মুহম্মদ রহমতুল বারী'র কবিতা

Poetry of Muhammad Rahmatul Bari



অনূঢ়া বিকেল

অন্তরের অন্তর্ভাগ হতে নিয়ে যদি
বাবা দৃষ্টিপাত করি
চোখে পড়তেও পারে দেহ ভঙ্গিমাটি
প্রানেরো তো থাকে কিছু খসড়া সৃজন
থাকে ভাঙাগড়া ছাঁচে ঢালা
মেলার মিঠাই, অতিরেক
শিল্প রচনাই বটে আকারে প্রকারে।
পাথরে ফোটায় দৃষ্পিপাত করে নির্বিশেষে
সম্মুখেই পড়ে আছি প্রায় বর্জনীয়
তবু আছে প্রান আছে সেদু ঘোলাচোখ
ভাঙাগড়া খসড়াটি পায় নাই বাঁচার চেহারা
তবুতো মরেনা প্রান এ কেমন বাঁচা-
হারিয়েছে অনুতপ্ত হৃদয়ের খেলা
বেঁচে থাকা অযথাই
পৃথিবীর ঠিকানার মেকি কাঁচ ঘরে
কোন বিকেল বেলার কনে দেখা আলোর মায়ায়



দৃশ্য

কতো দৃশ্য চোখে গড়ে ফেরাতে পারিনা চোখ
কি দেখিবো বুঝিনা কিছুই
পৃথিবীর নগ্নছায়া উড়ে আসা নীল প্রজাপতি
খালের খরাজালে মাছের ডালিতে মাছ নেই
নাই জল নদীটি নিশ্চল
উলটা পালটা সব সবকিছু উলটাপালটা।
দুঃখে লীন নত হয়ে আছে স্রোত নাই ঢেউ নাই
অথচ অদৃশ্য কোন স্রোতের আঘাতে
এপাড় ওপাড় ভাঙে জনপদে হাহাস্বর ওঠে
সম্পন্ন গৃহের চাবিচলে যায় তস্করের হাতে
বৃক্ষরাজি ঢলে পড়ে আঁধারের বুকে
একেমন খেলা অলৌকিক আঁধারের
হালকা ধুলোর ঝড় উড়তেই থাকে চরাচরে।
মরণ খেলায় মাতে দখিনা বাতাস
পুরাতন শিল্পশিলা কেবলিই চৌচির হয়
আমাদের নেই কোন মহেনজোদারো হরপ্পার কথা
আমাদের আছে শুধু স্রোতহীন নদী
বৃক্ষ মরে গেেেছআছে ভরদীপ্র দুপুরের
ক্ষুধার্ত তৃষ্ণার্ত ঘুঘুদের অতি পরিচিত ডাক।
আমাদের বসবাস আজ কৌম গোষ্ঠিদের পাশে
তবুও তো ইতিহাস হয়ে বাঁচি যুগ থেকে যুগে
এটাই কম কীসে!
১১.১১.২০১৩



জুগুপ্সা মেঘ

সত্যের কথাই বলবো না
সেতো প্রয়োগে প্রয়োগে ধূসর
মলিন
পুরানো প্রয়োগ বোধ তাকে
লেখার খাতায় রাখবো না
কাজটি কি তেমন কঠিন?
জীবনের সংখ্যাতীত
কালবোশেখীতে
হাত মিলিয়েছি বারে বারে
অখন্ড আকাশে ভেসেছি ভেলার
মতো
দ্বন্দ্বহীন কোন নিন্দুকের গলা ধরেছি
সুরে সুরে এ মেঘ মল্লারে।

Post a Comment

0 Comments