কাঁটাতারের দরজা
বৃষ্টিরাতে শেষ ট্রেন চলে যায়,
আমরা হাঁটতে থাকি একটি গন্তব্যহীন পথে।
মধ্যকাশে বিদ্যুৎ গতিতে বেজে উঠে হঠাৎ হুইসেল,
আর
আমাদের ছাতাবিহীন শরীর কাঁপতে থাকে শীতার্ত রাতের হরিণ শাবকের মতো।
সমস্ত দিন চলে যায় আঁধারে মিশে মুহুর্মুহু বেদনায়,
আমাদের চোখ হঠাৎ ধোঁয়াশা কোনো কাঁটাতারের দরজায় থমকে যায়।
জীবন অভিপ্রায়
জীবন এক মায়াবী জোছনা,
পাহাড় চূড়ায় দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে-
একটা নীল রঙের চাঁদকে এক নাগাড়ে দেখা।
আগুনের নদীতে নৌকা নিয়ে ভেসে চলা,
আর একটু একটু করে পেরিয়ে যাওয়া।
অধরা আক্ষেপ
তোমাকে দেখার পর আর কিছুই দেখা হয়নি আমার,
অতঃপর ধোঁয়াসা আর শূন্যতার হাহাকারে সঁপেছি নিজেকে।
দূরদেশের মিসৌরির মতো তুমিও
প্রানের স্পন্দনে জাগাতে পার ঢেউ,
তোমাকে ছাড়া সেই কবে থেকে পঙ্গু, বধির, অর্থহীন আমি;
একটা ঠিকঠাক ভাষার সেতু নির্মাণ করতে পারিনা বলেই
হয়তো আজও অধরা আক্ষেপে থাক নদীর দুই তীর হয়ে।
0 Comments