সুজন হাজারী’র কবিতার কথা # স্বনির্বাচিত কবিতার অনুভূতি

সুজন হাজারী’র কবিতার কথা # স্বনির্বাচিত কবিতার অনুভূতি
                   


কবিতার অনুভূতি প্রাসঙ্গিক উত্তরের যৌক্তিক দায়বদ্ধতায় আমি নিজেই প্রশ্নবিদ্ধ। আমি লিখি কেন লিখি কিভাবে লিখি কখন লিখি। নাকি লিখতে হয় বা লিখা হয়ে যায়। এতসব আনুসঙ্গিক প্রশ্নের ভিড়ে মনকোণে হিমালয় গড়েছে। সৃষ্টিশীল মানুষ মাত্রেই মননশীল। সৃষ্টির আধারে চেতনে কিংবা অবচেতনে মূলত: সৃষ্টিই তার নির্ধারিত টার্গেট। এজন্য তিনি একজন যথার্থ শিল্পী। শিল্প চর্চার মাধ্যম যতই ভিন্নতর হোক। যেমন সাহিত্য সঙ্গীত চিত্রকলা ইত্যাদি----।

একজন সৎ শিল্পীর সততার দায়বদ্ধতায় আমি বিশ্বাসী ও  সমান শ্রদ্ধাশীল। তার সৃষ্টিশীল শিল্পের অনুরুপ বৈশিষ্ট্য থাকতে পারে অথবা না ও থাকতে পারে। এক্ষেত্রে কবি লেখকের বা শিল্পীর স্বাধীনতার বিষয়টি সম্পৃক্ত। কবিতা লেখার ক্ষেত্রে কবির মুক্ত চিন্তা চেতনা স্বাধীনতা ব্যক্তি স¦াতন্ত্র নিজস্ব স্বাধিকার খর্ব না করে সমুন্নত রাখা বিবেচ্য হওয়াই উচিত। কবির নিজস্ব একটা জগত আছে। সে জগত তার একান্তই নিজস্ব নিরঙ্কুশ। যা কি না অধরায় নির্বাসিত। কবিদের সে জগতে অন্যকারু অনুপ্রবেশাধিকার অবাঞ্ছিত  অনাকাঙ্খিত। সেথায় কারুর প্রবেশ কবির স্বাধীনতা ও স্বাধিকার খর্বের সামিল। মুক্ত চিন্তা শিল্প চর্চাকে বাধাগ্রস্ত করে। এখানে প্রবেশ কবিতা চর্চার প্রতি অভিনিবেশী মনোবৃত্তি প্রাধান্য বিস্তার করে। এর ফলে মূল উদ্দেশ্য পিছিয়ে পড়ে যা কবিতা চর্চার জন্য ক্ষতিকার বলে মনে করি।

অভিজ্ঞতায় বলে এখানের চাটুকার মিডিয়িাবাজদের পিঠ চাপরানিতে কবিতা নয় কবিরাই ফিল্মী ষ্টারের মতো ক্ষণস্থায়ী খ্যাতির শিরোপা বাগাতে প্রতিযোগিতায় নামেন। কবিকে কর্ষণ নয় বরং তার কবিতা কর্ষিত হলে কবিতা ভূমি উর্বর ও উৎকর্ষিত হতো। উৎকর্ষতায় কবিতার অগ্রযাত্রা সমৃদ্ধ হয়। ফলে তার সুফল পাবে কবিতা প্রেমিক আপামর পাঠক। এ প্রসঙ্গে স্মরণ করি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের একটি গান প্রনিধান যোগ্য।“তোমার পূজার ছলে আমি তোমায় ভুলেই থাকি ”।


