জুবায়ের দুখু’র কবিতাগুচ্ছ

 




কাল্পনিক কৌশল 


টিভির বক্ষ ছিঁড়ে বেড়িয়ে এলো 
একটা আস্ত অজগড় 
তুমি দেখলে— এবং ভয় পেলে সম্ভবত! 
আমি ভাবছি— সাপটি যদি, আমি হতাম,
তুমি কোথায় যেতে?
ঘরদোর ফেলে। এই মাগরিবের ওয়াক্তে?



ঘাসফড়িং 


ঘাসফড়িং নাচে দেখো...
বন-বনানী সবুজ ভূমির উপর। 
তার উপর আকাশ। 
বাতাসে সাইরেন বাজছে, দেখো...
নিষিদ্ধ গোলাপের সুভাষ! 
ঘাসফড়িং তুমি কোথা যাবে?
ঘাসফুলে না নিষিদ্ধ গোলাপ বাগানে?




তুমাগো বাড়ি 


একটা রাস্তা ধরে হাটা ধরলে 
বেড়িয়ে আসে সাপের মতো আরেকটা রাস্তা। 
পাবনার শহর অপরিচিত স্থান 
তুমাগো বাড়ি কোন রোডে— বলে দাও,
আরেকটা রাস্তা কামড়ানোর আগেই।




যা-ই কাতুল মায়ূত


জানালা খুলে তাকালে 
দেখা যায়— দূরে গোরস্থান 
সেখানে বাবা জিকির করছে 
কালিমা পড়ছে খোদার 
বুনো শেয়ালের খোদাই করা গর্তে 
বেড়িয়ে আসে বাবার হাত-পা হার হাড্ডি 
সে-দৃশ্য কেউ দেখলে জপে—
কুলহি নাফসি যা-ই কাতুল মায়ূত। 




মধুমিতা 


কয়েকটি কবুতর পোষে
চন্দ্রিমা দেবীর ছোট বোন মধুমিতা। 
ছাদের উপর বাক-বাকুম ডাক
শস্য ছিঁটানো উঠোন—
কখনো ভুল ক্রমে কবুতর; কটি 
বাহিরে আসে না বেড়াতে 
আসলে— মধুমিতাকে লেখা চিঠি গুলো খেতে দিতাম তাদের।



Post a Comment

3 Comments