আশ্রাফ বাবু’র কবিতা

 

আশ্রাফ বাবু’র কবিতা


ভাগ্যক্রম


কমজোর তকদিরের দাসত্বে ভেতরে ছাঁয়ার মানুষ বলেছিলাম- বটফল ঠোঁটে 
ভাঙ্গনের চোখে লেগে আছে ঠুনকো এবং শক্তপোক্ত।

গতবার তুমি যখন বলেছিলে বেঁচে থাকার কথা,
সেটা বেঁচে থাকা নয়, সে এমন এক পীড়া, যা শুধু যন্ত্রনার হূল ফোঁটায়।

পারবে না জোড়া লাগাতে এই পৃথিবীর ছেড়া অংশ,
কি লাভ, দুলিয়ে বসন্ত ফুলে কিংবা চোখের জলে?
ভেতরে মনের মানুষ,পাশ দিয়ে যায় কবরের গন্ধ।

নিয়তির এই যুদ্ধ,মন বলছে আবার তান্ডব, 
সব জবান গেল জলে,মাটি নেই পায়ের নিচে 
ক্ষণিকের মানুষ, বোঝা যায় আমি অমর নই,

আর কিছুই নেই, এ আরাম্ভ্য অন্য কোনও দিকে
যুদ্ধ চেনে না, শূন্য থেকেই বাসনা জাগে
এবং আমি একা, এই পুরো ঠোঁটে ভাঙ্গা পথে।




ভাবনার সংযোগ 

আমি যা জানার জন্য বেঁচে আছি
কিভাবে বাঁচতে হয় তার কিন্তু জানিনা
আমরা আলো আর বাতাসে;
আমার জন্য ফুসফুস থেকে উড়বে কালো ধোঁয়া।

তবু পৃথিবীতে থাকার জন্য
একটা প্রার্থনার বৃত্ত বানাচ্ছি,
ধরে রাখতে পারি?
আমাকে জড়িয়ে জন্মেছে কোটি বছরের পুরাতন প্রেম,

নগরপতির দুঃসহপ্রণয় বারবার 
ছেড়ে যেতে চেয়েছে পৃথিবী কিংবা সমুদ্র
মানুষ তার যাপনকে ডিঙিয়ে যেতে পারে না,
ভেতর থেকে অঙ্কন করে নিজের ভাবনার সংযোগ।



ওস্তাদখানা

কতো দেখিলাম, কতো ভাবিলাম 
কতো কতো করিলাম, নব নব ওস্তাদ
কতো বলিলাম, কতো সাজালাম
কতো ওস্তাদি  করিলাম, চলমান সবই ঘটমান বাস্তব।

মনের অভ্যন্তরে যে ব্যাধি, 
প্রশমিত হয়না, হইবে কেমনে ঢেকেছে বদে
বদে বদে মরণব্যাধি ঘর বাঁধিয়াছে,
তাহার তরে পথ্যে,নেপথ্যে ঘুরি ফিরি সদা। 

বৃহদাকার গাছে উপবিষ্ট হইয়া দেখিতেছি, 
পৃথিবীতে আবার ভূমির কাছাকাছি 
অবতরণে দৃশ্যমান সব কিছু 
ছাড়িতেছে ভুত শালার  পিছু।

তবে কি সবই দস্যু, না কি মায়া,হয়তো গুরু 
অগোচরে প্রাণহীন কহিতে না পারি, সহিতে না পারি।
আলো আঁধারীতে,ছায়ার পিছনে 
কতো ওস্তাদের ওস্তাদী ফুলঝুড়ি।

Post a Comment

0 Comments