে
আল-হাদিস এন্ড ইসলামিক স্টাডিজের ওপর অনার্স-মাস্টার্স সম্পন্ন করেছেন। বর্তমানে একটি
বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত আছেন।
শৈশব থেকেই বই পড়ার নেশা। সেই সূত্রে লেখালেখির জগতে প্রবেশ। ছোটগল্প দিয়েই
যাত্রা শুরু। সচেতনভাবে শুরু করা প্রথম ছোটগল্পের নাম বাঁশিওয়ালা। গল্পটি ২০১০ সালে
একটি জাতীয় দৈনিকে ছাপা হয়। এরপর আর থেমে থাকতে হয়নি। কালের কণ্ঠ, যুগান্তর, শব্দঘর,
বিডিনিউজ, বাংলানিউজ, পরস্পর, রাইজিংবিডি-সহ বিভিন্ন লিটলম্যাগে গুরুত্বের সাথে তার
গল্প ছাপা হয়।
২০১৭ সালে একটি শোক সংবাদ নামে তার প্রথম গ্রন্থ প্রকাশিত হয়। ছোটগল্পের
এই বইটি প্রকাশ করে ঐতিহ্য। ২০২০ সালে মুহাম্ম সা. এর দাদা আব্দুল মোত্তালিবের জীবন
ও জাহিলি আরব নিয়ে রচনা করেন প্রায় সাড়ে পাঁচশ পৃষ্ঠার বৃহৎ কলেবরের উপন্যাস পিতামহ।
বইটি বিপুলভাবে পাঠকনন্দিত হয়েছে। ২০২২ সালে বের হয়েছে মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের জীবনভিত্তিক
উপন্যাস গোত্রহীনের ইতিকথা। এই বইটিও বিজ্ঞ পাঠকের মনোযোগ আকর্ষণ করেছে।
গ্রন্থতালিকা :
১. একটি শোক সংবাদ (ছোটগল্প)
২. রুদ্ধ হাওয়ার দিন (ছোটগল্প)
৩. পাপ (উপন্যাস)
৪. ভাঙনের দিন (উপন্যাস)
৫. পিতামহ (উপন্যাস)
৬. গোত্রহীনের ইতিকথা (উপন্যাস)
৭. জীবনঘড়ি (উপন্যাস)
৮. প্রজ্ঞায় যার উজালা জগৎ (রাসুল সা. এর প্রজ্ঞা ও বুদ্ধিমত্তার গল্প নিয়ে
রচিত সিরাত বই)
বামিহাল সাহিত্য উৎসব ও পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠান
এর
আলোকচিত্র
0 Comments