জাতীয়তাবোধ সিরিজ
১)
মেঘ করেছে। জলাভূমির ইন্টারভিউ নিতে হবে। কিভাবে রিফ্রেশ করা যেতে পারে জলস্তরের শরীর! আকাশও খুউব তৎপর আজ।
এত জল! এত কর্মকাণ্ডের অনুপুঙ্খ বিশ্লেষণ!
বাষ্প নিঃশ্বাসের সুগভীর ভাবনার প্রতিফলন!
সেই জলেই জলপতন!!
আয়
বৃষ্টি
আয়...
২)
বন। গভীর পরিখা দিয়ে ঘেরা। যাতে শত্রুপক্ষের প্রবেশ অনধিকার চর্চার সামিল । যারা চারাগাছ! যারা মধ্যবয়সী মেয়ে হয়ে ফল দানের জন্য রজঃস্বলা! আর, যারা বৃহতের সম্ভাবনা থাকলেও বনসাই।
ফরেস্ট রেঞ্জারের বাইনোকুলারে আজ তারা সকলেই কান্ডে ধুসর হলেও পাতায় সবুজ মাখানো জলপাই রঙা গাছ। রেইন ফরেস্টের ডাকে সাড়া দেওয়া একটা গাই-গরু ডাকছে সকাল থেকে- হাম্বা...
মা, আজ কেবলই আকাশে জল- দোহনের কাল।
৩)
বানভাসি হওয়ার পর তাকিয়ে দেখি স্বচ্ছ জলে খেলা করছে মাছ। রাস্তার নরকে স্থান পেয়ে গেছে সেই গাছ সেজে থাকা পাগলের সুখ। দুঃখ কি?
বানের জলের স্রোতে, চাঁদ নিয়ে গেছে গাছের বাসা। বলা ভালো - জল নেয় যেমন, ফিরিয়ে দেয় দেশ ও আন্তর্জাতিকতা।
তাকিয়েই আছি জলের দিকে। ওইখানে ঘুমন্ত পাখির ডাকে অরণ্যের ভিতর গাছ-পাগলের অমাবস্যার চাঁদ।
৪)
বনভূমিতে ফলমূলের যোগানও বাড়িয়ে দিলাম আমরা ক'জন। গ্রামবাসী শিশুদের চিৎকার- আলো আলো....
সমস্ত সেনা সদস্যদের উঁচু খাঁচাতে এখন তিন সত্যির সূর্যের হ্যালোজেন।
৫)
পাখিদের সুখদুঃখ অপ্রকাশিত। শিশুদের সাথে মিশে যেতে পারে, এমন ডাক শুনতে শুনতে কখন যেনো চোখ আঁটকে গেলো খুচরো আলাপের দিকে।
পাখিসব আর শিশুদের সম্মিলিত বাইচ উৎসবে আমি এক স্বপ্নদ্রষ্টা।
৬)
পূর্বপুরুষদের আত্মার অভয়ারণ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছি। অল্প আলোকে ক্রমশঃ বাড়িয়েই চলেছি রোদের তাপমাত্রা । সেই হিসেবে আমি একজন আবিষ্কারক। এই যে, 'একদা', বনভূমি লেখা সাইনবোর্ডটি ফুটপাতের ওপর মহল বানিয়েছে। এখানেই শেষবারের মত রাজা লক্ষ্মণ সেনের বাস্তুভিটার অংশবিশেষ।
একটা ঘুঘুপাখি ছাদে বসে একাকিনী! ফুড়ুৎ শব্দ হতেই দেখি সমস্ত অরণ্য রংমহল হয়ে গেলো।
এখন আমি, এই মহলের হাত থেকে পুরুষানুক্রমিক তালিকা আমার হাতে ধরা বাটিতে তুলে নিলাম। কোথা থেকে যেনো ভগবান বুদ্ধ আবির্ভূত হলেন।
আঃ!!
জন্মদিনের পায়েসের নাম সুগন্ধি দেশ।
0 Comments