অপর পক্ষে কবিদের সম্পর্কে জানতে অতি আগ্রহী পাঠকেরা উৎসুকও বটে। কবি চর্চার আকর্ষণে তাদের মনে সুড়সুড়ি জাগতেই পারে। তবে কবিতা সৃষ্টির অনুভূতি জানতে চাওয়া নিশ্চয়ই পাঠকের অধিকার বলে গণ্য করা যায় কি ? এ নিয়ে বিতর্ক উঠলে আমি তার বিপক্ষে। কারন কেউ কবিতা  কিভাবে লিখেন জানতে চাওয়া শালীনতা বর্জিত। এ ছাড়াও কবির ব্যক্তি স্বাতন্ত্র ও স্বাধিকারের প্রতি অনধিকার চর্চার সামিল।

এখানে উল্লেখ্য যে পশ্চিম বঙ্গের (ভারত)  কবি ও বিদগ্ধ সমালোচক আনন্দ ঘোষ হাজরা এক নিবন্ধে বলেছেন কবিতা পাঠককে নিজের মতো করে ব্যাখ্যা তো করতেই হবে, কারন সব সময় লেখকের মনের ভেতর প্রবেশ করা সম্ভব নয়, উচিতও নয়। লেখক ও পাঠকের মধ্যে সরল রৈখিক যোগাযোগ ঘটবে  তাও নয়। তিনি তার নিবন্ধে ফরাসী দার্শনিক কাঠামো বাদের প্রবক্তা রোলা বার্থ এর উদ্ধৃতি টেনেছেন এভাবে। রোলা বার্থ বলেছেন যে, লেখার পর লেখকের মৃত্যু ঘটে যায় তখন সেটা পাঠকের সামগ্রী। আমি মনে করি মূলতঃ পাঠকের সামগ্রী কারন লেখকের তো একটা ভাবনা থাকেই। প্রসঙ্গক্রমে কবির দায়বদ্ধতা যত না বর্তায় তারচে বিষয়টি কবিতার পাঠক আলোচক সমালোচক গবেষক ও কবিতা বোদ্ধাদের খোরাক হয়েই থাকুক না। জমিতে ফসল জন্মে,কি ফসল ফলবে, জমি বলদ না ট্রলারে চাষ হবে এবংবিধ প্রশ্ন আপাতদৃষ্টে মূখ্য বা প্রণিধান যোগ্য বিষয় নয়। জমিতে আশাপ্রদ ফসল ফলছে মূলতঃ সেটাই মূল্যায়ন হওয়া কার্যত বাঞ্চনীয়।


ইচ্ছা করলেই কবিতা লিখা যায়না বা হয়না। লিখার জন্য কবির চিন্তা ও মননে প্রস্তুতির আবহ পরিমন্ডল সৃষ্টি হয়। কবিতা কোন বিষয় নির্ভর নয়। সব বিষয়ই কবিতার উপাদ্য হতে পারে যেমন প্রকৃতি প্রাণি সমাজ রাজনীতি অর্থনীতি ইতিহাস বিজ্ঞান ধর্ম। এমন কি জীবন সম্পৃক্ত জড় ও অজড় সবকিছু। কবি যখন তার অধরা নির্বাসিত সেই অমৃতলোকে বিচরণ করেন তখন লিখার তাগিদ তার চেতনায় ক্রিয়াশীল থাকে।

