তোমার বেহালা
বিবিধ বিষের মতো শুয়ে আছি। সমস্ত দিনশেষে স্বাদে। বিবিধদিনশেষে
বিষাদে। অন্ধকার থ্যালাসেমিয়া, অন্ধকারনিদান, বিষবাষ্পের কণা উড়ছে।
শরীর ছায়া হলে পাখি কলরব, পাখি জাগরণ, পাখি জাগেনা।
সন্ধ্যা অসারতা, কাল অসারতা, তিন দিকে ফটফটে আলো।
কোথাও নিমিত্ত নেই। গলি-ঘুপছি নেই। ছায়া আছে, মাংসের পানির ঘ্রাণ।
তোমার বেহালা নিচু হতে হতে অসুরে নেমেছে। এই বাষ্পবায়ু, এই উদগ্র টান,
তরকারি মন চড়া হতে হতে কিচেনে মজেছে।
তরুণী ডাহুকি
ধাওয়া খাওয়া মাছির মতো বিষম ক্লান্তি—হাড়জুড়ে। অন্ধ প্রতিপালকের দেশ—বিভীষিকা আছে।
ভাটির মাটির টানে নদী নেমে গেছে। গুরু বেশে মূলাধারে কামনা—সে থাকে দুধের রুধির মতো।
পৃষ্টতায় ক্ষয় হলো অগভীর ধারা—একশত ভাষা। প্রীতি ও প্রত্যুষের যপে
তলপেটে লুকানো শৃঙ্গার। সে তো অন্ধ প্রতিপালক—চোখে চোখে বিফল।
কয়েন ছুড়েছে তরুণী ডাহুকি। সে আছে ফলের নিভৃতে।
একশত চুমুর লণ্ঠন
যেটুকু আয়ত্বে এলো তার প্রণোদনা ও তরঙ্গ আমার।
দূর গমন। দূর ব্যঞ্জন। একশত চুমুর লণ্ঠন!
কে অধিক?
এই যে একতারা
এই যে ছায়াধারণা
উহ্য মুদ্রা—এ কেবল আক্রমণ।
পেয়ারার বন সহাস্যে লুটায়
ছিলে তো ঘাসের মাদুর। মধু-মধু চুম্বন।
ছিলে তো
দুধের নিনাদ,
আপন আধেক,
ভূমিতে পল্লব।
ছিলে তো খেতের থইথই সুর।
ঘন হতে-হতে ভূমিতে মিশেছো।
পেয়ারার বন সহাস্যে লুটায়—
তোমার বিয়োগ শূন্য পেয়েছে,
তোমার পাখি অন্ধ সরীসৃপ।
তুমি কল্পনা করো ম্যাজিক মোমেন্ট
সত্যি বলছি, সম্মুখে আমি আর নাই। এই সুরা ও সুরপথ ভ্যাপসা ঋতুকাল।
তুমি কল্পনা করো ম্যাজিক মোমেন্ট, গরমকাল। কদাচিৎ হেঁটে যেতে চাই।
সম্মুখে ঋতু পরিবর্তন
সম্মুখে পতন
সম্মুখে খেলা
সম্মুখে আমি আর নাই।
ঋতু পরিবর্তনের কালে পাতারা জানে বদল, প্রণয়ে মৃত্যুর প্রক্রিয়া।
0 Comments