গল্পের মানুষ
এক অদ্ভুত মায়ায়মাঝে মাঝে মন মিশে যায়
আমি হারাই হারানো স্মৃতির দিনে
টুপটাপ ফোঁটা ফোঁটা
নানা রংয়ের রঙিনে
মস্তক জুড়ে, যেন জলছবি আঁকা
ভ্রমণগামী মেঘের মতো অশ্ব সাওয়ারি হয়ে
আমি বারবার আমাকেই অতিক্রম করি
সবজান্তা আমার অহং
পরে থাকে পদচিহ্নের কাছে
আমি তখন হাওয়ারই দ্বিতীয় রুপ
আর হৃদয়ের সেই অজানা কূপ
যাকে প্রেম জানো তুমি
তা হতে জলের নামে যা তোলো
সে তো আমারই অশ্রু
হে আমার প্রতিবিম্ব, বলো—
কি এমন হারিয়েছি আমি
যা জন্য অহেতুক
দাড়াতে হয় তোমার সমুখ
আমি কি কোন কৃতদাস
মায়ার মোহনীয় শেকলে অহেতুক বন্দী ?
আমার চোখে লেগে আছে অনন্তের ঘুম
জ্ঞানের এ প্রবেশদ্বার যদি
কখনো বন্ধ হয়ে আসে
বুঝবে সব পাতা ঝড়ে গেছে সেদিন
মানুষ তো আসলে একটি রুপকথা...
প্রেমিকের প্রতি
ছিমছাম ছোট্ট এ ঘরে
দেয়ালে ঝুলানো একতারা টুংটাং বাঁজে।
আমার চোখ হয়ে বেলকনিতে ফোঁটে ফুল!
মাঝে মাঝে বইগুলোর কাছে যাই
বদ্ধ এ ঘরে তবু ভালোই লাগে,
এর দেয়াল জুড়ে, তোমার আমার কথারা
কবিতা হয়ে ভাসে,
বেলকুনিতে অচেনা এক পাখি আসে
নাম জানিনা বলে তাড়াই না
দেখতে থাকি, ডাকশুনি
তোমাকে 'ভেবে ওর অপেক্ষায় থাকি...
২.
আমি শুনি
তোমার অজস্র কথামালা
মিথ্যের আদলে তুমি
যা, আসলে বানিয়ে বলো।
আমি শুনি
শুনতেই থাকি বিরক্তহীন।
ভালো লাগে
ঠিক কতটা
তা হয়তো বলার সাধ্য নাই
তবে, মনে হয় তখন
বেহেশতে আমি –
৩.
মিথ্যের মৌসুমে
সত্য ভেবে
যে ফুল বাগানের কথা শোনাও
তা তোমারই চিন্তার সৃষ্টি !
আমি অতোসব ভেবে পাইনা বলে,
শহরময় জীবন্ত বৃষ্টি
আর নদী যতই শুঁকাক
তোমার দুয়ারেই আছে জীবন বাঁক—
.
এমন অবসাদে ডুবে যাচ্ছি, আমার যেন কূল নাই —
কেবলই দ্বিধান্বিত জলে সাঁতরাই,
পা বাড়াই ব্যাথা বিছানো পথে...
এতোসব সুন্দর, তার আড়ালে বিভৎস, রং-চটা
জেনে-বুঝে বুদবুদ উসকে দেই, কৌতুহলের —
জানি না আগামী, তবু যেন সবজান্তা আমি,
ক্রমশ ধূমায়িত গৃহে আটকে যাচ্ছি,
অথচ তুমি পাশে আছো, প্রণয়ের সঙ্গী
কিন্তু এ সময় আমাকে সুকৌশলে, গোপনে
নির্দয়ভাবে করছে একা, অজন্ম পথশিশু —
ভিন্ন তাঁরার ঋতুতে,
আমি সবসময় চাঁদের কামনা করেছি;
মৃত-ডাল কুঁড়িয়ে জ্বেলেছি শীতের আগুন—
মানুষ স্বপ্নে কত কিছুই না দেখে...
মৃত-মুখ। শ্মশান। কবরখানা। হিজিবিজি
অনেকেই শঙ্কিত হয়। ব্যাখ্যার জাল ছড়ায়;
আমি স্বপ্নে শুধু পতাকা দেখি !
একটি দেশ আসলে কত বড়?
শুধুই কি মানচিত্রের মাপ?
