বগুড়া লেখক চক্রের মৌসুমি ফল উৎসব

Seasonal Fruit Festival organized by Bogra lekhok chokkro


বগুড়া লেখক চক্র ও বগুড়া লেখক চক্র পাঠাগারের আয়োজনে গত শুক্রবার সন্ধ্যায় ঠনঠনিয়া ইউটিআই মিলনায়তনে কবি জীবনানন্দ দাশের কবিতায় ফলের ব্যবহার, কবিতা পাঠ ও মৌসুমি ফল উৎসব অনুষ্ঠিত হয়। মৌসুমি ফল উৎসকে প্রধান অতিথি ছিলেন বগুড়া সদর উপজেলা চেয়ারম্যান মোঃ আবু সুফিয়ান শফিক। বগুড়া লেখক চক্রের উপদেষ্টা, সরকারী আজিজুল হক কলেজের ভাইস প্রিন্সিপাল কবি প্রাবন্ধিক খৈয়াম কাদের এর সভাপতিত্ত্বে অনুষ্ঠিত ফল উৎসবে প্রধান বক্তা ছিলেন বিআইআইটি এর প্রতিষ্ঠাতা অধ্যক্ষ প্রকৌশলী সাহাবুদ্দিন সৈকত। কবি জীবনানন্দ দাশের কবিতায় ফলের ব্যবহার’ এর উপর প্রধান আলোচক ছিলেন বগুড়া লেখক চক্রের সাবেক সভাপতি কবি প্রাবন্ধিক শোয়েব শাহরিয়ার, বিশেষ অতিথি ছিলেন সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সহ-সভাপতি আতিকুর রহমান মিঠু এবং সহ-সভাপতি এবিএম জিয়াউল হক বাবলা। স্বাগত বক্তব্য রাখেন বগুড়া লেখক চক্রের উপদেষ্টা কবি প্রাবন্ধিক শিবলী মোকতাদির এবং ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন বগুড়া লেখক চক্রের সভাপতি কবি ইসলাম রফিক। 


বগুড়া লেখক চক্রের সহ-সাধারণ সম্পাদক এস এম আনিছুর রহমানের সঞ্চালনায় মৌসুমি ফল উৎসবে শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন সংশপ্তক থিয়েটারের সাধারণ সম্পাদক সাদেকুর রহমান সুজন, থিয়েটার আইডিয়ার পরিচালক নিভা সরকার পূর্ণিমা, ছড়াকার রতন খান, সংস্কৃতজন শফিকুল ইসলাম বিপুল, বগুড়া জীবনানন্দ পরিষদের সভাপতি আব্দুর রাজ্জাক বকুল এবং চলচ্চিত্র নির্মাতা সুপিন বর্মন। কবিতা পাঠ ও আবৃত্তি  করেন- রনি বর্মন, সাফওয়ান আমিন, শৈবাল নূর, কামরুন নাহার কুহেলী, অনন্য রাসেল, শাহানূর শাহীন, সারমিন সীমা, মাহবুব এ ইলাহী মিঠু, আবু রায়হান এবং কনক পাল। দেশাত্ববোধক গান পরিবেশন করেন শিল্পী হোসনে আরা হাসি। 


ফল উৎসবে আম, কাঠাঁল, লিচু, জাম, লটকন, কলা, আনারস, বাঙ্গি, তরমুজ, ডেফল, ডেওয়া, খেজুর, করমচা, পেয়ারাসহ ২০ রকমের মৌসুমি ফলের আয়োজন করা হয়। মূলতঃ তরুণ প্রজন্মকে মৌসুমি ফলের সাথে পরিচয় করিয়ে দেয়া, মৌসুমি ফলের পুষ্ঠিগুণ এবং সাহিত্যে মৌসুমি ফলের ব্যবহারকে উৎসাহিত করতে ফল উৎসবের আয়োজন করা হয়। 


মৌসুমি ফলের উপকারিতা তরুণ প্রজন্মের কাছে পৌঁছে দেয়ার আহবান জানান বক্তারা। তারা বলেন সাহিত্যের বড় অংশ জুড়ে ফল, ফুল, নদী, গ্রাম আর প্রকৃতি। সাহিত্যিকদের গ্রামে যেতে হবে, মাটির কাছে যেতে হবে, মানুষের কাছে যেতে হবে। বক্তারা তাদের শৈশব স্মৃতি রোহন্থন করেন এবং হারিয়ে যাওয়া দেশী ফলের গাছ লাগানোর আহবান জানান। 




Post a Comment

0 Comments