তোমাকে মনে পড়লেই
তোমাকে মনে পড়লেই আমি লিখি তোমার চোখ
তুমি তাকিয়ে থাকো অথচ, আমারে দেখো না!
যখন খুব ইচ্ছা করে তোমারে কাছে পাইতে_
আমি জানি, তুমি তখন ব্যস্ত রাত ঘুমে
ধরি, সারাদিনে মনেই পড়ে নি!
তবে কি একবারও হাসোনি..!
আমার যে রাতদিন মনে পড়ে__
কেন যে মনে চায়, এসব লিখে রাখি
লিখতে লিখতে..
আমি কত সুন্দর দেখি- তোমার হৃদয়
তুমি বেঁচে আছো অথচ, বুকের ভেতর একবারের জন্যেও আমাকে অনুভব করো নি!!
শৈশব
শৈশবের কত রকমের আনন্দ ডুবে গেলো চারপাশে,
সে কেমন তাকিয়ে থাকা আকাশ হারিয়ে ফেলা মানুষের মাঝেও
আবার ফিরে আসে একাকী বেঁচে থাকা ফুলের পিঠে__
কতগুলো মুখের অচেনা গন্ধ,, স্পর্শ বাঁচে কত অভিমানে??
কাছে ডাকে নীরবে গোপনে.. কই বাজে হারনো বেহালার সুর
কেঁদে ফেলা চোখের ভেজা পলক রাতজাগা ঘুম অন্ধকারে
হাতে আঁকা দেয়ালচিত্র সে কত আনন্দ ডুবে গেলো চারপাশে,,
আকাশের শূন্যতায় সে চাঁদের মুছে ফেলা তোমাদের আদর
বেড়ে ওঠা বয়স একা শহরে ঝরা পাতার মৌসুম, কে ডাকে
হারিয়ে ফেলা নিঃশ্বাসে আরো কত সুর বুকের ভেতর
মনে মনে কত সমুদ্র আনন্দ পাখিদের উড়ে যাওয়া স্বাধীনতায়
চোখ থেকে ঝরে পরা পাতাদের শৈশব হারানো দুঃখের
নীরব পিছুটান ভেঙেচুরে গড়া সে জীবন হেঁটে চলে একাকী..
শৈশব সে তো শিশুদের হাসিমুখ নতুন জামায় কেঁদে ফেলা চোখ
ফিরে পাওয়া আনন্দ চেনা অচেনা ফুলের পিঠে বেড়ে ওঠা বয়স
হারানো কবিতার সুরে হৃদয়ে নেমে আসা স্মৃতির অহংকার
তবুও সে ফিরে আসা অতীত ঘুরেফিরে শৈশব ডুব গেল চারপাশে
সুমাইয়া
কি মন চায় জানো..?
তোমারে খুব ভালোবেসে নিয়ে আসি
মেঘনা নদীর পাড়ে, পাহাড় ঘেরা বেড়ীবাঁধে
একটা দোচালা ঘর তুলে, বাবলা গাছের
হলুদ ফুলে তুমি-আমি নদীর জোয়ার ভাঁটায়
ভাসি.. যেন, ভালোবাসার কচুরিপানা ফুলের
জোনাকি অন্ধকারে চুপিচুপি তোমার সেজেগুজে
বসে থাকা_ সেই ক্ষণ নৌকায় পোড়া চাঁদের জ্যোৎস্না
তোমার জন্যে লিখে রাখা গান গুনগুন করে সুর তুলি,,।
নষ্ট হৃদয় ভালো করি মুখোমুখি চেয়ে থেকে নিষ্পলক..!
তোমারে সাজিয়েগুজিয়ে রাখি হৃদয়ের জলছবিতে
সেই টুনটুনি চোখ কাজল ফোঁটা কপালে আঁকছি
তুমুল বৃষ্টিতে ভেজা চোখে তোমার জন্যেই কাঁদছি..?
প্রিয় সে গন্ধটুকু আদরমাখা ফুল কই তুলে রাখছি
জানি না মেঘমনে কত লক্ষ বার তোমাকে ডাকছি..!!
সুমাইয়া, রাতদিন কি মন চায় জানো..?
মেঘনা নদীর পাড়ে, তোমারে খুব ভালোবেসে নিয়ে আসি..।
হিজলতলীর ঘুঘু পাখিদের
কে তুমি এতো দুঃখী
একা একা সব অবহেলা কৃষ্ণচূড়ার ঝরে পড়ার মতন নিষ্পলক তাকিয়ে থাকো,
যারে ভালোবাসো পৃথিবীর সব সুখ মিলেমিশে জীবনভর তাকেই ভালোবাসতে,
এইরকম কতকিছু খুটিনাটি হিজলতলীর ঘুঘু পাখিদের
আরো কতবার পাশাপাশি হাত ধরে মুখোমুখি চুমু খাওয়া
চাঁদের নিচে কাঁঠাল গাছটি দাঁড়িয়ে থাকা কেউ..
এখন কাঁঠালে পরিপূর্ণ, সে চিত্র দেখতে গেলে
দেখা হয়ে যায় কতগুলো ফুলের, যাদের চলে যাওয়ার কথা ছিল,
অথচ তারা থেকে গেলো, তুমি চলে গেলে নাকি থেকে গেলে,
এবার, মনে করার চেষ্টা করো তাকে ভালোবাসতে কেন...??
মেয়েটা ভালোবাসলে
মেয়েটা ভালোবাসলে আমার ভালো লাগতো,
কপালে চোখে নাকে কানে গালে ঘাড়ে ঠোঁটে-
চুমু খেতে চাইলে ইচ্ছা মতন খেতে দিতাম।
মেয়েটা ভালোবাসলে সুখী হইতাম।
ইচ্ছা ছিল মাঝি হবো, বাইশ বছরে বিয়ে করবো।
মেয়েটা ভালোবাসলে বিয়া করতাম,
ইচ্ছা মতন আদর করতাম,
করতে দিতাম যা ইচ্ছা তাই।
............................................
মিসির হাছনাইন
নাটক ও নাট্যতত্ত্ব বিভাগ
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়।
0 Comments