 আমি যখন হাঁটি পায়ের শব্দের গতি সঞ্চালনে প্রতিধ্বণি ইন্দ্রিয়কে নাড়া দেয়। প্রাত্যহিকতায় চোখ মেলে যা কিছু দেখি। বিদৃশ্যমান সেই ছবি চেতনায় প্রতিচ্ছায়া ফেলে। যার প্রতিমূর্তি উদ্ভাসিত হয় হৃদয়ের স্যাটালাইটে। সেই চিত্রকল্প নান্দনিক অনুসন্ধিসায় বিমূর্ত হয়ে ওঠে। অর্জিত অভিজ্ঞানে মনীষা সাধনায় সেই ছন্দ বা প্রতিকল্পের আলোকসম্পাত প্রতিচিত্ররুপে প্রভাসিত হয় এবং শিল্পমাধ্যমে বিকশিত হওয়ার পথ খোঁজে। চেতনায় পেরেক ঠোকে যাকে বলা হয় শিল্পক্ষুধা। তখনই কবিতার নেশামত্ততা ( যে কোন সৃষ্টিশীল মানুষকে) আমাকে তাড়িত করে। সেই মুহূর্তেই লিখার তাগিদ অনুভব করি। অন্তস্থল অভ্যন্তরে শুরু হয় অব্যক্ত প্রসবের যাতনা। এমনি দুর্লভ মুহূর্তে যন্ত্রণাদগ্ধ আমি গন্তব্যে পৌঁছানোর লক্ষে লিখার প্রণোদনা পাই। লিখার জন্য ভাষাকে অবলম্বন করি। শৈল্পিক বিন্যাসে যার পরিসমাপ্তি ঘটে কবিতায় বা সাহিত্যের অন্যকোন শাখায়। অন্য শিল্পীদের ক্ষেত্রে চিত্রকলা সঙ্গীত বা নৃত্যে এর প্রকাশ ঘটতে পারে।


কবিতার অনুভূতি সংক্রান্ত বয়ানে আমার এই অবতাড়না। পাঠক মহলে বিনীত প্রয়াস গ্রহনযোগ্য হবে কি না জানিনা। তবে আমার উপলদ্ধি প্রকাশের প্রচেষ্টা কবিতা প্রেমিকদের সান্নিধ্য লাভের সুযোগ করবে বলে আমি প্রীত। আপাত দৃষ্টান্তে উল্লেখ্য স্বনির্বাচিত শিরোণামের প্রারম্ভিক কবিতার অনুভূতি ছিল এরকম। দেশজ রাজনৈতিক অপসংস্কৃতির বাতাবরনে আমি বেড়ে উঠেছি। উপনিবেশিক পাকিস্থানি সামরিক শাসনের যাতাকলে আমার আনন্দ মূখর শৈশব নিপতিত ছিল। পৈত্রিক নিবাস সূত্রে সীমান্তের অধিবাসী। শৈশবেই অত্যাচারি আধা সামরিক সীমান্ত রক্ষীর হাতে লাঞ্ছনার শিকার হয়েছিলাম যা আমার শৈশব মনে আঁচর কাটে। দেশ স্বাধীনের পর দীর্ঘ সময় আমাদের এদেশ সারিক শাসনের নীপিড়ন নির্যাতনে নিষ্পেষিত। গণতন্ত্রের ছদ্মাবরনে উচ্চাভিলাষী সেনা কর্মকর্তারা স্বৈরচারি শাসন চালিয়েছে। একজন দেশবাসী হিসাবে আমি নিজে তার সাক্ষীদূত। স্বৈরাচারি শাসকরা পুঁজিবাদী আগ্রাসী সাম্রাজ্যবাদের তাবেদার প্রতিভূ গণতন্ত্রের সাক্ষাত শত্রু।

এই অপশাসনের ফলে দেশবাসীর মৌলিক অধিকার ভূলুন্ঠিত হয়েছে। মানুষের স্বাভাবিক জীবন যাত্রা চলা ফেরার নিরাপত্তা ও নিরাপদ ছিলনা। জান্তারা মানবিক জীবনাদর্শ শিষ্ঠাচার শালীনতা স্বাধিকার হরণ করে সামরিক খাঁচাবন্দী করেছিল। ঘৃণ্য এ অপশাসনের নির্যাতন নীপিড়নে মানুষ ছিল অসহায়। মানবিক মূল্যবোধের মর্যাদা হানিকর। মানুষের দুঃখ দুর্দশা অসহায়ত্বের প্রত্যক্ষ অভিজ্ঞতার জারিত রসে সিক্ত আমিও। আমাকে আঘাত করতো দেশ ও মানুষের প্রতি ভালেবাসা। আমার ভেতরের কবি মানসকে আত্নসচেতন ও নৈতিক বোধকে জাগ্রত করেছিল। আমার রচিত মহাকাব্য শিরোনামের কবিতায় তার প্রতিবাদ করেছি।


