নবীন এর কবিতা






প্রেম ও প্রশ্ন

পুরনো প্রেম বেহুলা বিশ্বাস নিয়ে জেগে উঠে আবার।
ফলে মন ভুলে যায় নদী,ভাঙ্গন, রীতি। 
তারপর প্রেজেন্ট চাঁদের মতো আলো ছড়াতে থাকলেও কেবলি লেনদেন হয়ে উঠে প্রেম।
পারস্পরিক রসায়নে রসের স্বল্পতা দেখা দেয় পুনরায়।
প্রশ্ন জাগে প্রেম বিজ্ঞান নাকি কলা?
সময়ে ডুবে যেতে যেতে তারপর শুধু 
প্রশ্ন বেড়ে যায়। 



যদি একদিন

যদি একদিন এই পৃথিবীতে ফোকলা হাসির মতো সকাল নামাতে পারি তবে আমরা মুখোমুখি হবো আমলকি গাছের তলে।
সমস্ত যন্ত্রণাকে অনুভুতিহীন করে মিটিং- এ বসবো হৃদয় বিছিয়ে। আমাদের মিলন দেখেই পৃথিবীতে ফুল ফোঁটার শব্দ শুরু হবে। অন্ধকারের হাতেরা নিজেদের শুদ্ধ করতে শুরু করবে।
আমাদের আলোচনার সমস্ত শেষ হলে 
আমরা এই সিদ্ধান্তে উপনিত হবো; এই পৃথিবীতে মিথ্যা, দারিদ্র্যের ক্ষুধা এমনকি আর কোনো অন্যায় থাকবেনা।
যদি একদিন তেমন দিন চলে আসে 
তুমি থেকে যেও শুধু আমার-ই পাশে।



প্রস্তাব

ধরো আমি যদি উত্তাল নদী হই
তুমি কি মাঝি হয়ে ছুঁয়ে দিবে সমস্ত ঢেউ!
সাদা কাশফুলে জড়াবে কি তোমার মন!
দুরের অস্পষ্ট ছবির সাথে মিশবে কি
আমার সাথে! আর যখন চলতে চলতে হবো ক্লান্ত শোনাবে কি গান। রাত্রিতে কি চাঁদ হয়ে কাছে রবে জলে।
অথবা ধরো আমি হয়ে গেছি বাঁশি
তুমি কি সমস্ত আবেগ দিয়ে তৈরি করবে সুর। 
যে সুরে ব্যথারা ভুলে যাবে দুঃখ দিতে।
চারদিকে সৃজন হবে খুশির নাচন।
কিংবা ধরো আমি যদি প্রেমিক হই
আর সর্বস্বান্ত হয়ে যাই ভালবেসে তোমাকে।
দিবে কি একটুখানি ব্যথা,প্রেমের ব্যথা।
যে ব্যথা গায়ে মেখে আমি পারবো
মেঘ থেকে জল নামাতে আর পৃথিবীকে করতে  শান্ত।



সে চলে যায়

আমরা কতরাত চাঁদ খেয়েছি বাদামের মতো
কত আকাশ ভিজে হৃদয়ে বেঁধেছি ক্ষত।
ব্রীজ না হওয়ার যন্ত্রণা গায়ে মেখে
একা পরে থাকে যে কালভার্ট  পুকুরের পাশে সেখানেও ভুতুরে আঁধার ধরেছি কতবার।
কতবার আমরা কাঁঠালের ঘ্রাণ ছড়িয়েছে, বসেছি আলোচনায়,অথচ কিছুই হয়নি।আজও রাস্তায় জ্যাম হয়,মানুষ  মরে এক্সিডেন্ট হয়।
কতবার আমরা আলোচনায় পার করেছি রাত তবুও হয়নি কিছুই । এখনো সংসার বুঝেনি শহর।কতবার আলোচনা হয়েছে বাঁধনের তবু ফুটপাতে সংখ্যাই বেড়ে চলেছে শুধু।কতবার মুখস্ত হয়েছে মৌলিক অধিকার তবু্ও ক্ষুধাই বেড়েছে শুধু।
কতবার প্রতিশ্রুতি হয়েছে পাশে থাকার তবুও চলে গেছে সে। অথচ...
আমরা কতরাত চাঁদ খেয়েছি বাদামের মতো
কত আকাশ ভিজে হৃদয়ে বেঁধেছি ক্ষত।



ভালবাসা

জোড়া ওই প্রেম চোখে লিখে দেবো বেদনার
ঘামে ভড়া কাব্যে যাবে ভুলে হাহাকার।
রাত্রির আলোতে ঘুচে যাবে দিনেদের 
ছোট বড় মৃত্যু জীবনের ঋণেদের।
সংসার বেঁধে দিবো আঁচলের লালে
নিয়ে যেও হাতে ধরে মৃত্যুর কালে।
ওই চুল হবে পথ প্রতিরাতে যাত্রার
কবিতা ঝড়বে দেহে প্রেমের অক্ষর মাত্রার।
কোলটা থাকবে ভরে মিষ্টি ছন্দের 
সুর হবে সৃষ্টি তুমি আমি দ্বন্দের।



উপলব্ধি 

ভাবছো কিছুই বুঝোনা তুমি
দায়বদ্ধতার  কোনো ভার নেই।
কিন্তু একদিন ঘড়ির কাটা গিলতে গিলতে
বুঝে যাবে ক্যালরি আর দ্রব্যের ব্যবধান।
নিজস্ব পকেট মুখস্ত করতে  করতে বুঝে যাবে
ব্যক্তি,ভালবাসা আর সংসার।
গতির সূত্র গায়ে মাখতে মাখতে
 বুঝে যাবে চৌকাট।
 তারপর চৌকাঠের টান একদিন প্রেমিক 
 করে তুলবে তোমাকে।
 অথচ দেখবে প্রেম বিলানোর আর কোনো
 অবশিষ্ট নেই কোথাও। 
 দেখবে তুমি কঠিনতম গদ্যের এক
 অবহেলিত শব্দ শুধু।



Post a Comment

0 Comments