সাত কবির কবিতা





আজাদ বঙ্গবাসী


প্রেমের চুমুগুলো


কোন কোন দিন আমার প্রেমময় হয়ে উঠে
বহু ভুলের গল্প পেছনে ফেলে প্রথম নিবেদন শুরু করি
যৌবন দিয়ে যৌবন মানে সাদারঙের নফস
যেখান থেকে প্রেমের সুর উঠে যায় নীলাভ রূহে
যেখানে ভালোবাসার মহল কয়েকটা আকাশের সমান
তার পর খাদ্যনালীর সবুজ সরলিপি পেরিয়ে কপালের হলুদ মাড়িয়ে
ওই যে মাথার উপর অদৃশ্য নাচো তুমি!
ওরই কালো সমুদ্র থেকে কি সুন্দর নেমে যাও কলমার সুর হয়ে
আমার বাম বুকের নিচে একটু করো কলবের জগতে
একবার দাঁড়াও সেখানে, প্রেমের চুমুগুলো আমার-লালরঙের নাচনে

এই ভাবে একবার- দুইবার- অজস্ররবার- প্রেমের জপ তপে
কোন কোন দিন- কোন কোন রাত- প্রেমিক করে তুলি
মাটির এই পাঁচ হাত গল্পকে
তবুও হে অদৃশ্য! তোমাকে পাবার আকাঙ্খা আর-আমাকে
আবিষ্কারে কামনা যেনো অধরাই থেকে যায়











এস. এম. হাফিজ

ভালোবাসার বৃষ্টি


আমার হৃদয় আজ
তাপদগ্ধ রুক্ষ বৈশাখ
পিপাসার্ত প্রতীক্ষার দাবদাহ
পোড়ায় আরণ্যিক ভালোবাসা

আমার সবুজ অরণ্য পোড়ায়
তোমার বিরহ তপ্ত নিঃশ্বাস

তোমার ভালোবাসা
বৃষ্টি হয়ে ঝরে না
আমার হৃদয় আকাশে
কত না সহ¯্র দিন

তবু প্রতীক্ষায় থাকি
প্রতিটি ক্ষণ প্রতিটি মুহূর্ত
একমুঠো বৃষ্টিমুখর সন্ধ্যার










যাহিদ সুবহান

পণ্য মানুষ


ধীর পায়ে হাঁটো; একটু দেখে যাও
আমাদের এই বিচিত্র জনপদ
আমাদের প্রকৌশলীরা চুিরবিদ্যায় পক্ক
আমাদের ডাক্তাররা যথেষ্ঠ ব্যবসা বোঝে
আমাদের রাষ্টের সেবকরা ভক্ষণে ব্যস্ত
আমাদের রাষ্ট্রনীতি বিচিত্র সার্কাসের মত
আমাদের মতামতগুলো সবজির মত
আমাদের এখানে মানুষ পণ্যের মত
আমরা সবাই পণ্য মানুষ...













আশরাফ খান

কবিতা নারী


নারঙ্গীয় নির্যাস অমীয় সুধা
ধবল গৌরাঙ্গ শাড়ীর আঁচল
ব্লাউজের শূণ্যতায়
কবিতার চেয়ে লাবণ্যময়ী নারী
তপসার তপবনে মৃনাল ময়ুরাক্ষী
সৃষ্টির শৈল্পিকতার ক্যানভাস
চাতকের চোখে ভেলকীবাজী বর্ণছটা
ধ্যানমগ্ন কবির অশরীরী লোম
স্বাপ্নিক ছোঁয়ায় কবিতার চেয়ে
নারীই প্রাণবন্ত

অবগুণ্ঠিত চুম্বনে লাল ঠোঁট
প্রেম কাতর প্রিয়া কাম প্রতীক্ষায়
কবিতার আগমনী বার্তা
কবিতা শব্দাবলীর সুন্দর সজ্জা
প্রচ্ছদ নারী নদী নিলীমা
একাকীত্বে নগ্ন নারীর মগ্নশৈলী
কবিতা চাষাবাদের উর্বর ভূমি









রোমানা ইসলাম

মেঘেদের নাচানাচি


মেঘেদের নাচানাচি আজ আকাশে
বৃষ্টির জলধারা দেখি ঘনবাতাশে
প্রকৃতিতে আলোদের লুকোচুরি খেলা
চারিধারে আজ শুধু শ্রাবণধারা
পথ-ঘাট আর মাঠগুলো জনশুন্য
খাল-বিল, নদীগুলো জলে পূর্ণ
আজ এই বৃষ্টিতে মন যায় ভিজে
ডিঙি নিয়ে ছুটে যাই শাপলার খোঁজে...











কবির হোসেন

মাটি


একদা মাটিকে গোলাপ হতে দেখলো
এক প্রেমিকা,
প্রেমিকটা মাটি চেয়ে নাও বায় চিকমতি খালে

একবার সূর্য ডুবে গেলে ,
একান্নভূজাকৃতি স্বর্গ ঝুলে আসে কেন্দ্রিভূত গোলাপে

মনে পড়ে প্রেমিকার কথা
সে বলেছিলো মাটিটা চোর,
প্রেমিক বলেছিলো বিরোহী

আমাদের খাতায় জমাট বাধে
পুলিশের পকেট,
কাঞ্চনপুরে পড়ে থাকে একমুঠো নিরালা

মাটিকে কবি হতে দেখে মাটি হয়ে যায় কবিতা









 মুস্তফা হাবীব

 অন্বেষণে মানুষ


যে সুইমিংপুলে সাঁতার কেটে
শীততাপ নিয়ন্ত্রিত আবেশে জীবন গড়ে
সে সুখবোধে রাজাধিরাজ

পাহাড়ের ঝর্ণায় ভিজে কেউবা পৃথিবী ভোলে,
নিসর্গে মুগ্ধ, জাগতিক জঞ্জাল দুপায়ে দলে

নদীর প্রবাহ এবং সমুদ্রের ঢেউ না দেখা
পুকুরের সোনালি রূপালি মাছগুলো
পুকুরকেই সাগর ভেবে ছড়ায় অহংকার

 আমিও সীমিত প্রাচুর্যের মধ্যে বেঁচে থেকে
খোলা হাওয়ায় চোখ মেলে কুড়াই যতোসব
 বিচিত্র পদাবলি

যার আছে সুইজব্যাংকে সিন্ধুকভর্তি টাকা
 হীরার তরবারি, সে ভাবে পৃথিবীই তার

 নিরামিষভোজী,হাড় কিপটে কঠিন যারা
নিত্য জমির দৈর্ঘ্য প্রস্থ বাড়ায়, তারা....
জমিদার ভাবনায় সুখানন্দ ছড়ায় অপরিমেয়

নয়নকারা রূপ আর কন্ঠে আছে সুর যার
বিনা পুঁজিতে জুটে যায় প্রেম, রমণী সোহাগ!

মূলত: এভাবেই সুখের অন্বেষণে বিভোর মানুষ
 রাজার মতো সুখে বাঁচতে চায় আপন ভূবনে







Post a Comment

0 Comments