প্রেমস্মৃতি গাছ
একদিন মরে যাবে প্রেমের গাছ,
হাজারো যুগের শেষে সে গাছের ফসিল
স্মৃতি হয়ে পড়ে থাকবে তোমার উঠানে।
তুমি হাসবে, কাঁদবে, গানও গাইবে
অতীত ভুলতে কখনো বা নিজেকে সাজাবে।
সবশেষে একদিন বোবা হবে সময়
চোখ হবে নদী, ছুটে যাবে,
স্রোতে ভেসে সাগরের বুকে
আমিও সেদিন পাড়ে দাঁড়িয়ে
দেখে যাবো দুকূলের ভাঙ্গনের খেলা।
চিঠিগুলো ভিজে যাবে শ্রাবণের দিনে
খুঁজে পাবে সব লেখা, অতীতের কথা
মাটি হতে লতা হয়ে মগজে মগজে
বুকনদী ভেসে যাবে এ্যালকোহলিকÑজলে।
বন্ধন
পরিবর্তনের হাওয়ায় মিশে ধূসর পৃথিবী
গ্যাগারিন মহাশূন্যে গিয়ে ফিরে এলো
‘বিশ্বরূপ’ হয়তোবা মুণী হয়ে গেছে।
তরতাজা গ্রাম ভেঙ্গে নগরায়ন হলো
ষড়ঋতু বেড়ায় ঘুরে অজানার দেশে।
শরৎ, হেমন্ত আর বসন্তের সাজ কেড়ে নিয়ে
বৈশাখে আসে মহা উৎসব।
একলা বসে দুজন হওয়ার নেশা ঠিকই আগের মতো
ছুটে চলে রানারের মতো, জ্বলজ্বলে হ্যাজাক বাতি হাতে
ডিজিটাল দেশে ডিজিটাল মনে
আমিও তাই ভালোবাসি, ভালোবাসার পাখি হই
তোমার ডালে বসি ঠিক সেই রানারের মতো।
পৃথিবী বদলে যাক, ধূসর রঙ হারাক
আমি আর তুমি তবু থাকবো আগের মতো।
অসমাপ্ত প্রেম
তৃষ্ণা থেকে রক্ষা পেতে
এ্যালকোহলিক জল করেছি পান। অবশেষে-
মাটির প্রতি সখ্যতা বাড়ে
ধুলোতে লুটপুটি করে হয়ে যাই মাটি।
অথচÑ খুব ইচ্ছে ছিলো পোশাকী বৃদ্ধার যুবতি সাজের মতো
সঙ সেজে উড়ে উড়ে ঘুড়ে ঘুড়ে চেটেপুটে নিঃশেষ করবো
সমাজের যতো নিকোটিনের বিষাক্ত বাতাস। অতঃপরÑ
ধীর তালে দেহ দোলে, আছড়ে পড়ে যে ঢেউ
নদীÑসাগর, খাল আর বিলের
তা থেকে চুষে নেবো জিয়াদের মাংসের ঘ্রাণ,
গলে যাওয়া কোন প্রাণীর খোলস। অথবা-
দিগন্তকে নষ্ট করছে যতো ফরমালিন মানব,
আর হয়ে উঠবো কোনো সর্বভূক। তার আগেই
ঢলে পড়ে উপুড় হয়ে মাটি কামড়াই
যেনো মাটিতে মাটিতে প্রেম পৃথিবী কাঁদে।
0 Comments