ওষধি
সহজিয়া ধ্যানে বোধহয় মাকড়সা সেঁধিয়ে রাখেন বুক—
মেটারনিটির নামে
নিজেই ছা এর খাদ্য হয়ে যায়...
কী তরিকা পালন করিলে গো মা
আমার মানব জনম তো বুঝলো না!
মা বোঝে এপাড়ে ক্রমশ হচ্ছে বিলীন,
ওপাড়ে নতুন সৃষ্টির উল্লাস—
তবু তৃপ্তির বুঁদবুঁদ সন্ধ্যার ভিতর...
কোনো অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ার ঘ্রাণে
নিজেরি ফাঁদজালে ঝুলছে আটটি শূন্য—
সিসিফাস
দুপুরের শালিক হাঁটছে বিকেলের কাউনক্ষেতের দিকে...
হয়নি তখনো জাল গোটানোই, ধীবরের
বেচাকেনাও আছেই বাকি—
শিশুরা বাড়িতে বসে,
সকল মানুষেরই মতো নিজ গৃহে
আয়ু ফুরানোর সাধ-আহ্লাদে
প্রহরেরও বয়স বাড়ে
আলতা, নইবাদাম, জিলাপির অপেক্ষায়—
সমস্ত দিবসজুড়ে লিখে যাচ্ছে বঁধু দেয়ালে মাছের স্বপ্ন
তবু অনন্তের দৌড়ে দানবও হার মেনে যায়—
বিষফুল
ধান ক্ষেতের দুঃখ কি আর শালিকচড়ুই জানে?
কেউ জানে না, কেউ কখনো
কার ভিতরে বিষ জমেছে
কার যে কখন উপাস উপাস
কার যে কখন এপাশ-ওপাশ
বেদনাতে বুক জ্বলে—
কেউ জানে না, কেউ কখনো...
প্রেমের আচড়
প্রবাদ প্রেমিক কিউপিড জানে ভালো
আর হাওয়াদের অনুবাদ জেনে আমি
এই জীবন জেনেছি
অনাড়ষ্ট শিশুদের মতো, অনুবাদকের মতো...
অথচ যাপন এমনি এক লিপ্সুতাবোধ
আদমকেও তো স্বর্গচ্যুত করে
ডিভোর্স
চিতায় ওঠার স্বাদ হইলো বিচ্ছেদ,
দু'টি পরিবারো ভাঙে হাঁড়ির খোলার মতো
ভাঙনের এগ্রিমেন্ট পেপারে কাঁপছে
দুইটা সাইন
অনিবার্য ভবিষ্যতের দিকে চেয়ে—
একটি ম্যাজিক লম্ফ ভুলে দৌড়াচ্ছে নিউরনে...
ঘোরটা শেষ হলেই আপসোসের হা-ডুডু
ঘোরটা শেষ হলেই তিতিরপাখির তীক্ষ্ণ ডাক
ঘোরটা শেষ হলেই শালিকের বিষণ্ণ বিকেল
ঘোরটা শেষ হলেই বজ্র মেঘের শাওয়ারি রাগ
গৃহিনীর উঠান পর্যন্ত সবজির দৌড় শেষে
অভ্যস্ত হাতে না পৌঁছালে উভয়েই অসুখে পড়ে,
চোখের শ্বেতমণ্ডল তখন হলুদ।
অ্যাকুয়াস ফুল ফোটে জলভাঙার দুপুরে—
জানালার পাশ দিয়ে কেউ গেলেই তখন
ছায়া ছায়া পড়ে
ডুমুরের বুকে কান্না জাগে...
এগ্রিমেন্টের সাইন তো তখন নদী
বয়ে যাচ্ছেন চিতার দিকে...
আপেল
জুতায় চিত্রিত এমন কোনো অ্যাপেল যদি দ্যাখো
জেনো, সেও এক পুঁজিবাদের দুলালী কন্যা,
ভোগ ও যোগান নিয়ে খ্যালে—
নিজেরি কপাল দোষে,
ভিখারির ছেলের কি তবে লিপ্সু হওয়া মানা?
কপালের এই ধারণাটা কোন্ শালা দিছে?
বামনের সামনেই যদি
ধনীর দুলাল পালকি সাজায়, সানাই বাজায়
জোছনার যদি বিয়ে হয়ে যায়—
সেই শোকে কী পড়াবে ডানা, শালিকেরা জাতিঙ্গায়?
এইসব শোকগীতি আদি আপলেরও?
নাকি শুধু এডেনের গাছটার? নাকি তার বিধাতার?
0 Comments