সুবাইতা প্রিয়তি’র কবিতা

Subaita Priyati's poem


সীমানার আবদ্ধতা

পুরো ব্যাপারটা তোমার হাতে,

       একটা সরল রেখা -
যদি টানতে থাকো,
টানতে, টানতে,
হুট করে খুব দীর্ঘ হবে।
কিন্তু, তবুও,তুমি পৃথিবীর ব্যাসের চেয়ে
একটুও আগে বাড়তে পারবে না।
একটা সীমানায় গিয়ে,
       ফিরে আসতেই হয়।আর সীমান্ত ও
    - সীমাবদ্ধ ।
দৈর্ঘ্য কমাতে,
কমাতে, কমাতে ক্ষুদ্র করে আনতে থাকো,
কর্ণিয়ার ব্যাসের চেয়ে -
একটুও নিচে নামতে পারবে না।
   এই জটিল জটিল বৃত্ত ও তাদের ব্যাসেরা,
জৈবিক ও বৈষয়িক নক্ষত্র,
বিগ্রহ থেকে দিনমালাকে-
   গ্রহের জীবনে রূপান্তর করলো।
  

লব্ধ

উপর্যুপরি দুর্ঘটনার পরই -
    তোমার যে পরিবর্তনটা আসার ছিল -
                              পূর্বেই, আসলো।
জমে পাথর মস্তিষ্ক নিয়ে -
অবশেষে আমার চৌকাঠে পা দিয়ে
সেই বিলোলিত দিনমালা আনলে,
     যা আসার ছিল - পূর্বেই।
আর যেকোনো পঙক্তি এখন,  বাঙময় পাথুরে -
কাঙ্ক্ষিত অবসরের দুপুর, কাগুজে নিরেট।
সময় বা কালের তেজি  সৈন্যের বলাৎকারে
                  মৃত এখন, আবেগ।




নারীর সম্পদ

মা আসতে এখনো এক ঘন্টা বাকি,
                   বাবা লাপাত্তা -
এসকল তথ্য জেনে নিয়ে তুমি আমার হাতগুলো বেঁধে
ফেলেছিলে। সুন্দর হতে পারতো যে হাতটি দিয়ে তা রক্তাক্ত করে দিলে।
           তখনও কি আমি জানতাম না কি মেরুদন্ডহীনেরা 

ঐ ক্ষয়িষ্ণু আবরণটিকেই ‘নারীর সম্পদ’ বলে?




অ্যামনেস্টি প্রাপ্তির পর

একটি দুটি সম্ভ্রমাত্মক লিরিক লিখবো বলে,
    বায়ুর পলিউশনে কার্সিনোজেন বা,
কাপ কাপ ক্যাফেইন গিলে-
কাপগুলো জড়ো করি টেবিলে।
নিজেকে উচ্ছিষ্টাংশ মনে হয়,
    বর্জিত, প্রত্যাখ্যাত, আনাড়ি।
অ্যাড্রেনালিন রাশ বেড়ে যায়
   শুরু হয়ে যায় চিন্তাঘোড়ার লাগাম ছাড়াছাড়ি।
      মোটেই দূর হয় না মন্দগুলো;
           মায়ের ক্রন্দসী দোয়া সত্ত্বেও।
জড়ো হয় না কাঙ্ক্ষিত ছন্দগুলো,
অ্যামনেস্টি প্রাপ্তির পর-
  ফুরফুরে নিঃশ্বাস ডুব দেয় তুলোর মতো।
কবিতারা আসেনা সামনে আর।




অনিচ্ছাকৃত মায়া

তোমাকে মায়া করার দিবসগুলো-বিনিদ্র প্রহরের মতো
    বিশুষ্ক ভাব নিয়ে চোখ মেলা নিরবধি
  অজানা রাখা সুপ্রখর প্রভা-
আলতো ঝলসানো,
আমি আটকাতে চাইনি তো দৃষ্টি -তোমার কপোলজুড়ে,
    তবু মায়া হয়ে যায়,
কিছু মায়া থেকে যায় বিদগ্ধ।


Post a Comment

0 Comments