চোখ
তোমাকে স্বাভাবিক মনে হচ্ছিল না
সন্দেহ হয়।তুমি পরাগকেশরী ফুল
এতটা নিশ্চিত ছিলাম যে ধূর্ত চোখ
সেখানে বিরতিহীন সংসার পেতেছিল।
সেলাইমেশিনের নিডিলে গেঁথেছিল
উৎসব-প্রেমে রাঙানো যাপনচিত্র;
এই প্রণয়ে আমার স্বপ্নবাজ পাখি-
পৌষের সন্ধ্যায় এমন আজগুবি কথা
বাসস্টপের মতো জিকির ধ্বনি তোলে
পুরোনো সন্ধেয় লাল আপেলের মতো
নিভৃতচারী দাগে এক কামনা-ভ্রম
সাংঘাতিক ভাবে জলঢেউয়ের নাচ
তোমার শরীরে দেমাতাল সাজ দেখায়!
প্রেম
আমার জন্ম-মৃত্যু এই মাটি জানে।
লোবান জলের শেষ বিকেলে
থমকে যাওয়া উদ্যানের মতো;
এক উর্বর-পল্লবী শরীর
আধুনিক প্রণালির ভ্রম সিঁড়ি
এই নিঃশব্দ জ্বরে বসে আছে
সোমত্ত নিশ্বাসে মেরুদণ্ড সোজা।
আমি পেয়েছি দীর্ঘশ্বাস,চুম্বন-
পলকা শস্যের প্রত্যন্ত ডগায়
মধুর কিরণে স্পর্ধাভরা রোদ
হৃদয়ে নড়েচড়ে নদী-জল,সুর-
দুই হাত ভরে পেয়েছি-প্রার্থনা,
মরে যাবার আগে অসুখ,প্রেম
তোমাকে মনে পড়ছে প্রিয়তমা!
0 Comments