পতাকা জড়ালে দেশ। ওড়ালে স্বাধীনতা।
আমি শুধু স্বপ্নেই স্বাধীন —
মৃত্যু আসতে পারে
যখন, তখন
আহারের আগে, পরে,
খেতে-খেতে,
মৃত্যু আসতে পারে
ঘুমের মধ্যে ঘুম হয়ে,
বসে বসে পরচর্চা করছো
বা ধুমপানরত,
যে কোনো নারীর সঙ্গমে,
অভাব অনটনে,
কিংবা রাজনৈতিক মিছিলে,
নতুন আইন প্রণয়নে,
কারো জানাযায়,
মৃত্যু হতে পারে
বিবাহ বিচ্ছেদে,
অপরিকল্পিত সড়ক ব্যবস্থায়,
বাড়ি থেকে রাগ করে গেলে,
বাসর ঘরে,
যে কারো বিয়ের দাওয়াতে,
বাইক চালাতে-চালাতে,
রাস্তা পার হতে,
বা রাতে ভূতের ভয়ে,
কিস্তি দিতে না পেরে,
জুয়ার আড্ডায়,
অথবা জায়নামাজে,
ঈদের দিন,
বাবার কবর জিয়ারতে,
মরণ হতে পারে
উচ্চ রক্তচাপে,
মিথ্যে বলায়,
বাউলের গানের আসরে,
পীরের মাজারে,
মেলা বা পূজায়,
পাখির সকালে,
আযানের সন্ধ্যায়,
মরণ হতে পারে
যখন, তখন
দেখো, কী আশ্চার্য ভাবে
কবিতা পড়ার সময় টুকু, বাঁচলে তুমি !
আমি শুনি
তোমার অজস্র কথামালা
মিথ্যের আদলে তুমি
যা, আসলে বানিয়ে বলো।
আমি শুনি
শুনতেই থাকি বিরক্তহীন।
ভালো লাগে
ঠিক কতটা
তা হয়তো বলার সাধ্য নাই
তবে, মনে হয় তখন
বেহেশতে আমি –
৩.
মিথ্যের মৌসুমে
সত্য ভেবে
যে ফুল বাগানের কথা শোনাও
তা তোমারই চিন্তার সৃষ্টি !
আমি অতোসব ভেবে পাইনা বলে,
শহরময় জীবন্ত বৃষ্টি
আর নদী যতই শুঁকাক
তোমার দুয়ারেই আছে জীবন বাঁক—
.
করোনাকালীন
এমন অবসাদে ডুবে যাচ্ছি, আমার যেন কূল নাই —
কেবলই দ্বিধান্বিত জলে সাঁতরাই,
পা বাড়াই ব্যাথা বিছানো পথে...
এতোসব সুন্দর, তার আড়ালে বিভৎস, রং-চটা
জেনে-বুঝে বুদবুদ উসকে দেই, কৌতুহলের —
জানি না আগামী, তবু যেন সবজান্তা আমি,
ক্রমশ ধূমায়িত গৃহে আটকে যাচ্ছি,
অথচ তুমি পাশে আছো, প্রণয়ের সঙ্গী
কিন্তু এ সময় আমাকে সুকৌশলে, গোপনে
নির্দয়ভাবে করছে একা, অজন্ম পথশিশু —
স্বপ্নদেশ
ভিন্ন তাঁরার ঋতুতে,
আমি সবসময় চাঁদের কামনা করেছি;
মৃত-ডাল কুঁড়িয়ে জ্বেলেছি শীতের আগুন—
মানুষ স্বপ্নে কত কিছুই না দেখে...
মৃত-মুখ। শ্মশান। কবরখানা। হিজিবিজি
অনেকেই শঙ্কিত হয়। ব্যাখ্যার জাল ছড়ায়;
আমি স্বপ্নে শুধু পতাকা দেখি !
একটি দেশ আসলে কত বড়?
শুধুই কি মানচিত্রের মাপ?
পতাকা জড়ালে দেশ। ওড়ালে স্বাধীনতা।
আমি শুধু স্বপ্নেই স্বাধীন —
বাঁচা, মরা
মৃত্যু আসতে পারে
যখন, তখন
আহারের আগে, পরে,
খেতে-খেতে,
মৃত্যু আসতে পারে
ঘুমের মধ্যে ঘুম হয়ে,
বসে বসে পরচর্চা করছো
বা ধুমপানরত,
যে কোনো নারীর সঙ্গমে,
অভাব অনটনে,
কিংবা রাজনৈতিক মিছিলে,
নতুন আইন প্রণয়নে,
কারো জানাযায়,
মৃত্যু হতে পারে
বিবাহ বিচ্ছেদে,
অপরিকল্পিত সড়ক ব্যবস্থায়,
বাড়ি থেকে রাগ করে গেলে,
বাসর ঘরে,
যে কারো বিয়ের দাওয়াতে,
বাইক চালাতে-চালাতে,
রাস্তা পার হতে,
বা রাতে ভূতের ভয়ে,
কিস্তি দিতে না পেরে,
জুয়ার আড্ডায়,
অথবা জায়নামাজে,
ঈদের দিন,
বাবার কবর জিয়ারতে,
মরণ হতে পারে
উচ্চ রক্তচাপে,
মিথ্যে বলায়,
বাউলের গানের আসরে,
পীরের মাজারে,
মেলা বা পূজায়,
পাখির সকালে,
আযানের সন্ধ্যায়,
মরণ হতে পারে
যখন, তখন
দেখো, কী আশ্চার্য ভাবে
কবিতা পড়ার সময় টুকু, বাঁচলে তুমি !
0 Comments