বিয়াত্রিচের প্রেম
দাঁড়াও কিছুক্ষণ, এই নাও ছুরি,
উপড়ে ফেলো আমার হৃদয়, এক আঘাতই।
নিস্তব্ধ অন্ধকার রাতে একা একা তারাদের
আনাগোনা দেখতে দেখতে ক্লান্ত দুচোখ!
বৃষ্টি ভেজা পায়ে দৌড়ে সিঁড়ি দিয়ে নামতে গিয়ে,
বুঝলাম পায়ের লিগামেন্টের অবাধ্যতা।
তখন অস্ফুটে তীব্র যন্ত্রণা বেরিয়ে এলো মুখে
প্রথম যন্ত্রণা চিৎকার ছিলো জন্মচমকে,
দ্বিতীয় ছিলো আমার প্রসববেদনায়
আর তৃতীয়টি..
তোমাকে ছুঁতে না পারার।
২.
আর কোনও দিন আসবো না
তোমার কাছে এই প্রণয়প্রার্থী হাত
জানু পেতে থাকবো না কোনও
ছায়াদীঘল চোখে, তোমার অপেক্ষায়।
রাতের নিঃসঙ্গ লাইটপোস্টের কাছে
আর তোমার কথা বলবো না। যেসব,
গোপন অনুভবের ইতিবৃত্ত আঁকা হয়েছিল
কথামালায়, ছায়াহত আজ সব।
তোমার বিরহ শোকে মুহ্যমান তারা।
বিসর্জনের সময়ে, অকালবোধনে,
যে-আত্মহত্যার চিরকুট লেখা হয়েছিল
বিফল মৃত্যুর আগে- বালিশের তলায় রেখে
প্রতিদিন দিব্যি বেঁচে থাকি।
৩.
তারপর একদিন সব অর্গল মুক্ত হবে,
সবার অলক্ষে হারিয়ে যাব কোন অরণ্যের দিকে।
আমাকে খুঁজবে না কেউ জানি,মেঘেরা বৃষ্টিভেজা
পাতার আয়নায় দেখবে আমার প্রতিবিম্ব।
প্রতিটি ভাবনা থেকে বের হবে মাটির আতর।
তারপর ছড়িয়ে যাবে ঘাসে ও আকাশে।
2 Comments
অসাধারণ অনুভব কবি।
ReplyDeleteধন্যবাদ।
ReplyDelete