মারিয়া আজাদ এর দু’টি কবিতা




শেষ হইয়াও হয় না শেষ

কথারা হলো কেবলই শব্দদুষণ।
অপেক্ষারা ক্রমশ দ্রবিভূত হতে থাকে
দৃষ্টির আড়ষ্টতায়।
মধ্যবিরতির খাবার টেবিলে -
যন্ত্রণাগুলো সমৃদ্ধ এখন।
সমসাময়িকতার ব্যাখ্যাগুলো, বড্ড সেকেলে।

না মানলেও, সত্যিটা সবার জানা,
গাণিতিক কোনও সংজ্ঞা দিয়ে
বিনোদিনীকে বিশ্লেষণ করা হয়নি বলেই,
দাগটা তার শরীর পেরিয়ে অদৃষ্ট ছোঁয়নি কখনও।
অথচ রবীদা'র কলম,
চাইলেই পারত তাকে প্রতিষ্ঠা করে যেতে।

নিজ নিজ স্বকিয়তায় সবার সতন্ত্রতা আছে বলেই
এমন হাজারও গল্প, শেষ হইয়াও হয় না শেষ।



অথবা প্রার্থনা রেখে যাই


কবিতার নিরবতায় যে অভিমান জমে রোজ
তার শিরোনামে এক সমুদ্র অভিযোগ চোখে পড়ে।
তবুও দৃষ্টিরা দৃষ্টি রাখে অনাগতের চয়নিকায়।
প্রচণ্ডরকম কোনও এক অদৃশ্য আকাঙ্খায় তোলপাড় খোঁজে, না মেলা প্রতিশ্রুতির পঞ্জিকা।
ক্যালেন্ডার পাতা রোজই তারিখ পাল্টায়।
গতানুগতিক ধারায় হেঁটে যায় সপ্তাহ, মাস, বছর।
যুগ অতিক্রমে হয়তো শতাব্দীও পেরুবে
স্বয়ংক্রিয় স্রোতধারায়।
কেবল আবেগগুলো সমাধিস্ত হয়েও জেগে রবে
অস্পৃশ্য কিছু প্রাপ্তির মরিচীকায়।
বোবা কান্নারা আছড়ে ভেজাবে চোখের মিসিসিপি;
শুধু বাঁধ ভেঙে তারা বাঁধন হারাবার
স্বীকৃতি পাবে না কভুও।

আচ্ছা কবি?
যে শব্দের খেলায় তুমি রোজ শব্দ গাঁথো
তাদের অন্তঃকরণে মন মিশিয়ে
তুমি ক'বার কান পাতো?
কবার মেপে দেখো ওদের তৃষ্ণার পরিধী?

না না, বিব্রত হইও না,
প্রশ্নবোধক চিহ্নে গাঁথা থাকলেও
কথাগুলো কেবলই, নিছক কৌতুহল।
জবাবের অপেক্ষায় কোনও বাধ্যতা রাখিনি পুষে।
শুধু বলে যাই অথবা প্রার্থনা রেখে যাই
সময় করে কিছুটা সময় বরাদ্দ দিও ওদের;
চোখ রেখো কবিতার ক্ষতগুলোয়।



Post a Comment

0 Comments