নমিতা সরকার এর কবিতা

Namita Sarkari's poem

শেষ থেকে শুরু

যদি বলো তারপর কি? 
তবে তারপর থেকে আরো অনেক তারপর উঠে আসে ঢেউয়ের পর ঢেউয়ে।
তারপর তোমার তীরে দাড়িয়ে তোমাকে ছুঁই অদৃশ্য ছায়ার মতো আলো অাধাঁরের মায়াপ্রেমে।
তারপর জলস্থল স্পর্শ করা তেজস্বী আলোয় তোমাকে আবিষ্কার করি অবারিত সবুজ মাঠের বুকে,
যেখানে ঘাস ফরিং পাখি লতাপাতা হৃদয় খুলে কথা বলে আপন ভাষায়।
তারপর সেখানেই আমি কান পেতে শুনি তোমার হৃদয়ের গান
যে গানের ছন্দে ঝর্ণা ঝরে পড়ে পাথরের বুকে, 
তারপর পাথরের বুকে পাথর খসে খসে পড়ে নিঝুম সন্ধ্যায় নির্জন দ্বীপে কষ্টের আগুন বুকে নিয়ে,
তারপর ঘনিয়ে আসে আঁধার রাত, 
রাতের চাঁদ থেকে চুঁইয়ে চুঁইয়ে পড়ে রূপালি ঝর্ণা নির্জন দ্বীপে, 
তারপাশেই ঘুমহীন সমুদ্রে ঢেউয়ের পর ঢেউ এসে বলে ;
তারপর তারপর তারপর!!! 
মহাকাল ঘুরে ঘুরে ফিরে ফিরে আসে তারপর!!!




ঢেউ

চাঁদের হাসি ঠোঁটে চেপে তুমি ঘুরে বেড়াও ভালোবাসার রাজ্যে চুম্বনে ভরিয়ে দাও ডিঙ্গি নৌকার শূণ্য হৃদয়।
তবুও তুমি বুঝনি বুঝি শূণ্য ডিঙ্গি নৌকার হৃদয়ের ভাষা ...
ঢেউয়ের আছড়ে আছড়ে ব্যথার জলকেলি শরীরে জড়িয়ে ঘুমিয়ে পরে নির্জন দ্বীপে আঁধারের বুকে। 
আর তুমি চাঁদের দেশে ভীড় করো নক্ষত্রের মেলায় 
আলোয় আলোয় ভরে যায় তোমার ভালোবাসার রাজ্য, চাঁদের হাসি ঠোঁটে জমা রেখে হৃদয়ে আঁক লিউনার্দোর আঁকা সেরা চিত্রের হাসি।
আর ডিঙ্গি নৌকার বুকে নুড়ি জমে জমে তৈরি হয় ব্যথার পাহাড় তবুও গোধূলিবেলায় ভাসিয়ে দেয় শূণ্য হৃদয় শুক্লপক্ষের আঁধারের প্রতিক্ষায়, 
শুধুই তোমার হাসিমাখা ঠোঁটে চুম্বন আঁকবে পূর্ণিমার আলোয়।



তুমি টের পেলে না

তোমার পকেটে হাত দিলাম 
তবুও তুমি টের পেলে না.... 
কতশত শব্দের বীজ রোপন করেছো, 
সেইসব কবিতার শেকড়ে 
বিস্তৃত মাঠ-ঘাট-শহর-গ্রাম।
সেখানে ভালোবাসার বৃক্ষ 
সারি সারি দাঁড়িয়ে হাত বাড়িয়ে 
আমার হাতে হাত রেখেছে 
পাতাঝরা ছন্দের সুরে, 
আমি অবাক হয়ে ডুবে গেলাম
সবুজ পাতার ক্লোরফিলের ভেতর স্বপ্নভরা নিঃশ্বাসে।
বাহ্ কি সৌভাগ্য আমার!
তোমার পকেটে হাত দিতেই 
খুঁজে পেলাম পান্ডুলিপি, 
পান্ডুলিপি থেকে বই, 
বই থেকে সারা বিশ্ব।
তোমার পকেটে হাত দিলাম 
তবুও তুমি টের পেলে না
১৩/১১/২১

Post a Comment

0 Comments