ভাতঘুম বহুদিন পর এলে, বাড়িতে থাকার বেশে ঝমঝম বৃষ্টি হলে বেশ জমতো এখন। মিউ মিউ করা অলস দুপুর শেষে— প্রবল তৃষ্ণায় দেখছি ভণিতাহীন। মনোলীনা, সেই রৌদ্রজ্জ্বল দুপুরে আমরা নিচ্ছিলাম ডাকাতির প্রস্তুতি, আমাদের ঘর ভরে অস্ত্রের কোমল স্বরে ধ্বংসাত্মক হারে বাড়ে লুটের ব্যাপ্তি। তোমার উন্মুক্ত ময়দানে আমার ঘন নিশ্বাস আঙুলে আঙুল, আগুনে আগুন, পরস্পর খুন আনাড়ি কৃষক আমি, আমার আনাড়ি চাষ— আমাদের দেখা হওয়ার কথা প্রতি ফাগুন সময় ঘনিয়ে আসে, আসে বৃষ্টি ঝুম সাড়ে চারটার এলামে ভেঙে যায় ঘুম। কোভিড-উত্তর তোমার প্রত্যাবর্তনে সরব হয়ে ওঠে এ পাড়া। এই সানবার্ন শহর ছেয়ে যায় হাওয়াই মিঠাইয়ের মতো মেঘে। লিরিক বৃষ্টি, ছন্দ ছাড়া। আমাদের ঘিরে ফেলে কেবল কেমন মাতাল হাওয়া। রোজ কোভিডের খোঁজ নেওয়া পাখিটা সন্দেহের চোখে দেখে আমাদের আসা যাওয়া। পাশের চায়ের দোকানে ভোর হতেই কবির সুমন বাজে। পাড়াটা যেন কেমন সাজে সাজে! শুনেছি, দেয়ালের কানে কানে ছড়িয়ে যাওয়া রিউমারে ছেয়ে গেছে তাবৎ গ্যালাক্সি। আমরা বিব্রত হই, আমলে না নেওয়ার ভান করি। সবশেষে সবকিছু হোল্ড করে, সেই সাইকেডেলিক সন্ধ্যায়, দিনের শেষকৃত্যে— ঘটিয়ে ফেলি ছড়িয়ে যাওয়া যত জনপ্রিয় মিথ্যে। বায়োগ্রাফি আমরা উঠানটাকে আকাশ ভেবে মণ্ডপ থেকে একটু ডানে নতুন ডানায় উড়ছিলাম দুর্গাপূজায়- অক্টোবরের রেইনে শতাব্দী পর, পুনর্মিলন ঈদে। ব্যালকনিতে খুনসুটি, লোডশেডিংয়ে মোমে, যোমের মতো সম্মুখে চোখে সুরমাওয়ালা স্পাই- এই বুঝি ধরল চির, আমাদের অসাম্প্রদায়িক প্রেমে! এখন ভারী বর্ষণ হচ্ছে, ধুয়ে যাচ্ছে সব ভুল; আমাদের তাড়া করছে সবাই- হাতে নিয়ে ধর্মের ত্রিশূল। |
3 Comments
অনেকটা ফালতু টাইপের লেখা।
ReplyDeleteনা আছে কোনো ইমেজ। না আছে কোনো উপমা।
এইগুলাও আজকাল কবিতা বলে চালানো হয়!
ইমেজ আর উপমাই কবিতা না; একেকটা অনুষঙ্গ মাত্র। আর এখানে ইমেজও আছে, উপমাও আছে। আগে জানা দরকার ইমেজ আর উপমা বলতে আপনি কি বোঝেন।
Deleteদারুন। তিনটি কবিতাই ভালো লাগলো।
ReplyDelete