কবিরা জাগতিক ভূষণ ছাড়াও আলাদা এক জগতে নিভৃতে একাকী বসবাস করে। নান্দনিক সে ভূবনের বিচরনকারী বাসিন্দা কবিরা বোহেমিয়ান বা এক ধরণের স্বেচ্ছাচারী। তাদের এই স্বেচ্ছাচারিতা শুধুই শৈল্পিক সীমাবদ্ধতায় আবদ্ধ। বাহ্যিক দৃষ্টিশক্তির বাইরেও কবিদের প্রখর অন্তর দৃষ্টিশক্তি আছে যা লোকচক্ষুর আড়ালেও খোলা থাকে। সে দৃষ্টিশক্তি সুন্দরের প্রতি নিবিষ্ট বা সৌন্দর্যকে অহরণ করে। হোক সে সুন্দর ধরা বা অধরার। ইন্দ্রিয় শাসিত আমি শুধু নই আমার মনে হয় সব ধরণের শিল্পীরাই। সেই সাথে মেধা সম্পন্ন কবিরাও আত্নসচেতনায় অধিক পরিপুষ্ট অত্যন্ত স্পর্শকাতর। ইন্দ্রিয় গ্রাহ্য অবলোকনে তারা সুষমাবৃত্তিতে লালন করে শিল্পকে। মণীষা সাধনা দীক্ষায় এক সময় অভিজ্ঞ হয়ে ওঠে। আমিও তার ব্যতিক্রম নই। আঁধারেও রুপ আছে তা দেখার জন্য সুন্দর অন্তচোখ থাকা প্রয়োজন।

গনগনে জনতার মাঝে কখনো নিজেকে নিভৃতচারী একাকী বোধ করি। নিভৃতচারীতার সাথে একাকীত্ব সমন্বয় হয়ে যায়। তখন যেন আমি সেই অধরায় নির্বাসিত। মানুষের জীবনের প্রতিফলনকে অর্থাৎ সামগ্রিক প্রতিকুলতাকে অনুকুল অবস্থানে প্রতিস্থাপনের স্বপ্ন বুনি। এই রোমান্টিক বাসনার চিত্রকল্প বিষাদের মহাকাব্য শিরোনামের কবিতায় প্রতিচিত্রিত।

যে ভাবে বেঁচে আছি কবিতায় পুঁজিবাদী সমাজ ব্যবস্থায় মানুষের জীবযাত্রা বৈষম্য বঞ্চনার প্রহসনের শিকার। ব্যক্তি জীবনের অভিজ্ঞতায় এখানে সামষ্টিক জীবনের প্রতিলিপি চিত্রিত। মানব জীবনের প্রাপ্তিতে বৈষয়িক বঞ্চনা পুঁজিবাদী সমাজ ব্যবস্থার কুফলের নামান্তর। পুঁজিবাদ মানুষের নৈতিকতার স্খলনকে সম্প্রসারিত করছে। সমাজের সাধারণ প্রান্তিক মানুষ মানবিক নিপীড়ন নির্যাতনে দুর্দশাগ্রস্ত। দেশ স্বাধীনের পর এদেশের মানুষ উপনিবেশিক পরাধীনতা থেকে রাজনৈতিক মুক্তি পেলেও অর্থনৈতিক মুক্তি পায়নি। স্বাধীনতার সুফল ভোক্তা স্বাধীনতা বিরোধী মৌলবাদী পুঁজিবাদী সাম্রাজ্যবাদের দোসররা। তারা ক্ষমতা কুক্ষিগত করে প্রহসন চালিয়ে এ দেশবাসীর সাথে প্রতারনা করছে। দেশীয় সম্পদের সদ্ব্যবহার সুষম বিন্যাস দুর্নীতির কবলে। ফলে সংখ্যা গরিষ্ঠরা হচ্ছে বঞ্চিত।  দেশবাসী হিসাবে আমিও সে হিস্যার একজন। সামাজিক ও মানবিক নির্যাতন আর নিপীড়নের গ্যাড়াকলে নিষ্পেষিত আমিও জীবন সংগ্রামে লড়াকু সৈনিক। আঁধারের অন্তরালে ডুবেও আলোর প্রত্যাশী। তবুও আশাবাদী জীবন বাঁচার স্বপ্ন প্রতিনিয়ত চাষ করি।


