অপ্রত্যাশিত স্পর্শ
অভিশাপ দেই সেই প্রেমিককে
যার ঠোঁট আমার ঠোঁট ছুঁলে কেঁপে উঠি না।
অথচ–আকস্মিক অপরিচিত চোখের স্পর্শে,
তোলপাড় হই রোজ।
চোখ
চোখের কলসিতে ক্রমশ ঢিল ছুঁড়ছে-
একটি দাঁড়কাক।
তার খুব জলের তেষ্টা
জলের নেশায় তার যমজ পকেট ভর্তি নুড়ি ;
আমি চাই –
বুকের ক্ষতয় ড্রেসিং করে, তাকে-পত্রে লিখি
আমি ভালো নেই
নেই ভালো আমার এই দুটো চোখ।
তোমার আঙুল-মোহমন্ত্র
তোমার আঙুল লিফলেট
তোমার আঙুল রাইফেল
তোমার আঙুল বিষের ছুরি
তোমার আঙুল চৌদ্দশিকের জেল
যে তোমার আঙুল ছুঁয়েছে -সে নির্ঘাত মরেছে
জনমের মত মরেছে, অকালে মরেছে-
যে তোমার আঙুল ছুঁয়েছে -করাতে কেটেছে-আগুনে পুড়েছে -প্রেমে মরেছে, সত্য।
আপনার প্রেমিকা হতে চাই
শুনেছি–
পিথাগোরাসের মারপ্যাঁচ বোঝেন; ক্যামিস্ট্রি মোটেও বোঝেন না। অথচ কী না পিওর ব্যাচেলর..
ঘরে ইঁদুরের সাম্রাজ্য, মনে জং ধরেছে
আপনার ঠোঁটে ছাপ পড়েছে আগুনের;
একবার সুযোগ দিন না প্লিজ—
চুমুর ছাপ ফেলে দিই...
শুনেছি–
ইদানীং চায়ে চিনি ঢালছেন বেশি।রোজ রোজ হাত পুড়িয়ে ফেলছেন। ভুলে যাচ্ছেন স্বল্পায়ু জীবনে একটি প্রেমিকা থাকা কতটা জরুরী।
একটি সুযোগ দিয়েই দেখুন প্লিজ,
তল্পিতল্পা গুটিয়ে আপনার ভেতরে ঢুকে পড়ি; প্রেমিকা হই–
প্রেমিকা হয়ে খুব করে গুছিয়ে দেই আপনাকে।
অজান্তেই— কত কী আছে তোমার!
যতবার হাসো—একটি গাছ রোপন করি অন্তরে।
জানো কী মেয়ে, সাতশত আট কোটি অর্জুন গাছ ধীরে ধীরে বড় হচ্ছে হৃদয়ে? তুমি—বিষ ছড়ালেও তা শুষে নিয়ে অক্সিজেন ফিরিয়ে দেয়ার মত এতটা বনাঞ্চল হৃদয়ে নিয়ে ঘুরে বেড়াই এখন ।
যদি ঘৃণা দাও অথবা বিষ, যা-ই দাও–
বনাঞ্চল বাড়ুক—বনাঞ্চল বাড়িয়ে চলেছি নিরন্তন
হাসি থামিও না মেয়ে—হাসতে হয় অনন্তকাল।
সমুদ্র— ভালো লাগে না মেয়ে তোমার.. তাই অশ্রু লুকিয়ে পাহাড় গড়েছি অন্তর্লীনে। সিঁড়ি কাটি; কাটতে কাটতে ঘর পাতি ; সেই ঘর নিয়ে ঘুরে বেড়াই অন্তরপুরে। যদি ক্লান্ত হও, এসে জিরোও, শুতে চাও, ঘুমোতে চাও—
যদি নাই চাও —ঘরে আলো জ্বলে—জ্বলুক, ঘরে জোনাক জ্বলে—জ্বলুক। পাহাড় কেটনা মেয়ে—পাহাড় কাটতে নেই।
যদি তৃষ্ণার্ত হও, হও যদি, জেনো —
একটি মিঠা নদী আজন্ম বয়ে বেড়াই ঠোঁটে।
অথচ—এক কোটি বছর! এক কোটি বছর
কত অজানা ঘর, বনাঞ্চল ও নদী আছে তোমার -অজানাই।
শশীকাব্য
এই জ্বরের জীবনে — তুমি
একটুকরো শীতল জলপট্টি।
২
তোমাকে চাই জীবন ও যৌবনে
তোমাকে চাই জান্নাতী জংশনে।
৩
যদি বলি— ভালোবাসি না, জিভ খসে যাবে
যদি বলি—তুমিহীনা বাঁচা যায়, সশব্দে ভেঙে পড়বে আকাশ।
মাহবুবা
রসায়ন
চলো না দুজন লুটোই
চলতে চলতে আঙুলে ঠোঁটে
কামড়ে ধরুক দুটোই;
আমরা দুজন আদিম খেলায়
আমরা দুজন অন্ধ
আমরা দুজন এক কামরায়
এক যুগ হতে বন্ধ।
শূন্যতা
বাবার প্যান্টের পকেটে থাকতো একটি শূন্যতার চুইঙ্গাম;
আমাকে,
আপেল
আঙুর
বেদানা কিনে দিয়ে
পাত থেকে বারবার মাছ তুলে দিয়ে
বাবা এক জীবন চিবিয়েছেন চুইঙ্গাম;
এখন,
বাবার কবরে মুখ রেখে চিৎকার করে বলি,
গত একশতক ধরে, আমিও তোমার ফেলে যাওয়া চুইঙ্গাম চিবুই বাবা।
শুনতে পাচ্ছো?
🔳বাবা এত দূরে যেতে নেই, ১৯-০৭-২০১৪ কী করে ভুলি তোমার চলে যাওয়া দিন।
3 Comments
এত অপূর্ব লেখনী
ReplyDeleteএকবার নয়, বারবার পড়ি
ধন্যবাদ
Deleteধন্যবাদ
ReplyDelete