সীমানার আবদ্ধতা
পুরো ব্যাপারটা তোমার হাতে,
একটা সরল রেখা -
যদি টানতে থাকো,
টানতে, টানতে,
হুট করে খুব দীর্ঘ হবে।
কিন্তু, তবুও,তুমি পৃথিবীর ব্যাসের চেয়ে
একটুও আগে বাড়তে পারবে না।
একটা সীমানায় গিয়ে,
ফিরে আসতেই হয়।আর সীমান্ত ও
- সীমাবদ্ধ ।
দৈর্ঘ্য কমাতে,
কমাতে, কমাতে ক্ষুদ্র করে আনতে থাকো,
কর্ণিয়ার ব্যাসের চেয়ে -
একটুও নিচে নামতে পারবে না।
এই জটিল জটিল বৃত্ত ও তাদের ব্যাসেরা,
জৈবিক ও বৈষয়িক নক্ষত্র,
বিগ্রহ থেকে দিনমালাকে-
গ্রহের জীবনে রূপান্তর করলো।
লব্ধ
উপর্যুপরি দুর্ঘটনার পরই -
তোমার যে পরিবর্তনটা আসার ছিল -
পূর্বেই, আসলো।
জমে পাথর মস্তিষ্ক নিয়ে -
অবশেষে আমার চৌকাঠে পা দিয়ে
সেই বিলোলিত দিনমালা আনলে,
যা আসার ছিল - পূর্বেই।
আর যেকোনো পঙক্তি এখন, বাঙময় পাথুরে -
কাঙ্ক্ষিত অবসরের দুপুর, কাগুজে নিরেট।
সময় বা কালের তেজি সৈন্যের বলাৎকারে
মৃত এখন, আবেগ।
নারীর সম্পদ
মা আসতে এখনো এক ঘন্টা বাকি,
বাবা লাপাত্তা -
এসকল তথ্য জেনে নিয়ে তুমি আমার হাতগুলো বেঁধে
ফেলেছিলে। সুন্দর হতে পারতো যে হাতটি দিয়ে তা রক্তাক্ত করে দিলে।
তখনও কি আমি জানতাম না কি মেরুদন্ডহীনেরা
ঐ ক্ষয়িষ্ণু আবরণটিকেই ‘নারীর সম্পদ’ বলে?
অ্যামনেস্টি প্রাপ্তির পর
একটি দুটি সম্ভ্রমাত্মক লিরিক লিখবো বলে,
বায়ুর পলিউশনে কার্সিনোজেন বা,
কাপ কাপ ক্যাফেইন গিলে-
কাপগুলো জড়ো করি টেবিলে।
নিজেকে উচ্ছিষ্টাংশ মনে হয়,
বর্জিত, প্রত্যাখ্যাত, আনাড়ি।
অ্যাড্রেনালিন রাশ বেড়ে যায়
শুরু হয়ে যায় চিন্তাঘোড়ার লাগাম ছাড়াছাড়ি।
মোটেই দূর হয় না মন্দগুলো;
মায়ের ক্রন্দসী দোয়া সত্ত্বেও।
জড়ো হয় না কাঙ্ক্ষিত ছন্দগুলো,
অ্যামনেস্টি প্রাপ্তির পর-
ফুরফুরে নিঃশ্বাস ডুব দেয় তুলোর মতো।
কবিতারা আসেনা সামনে আর।
অনিচ্ছাকৃত মায়া
তোমাকে মায়া করার দিবসগুলো-বিনিদ্র প্রহরের মতো
বিশুষ্ক ভাব নিয়ে চোখ মেলা নিরবধি
অজানা রাখা সুপ্রখর প্রভা-
আলতো ঝলসানো,
আমি আটকাতে চাইনি তো দৃষ্টি -তোমার কপোলজুড়ে,
তবু মায়া হয়ে যায়,
কিছু মায়া থেকে যায় বিদগ্ধ।
0 Comments