আজন্ম তৃষ্ণা কবিতার অনুভূতি প্রকাশে বলতে চাই মানুষ মাত্রেই আকাঙ্খা প্রত্যাশী। মানুষের এই আকাঙ্খা অনেক সময় উচ্চাভিলাষী বাস্তবতা বর্জিত। কল্পনা বিলাসী স্বপ্নচারীরা সীমানা অতিক্রম করে অসীমের পানে হাত বাড়ায়। মানুষের এই বিলাসী কল্পনার ঠাঁই বিজ্ঞানের জগতে কোথায় ?  গাণিতিক সূত্র মতে কি তার ফলাফল। বিজ্ঞান শিক্ষার সীমিত অভিজ্ঞতাকে শিল্পায়নের প্রয়াসে গণিতও কবিতার উপপাদ্য হয়েছে কবি বিনয় মজুমদার যার প্রকৃষ্ট দৃষ্টান্ত রেখেছেন। 

প্রাত্যহিক কর্মজীবনে বাস্তবের মুখোমুখি সবাইকে কোন না কোন সময় কোন কিছুর অপেক্ষায় থাকতে হয়। ধরুন কোথাও যেতে হবে। যান বাহনের অপেক্ষা কারু সাথে কারু এ্যাসাইনমেন্ট। সেখানে থাকতে পারে অনাবশ্যক অপেক্ষার পালা। এমনি মুহূর্তে সময় ক্ষেপনের টেনশন। সময় আপন গতিতে চলতে থাকে। অপেক্ষার টানাপোড়েনের মাঝে অস্থিরতা। অন্যের মতো আমিও প্রতিদিন জীবনের তাগিদে অফিসে যাই।

যানবাহনের অপেক্ষায় আটকে থাকি। চলাচলের পথে সহযাত্রী কাউকে নিজের অজান্তে ভালো লাগে। আমার এই ভালো লাগার ভিতর অপেক্ষাস্থল, রাস্তায় চলাচল উত্তাল জনতা, সহযাত্রী কোন নরনারী বহু কিছু থাকতে পারে। চোখ পড়ে যায় কোন এক বেবী রাণীর প্রতি। এ আমার একান্ত ভালো লাগা। মানুষের প্রতি মানুষের স্বভাবজাত প্রবৃত্তি। সামাজিক শিষ্টাচার বা নৈতিকতার অদর্শ হেতু সংযমী হয়ে যাই। গুটিয়ে নিই আমাকে নিজের ভিতর। গুটালেও কি সম্পূর্ণ গুটিয়ে নিতে পারি। মনকে শাসন করে নিয়ন্ত্রণে আনতে বাধ্য হই। অবাধ্যপনায় তাৎক্ষণিক ভালোলাগাগুলো ভালোবাসায় রুপান্তরিত হয়ে মানবিক প্রেমে উজ্জিবীত হয়। ভালোবাসি অগোচরে কাউকে গোপনে গোপনে। এরকম বিষয় আশয় গোপন আর থাকে কোথায় ? এক সময় তো কবিতায় প্রকাশ পায়। এই হোম টাস্ক  নামের কবিতাটি আমার কবি মনের পাঠ্যসূচিতে অর্ন্তভূক্ত। এ পাঠ নিতে অধ্যাবসায় চলে চলছে চলতে থাকে এবং চলবে নিরন্তর।











Post a Comment

0 Comments