হিরণ্য হারুন — এর কবিতা

 


বিস্তৃত মায়া

 

বিস্তৃত প্রান্তর প্রজ্জ্বলিত, উজ্জ্বল আলো

পাথরে সজ্জিত গোলাকার এই ধরা

নয় সেই মেঘের মতো

সন্ধ্যায় যার দ্রবীভূত সোনালী ছায়া

প্রতিভাত হয়ে উঠে

পরিপার্শ্বে ব্যাপ্ত অরণ্যছায়া

অনাগত দিনে উদ্ভাসিত নতুন জীবন

প্রতীয়মান, বিস্তৃত উপত্যকা এবং পৃথিবী

ফুলের সম্ভারে হয়ে ওঠে পূর্ণতর,

আনন্দিত দিনের স্মারক

নদী, প্রান্তর, সকল বস্তু ও প্রাণ

মনে হয় হয়ে আছে বিস্তৃত

এবং নগ্ন দৃষ্টিতে উজ্জ্বল

জীবনের উষ্ণতা, বহতা শহরের উচ্চরোল

জীবনের  বিস্তৃতি— পূর্বক্ষণ অধিক সুন্দর।

 

 

 

অন্তর্ঘাত

 

গত একুশটা বছর কেটেছে নিঃসঙ্গতায়! মৃত্যু ঘুমিয়ে

 সময়স্রোতে। শূন্যচিন্তা আমাকে আটকে ফ্যালে।আর

কতগুলো টুকরো স্মৃতি নির্বাসিত।

অথচ সে ববারর বলে আসছে, 'পৃথিবী ডিমের মতো

গোলাকার নয়, চব্বিশ ঘণ্টায় ঠিক সঠিক সময় নয়। '

দ্রুত নিরবতা ভেঙ্গে দেয় পাখির কোলাহল— আমার

স্ক্যান্ডেল।

 

পান করি বিশুদ্ধপানি— আত্ম-রক্ষণাবেক্ষণে ব্যবহার

করি মদ। তারপরো নিঃসঙ্গতায় অন্তর্ঘাত অন্তর্জগৎ।

 

Post a Comment

0 Comments