তৃঞ্চার্ত আগুন...
জলবুকে জীবনগান
মাতাল আষাঢ়িয়া সমুদ্র
আজরাঈল সওয়ারি নুনা জলেরপিঠে
মুহূর্তেই অদৃশ্য, নাকি সাগরতল ছুঁয়েছে তরী
প্রাণ নাশিতে অথৈ পানি ঝড়ো হাওয়া অতিশয়।
ঢেউয়ের তরঙ্গে ঈশ্বর এক টুকুরো কাঠের আলেখ্যে
মৎস্যলুট অনুপ্রবেশ -
এখানে কোনো প্রসঙ্গ নেই অথবা সীমান্ত দেয়াল
নাবিক চোখে ভাসন্ত মানব জীবিতাশার প্রয়াস
অদূরে সবুজ বৃক্ষ আব্দুল মালেক শাহের দ্বীপ।
পরদেশী জেলে শৈত্য দেহ-মুখ, জলে জলে নিথর
নিঃশ্বাস আসে যায় মুমূর্ষ চোখ
দর্শনে পণ্যের জাহাজে নামে এক ঈদের আহ্লাদ।
ফিরে যাও, বসে আছে জননী তোমার প্রতীক্ষায়
ব্যাকুলতার চোখে কতেক রক্তের স্বজন
প্রত্যাবর্তন উৎসবে জানিও ফেলানীর দেশের সালাম
বিদায় রবিন্দ্রনাথ দাশ-
নিষেধের সীমায় রচে দিও সম্প্রীতির নাম৷
অগ্নিকাল
নুনপানির উজানে বয়ঃপ্রাপ্ত পরমায়ু
উত্তাল তরঙ্গ প্রত্যহ সহচর
ঝড়-জলের সাইরেন বিপদগর্ভ সমুদ্র পারে
ডরেনি কবু মন, ভয় যতো ছিলো অগ্নিতে।
যুবামনে যে আগুন পিরিতের দায়ে
তুষের প্রদাহে পোড়ায়
জানি না নির্বাপণ বৃত্তান্ত
আয়ু সওয়ারী কালের ঘোড়ার পিঠে।
এই আগুন এখন বড়ো তৃঞ্চার্ত
দেখো চকবাজার, বনানী, শহর-নগর।
আর্তনাদের করুণ স্বর অনুভূতির আরশে
রক্ষা করো মাবুদ
ভস্ম করে যে আগুন মানুষ রাষ্ট্রের শরীরে৷
বিহ্বল
সারি সারি শিশু দল, চোখ বিহ্বল
সমবেত অবুঝ মুখ কন্ঠতুলে রাজপথে-
ফাঁসি চাই
নির্বাক স্বজন কাতরে ফাটায় বুক বিয়োগ ব্যথায়
আর কতো কি! দেখার আছে বাকি জানি না
কালের এই ধূসর আয়নায়।
পশুর পাল যাত্রার পদধ্বনি মানুষের পাড়ায়
তপাৎ কি! বুঝি না
জীবজন্তু
ইনসান
বিশ্বাসের লম্বা পকেটে দেখি শয়তানের ঠাঁই।
0 Comments