হাদিউল হৃদয় এর সাক্ষাৎকার


 লেখালেখি শুরুর গল্প জানতে চাই।

ছোট বেলায় বাবার অনুপ্রেরণায় লেখালেখির জগতে প্রবেশ। তবে মূল সাহিত্যচর্চায় শুরু হয় বগুড়া লেখক চক্রের মাধ্যমে। কবিতা, ছড়া লেখার চেয়ে সাম্প্রতিক বিষয় ফিচার লিখতে বেশি পছন্দ করি।   

প্রায় লেখক সম্মানী / রিয়ালিটির বিষয়ে প্রকাশকদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন। আপনার অভিজ্ঞতা কেমন?


ছোট কাগজে লেখা প্রকাশের আগ্রহ অনেক বেশি। যেহেতু ছোট কাগজে বিজ্ঞাপন থাকে না, সম্মানী না পেলেও লেখা প্রকাশের পর অনুভূতি অন্যরকমের হয়। এতে সম্পাদক/প্রকাশককের বিরুদ্ধে কোন অভিযোগ নেই, বরং তাদের প্রতি কৃজ্ঞতা প্রকাশ করি। দৈনিকে নিয়ে আমার কোন মতামত নেই! 

কী লিখতে এসেছিলেন?


প্রথমে কবিতা, তারপর ছড়া এবং মূলত লিখছি ফিচার। 

ফিচারে আপনার স্বপ্ন এবং সত্ত্বাকে কতোটা ধরতে পেরেছেন?


আমি আমার লেখা চালিয়ে যাচ্ছি, ফিচারগুলো জাতীয় দৈনিকে প্রকাশ পাচ্ছে। স্বপ্ন দেখি আমার মৃত্যুর পর লেখাগুলো আমাকে বঁাচিয়ে রাখবে। ফিচার আমার সত্তাকে কতোটা ধরে রাখতে পেরেছি এটা মূলত পাঠকের কাছে।   
 

লিটল ম্যাগাজিন আন্দোলনে তথাকথিত প্রতিষ্ঠান বিরোধিতার আপনার বিশ্লেষণ কী?


এ আন্দোলনে আমি একজন সৈনিক। সুতরাং আমার কোন বিরোধিতা নেই।  

আপনার সম্পাদিত লিটল ম্যাগাজিন ‘হৃদয়ে চলন’ মূলত কোন কনসেপ্ট ধারণ করে। কেন?


ক্ষুদ্রতার ঊর্ধ্বে ওঠার চেষ্টা। মুনাফা নয়, সাহিত্য চর্চার মুক্তাঙ্গন তৈরি করার লক্ষ্য নিয়েই সেপ্টেম্বর ২০১৫ সাল থেকে যাত্রা শুরু করেছে ঐতিহাসিক চলনবিলের নামে নাম করণ তাড়াশের একমাত্র শিল্প-সাহিত্য-সংস্কৃতি বিষয়ক ছোটকাগজ ‘হৃদয়ে চলন’। এক সময় চলনবিলে প্রচুর স্লোত ছিল। তখন এ অঞ্চলে লেখক সাহিত্যিকদের লেখার গতিও চলনের মতোই। কিন্তু কালের বির্তনে হারিয়ে যাচ্ছে চলনবিলের স্রোত, হারিয়ে যাচ্ছে লেখকগণ। ‘হৃদয়ে চলন’ চলনবিল এলাকার লেখকদের পাশাপাশি সবসময়ই নতুন সৃজনশীল লেখকদের অগ্রাধিকার দিতে চায়। দিতে চায় সাহিত্যের প্রতি আগ্রহের সামান্য অগ্নিকণাকেও, যেন দাবানলে পরিণত করা যায়। সেই পথকে সুগম করে তুলতে চায় সবসময় এবং পাশাপাশি প্রবীণরা চলার সঙ্গী তো আছেই। 

ফিচার নিয়ে আপনার ভবিষ্যৎ কোন পরিকল্পনা ও তারুণ্যের দায় সমর্পকে জানতে চাই।


জ্বি সবসময় ফিচার নিয়ে চিন্তা করি, পরিকল্পনা করি। পরিকল্পনা আর চিন্তা ছাড়া ফিচার লেখা সম্ভব না। ঐতিহাসিক চলনবিল এবং সমসাময়িক বিষয় নিয়ে লেখার চেষ্টা করি। আমি মনে করি, বর্তমান সময়ে তরুণদের সমযুগপোযোগী লেখা প্রয়োজন। কারণ আমরা পাঠাকের কাছে দ্বায়বদ্ধতায় থাকি, থাকি সামাজিকভাবেও। 




Post a Comment

0 Comments